জয় কালী কলকাত্তাওয়ালী, জোরসে বলো আর বাজাও তালি! ছোটবেলায় কলকাতার কালীকে নিয়ে এহেন উক্তি আপনি বহুবার শুনে থাকবেন। কালীপুজোতেও আজকাল জমিয়ে ঠাকুর দেখেন বাঙালি। আর সেইজন্যই আপনাদের কালী (kali) দর্শন করাতে হাজির হয়েছি আমরা। কলকাতা (kolkata) ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে নানারূপে বিরাজ করেন মা কালী। আসুন তাহলে কালী দর্শনে বেরিয়ে পড়া যাক।
কালীর অষ্টরূপ
বাঙালি বাড়িতে অর্থাৎ যারা শাক্ত বা শক্তির উপাসক সেখানে কালীপুজো হয় ঠিকই। আবার কালীপুজোর দিন পূজিতা হন দেবী লক্ষ্মীও। ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণ কালীকে দেখেছিলেন কৃষ্ণরূপে। তাই কখনও তিনি কৃষ্ণকালী রূপেও অবতীর্ণ হন। তবে মা কালীর মূলত আটটি রূপ আছে। যেমন, দক্ষিণাকালী, শ্মশানকালী, গুহ্যকালী, ভদ্রকালী, শ্রীকালী, মহাকালী, চামুণ্ডাকালী এবং সিদ্ধকালী।
দক্ষিণাকালী
মুক্তকেশী, করালবদনী দেবীর গায়ের রং শ্যামবর্ণ। তাই তাঁর আর এক নাম শ্যামা। তিনি দক্ষিণ দিকে মুখ করে থাকেন।
শ্মশানকালী
মহাশক্তির রূপ হল এই কালী। এক হাতে থাকে মদের পাত্র আর এক হাতে মাংস।
গুহ্যকালী
গুহ্যকালীর আরেক নাম আকালী। তিবি সর্ব বিদ্যায় পারদর্শী। কিন্তু গৃহস্থের দ্বারা তিনি পূজিতা হন না। একমাত্র উচ্চমার্গের সাধকরাই তাঁর পুজো করেন।
ভদ্রকালী
যে কালী সর্বদা ভক্তদের কল্যাণ করেন তিনিই ভদ্রকালী। কালিকাপুরাণ বলছে এই কালীর গায়ের রং অতসী ফুলের মতো। মাথায় জটা এবং সেখানে আছে অর্ধচন্দ্র।
শ্রীকালী
শ্রীকালী শিবের মতোই ত্রিশূলধারিণী এবং সর্পযুক্তা। কথিত আছে দারুক নামে এক অসুরকে তিনি বধ করেছিলেন। শিবের শরীরের মধ্যে প্রবেশ করার শিবের কণ্ঠের বিশের প্রভাবে তাঁর গায়ের রং ঘোর কৃষ্ণবর্ণ হয়ে যায়।
মহাকালী
মধু আর কৈটভ নামক দুই অসুরকে বধ করার জন্য ব্রহ্মা মহাকালীর স্তব করেছিলেন। এই দেবী আদ্যাশক্তি দশভুজারই আরেকটি রূপ।
চামুণ্ডাকালী
দুর্গাপূজা চলাকালীন সন্ধিপুজোর সময় যার আরাধনা করা হয় তিনিই হলেন চামুণ্ডাকালী। চণ্ড ও মুণ্ড নামক দুই অসুরকে বধ করার জন্য মা দুর্গার ভ্রূকুটি থেকে এই দেবীর জন্ম হয়।
সিদ্ধকালী
দক্ষিণাকালীরই আরেক রূপ হল সিদ্ধকালী। তিনি ব্রহ্মজ্ঞান সম্পন্না ভুবনেশ্বরী রূপের পূর্ণ প্রকাশ।
কালী দর্শন
কালীঘাটের দেবী কালিকা
কালীঘাটে দেবীর চারটি আঙুল পড়েছিল। এটি ৫১টি সতীপিঠের মধ্যে অন্যতম। তবে কালীপুজোর দিন কালীঘাটের কালী পূজিতা হন দেবী লক্ষ্মীরূপে।
দক্ষিণেশ্বরের মা ভবতারিণী
স্বয়ং শ্রীরামকৃষ্ণের সাধন পীঠ হল এই দক্ষিণেশ্বর। অনেক বাধা বিপত্তি পেরিয়ে এই বিখ্যাত মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন রানি রাসমণি। তিনি অব্রাহ্মণ ছিলেন বলে সমাজ তাঁর এই সিদ্ধান্তে রুখে দাঁড়ায়। রানিই দেবীর নামকরণ করেন ভবতারিণী রূপে।
ঠনঠনিয়ার সিদ্ধেশ্বরী কালী
কথিত আছে উদয়নারায়ণ নামে এক তান্ত্রিক মাটি দিয়ে সিদ্ধেশ্বরীর মূর্তি গড়ে পুজো করতে শুরু করেন। এখানে ফলহারিণী আর রটন্তীকালীর পুজোও হয়ে থাকে।
বউবাজারের ফিরিঙ্গি কালী
বিখ্যাত কবিয়াল অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি এই কালী মন্দিরের প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর নাম থেকেই এই কালী ফিরিঙ্গি কালী নামে পরিচিত। পর্তুগিজ সাহেব অ্যান্টনি ছিলেন পরম কালীভক্ত। বর্তমান চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউতে প্রতিষ্ঠিত সিদ্ধেশ্বরী কালী সাহেবের দেবী ভক্তির সঙ্গে জড়িয়ে ফিরিঙ্গি কালী নামে পরিচিত হয়।
কাশীপুরের চিত্তেশ্বরী কালী সর্বমঙ্গলা
কথিত আছে বাংলার বিখ্যাত রঘু ডাকাত এই কালী মূর্তির প্রতিষ্ঠা করেন। এই বিগ্রহ নিমকাঠের এবং এখানে দেবী চতুর্ভুজা ও সিংহবাহিনী। কাশীপুরেই আছেণ আদি চিত্তেশ্বরী দুর্গার মন্দির। এটিও ডাকাত চিত্তেশ্বর রায় বা চিতু ডাকাত প্রতিষ্ঠা করেন। মূলত এঁদের দুজনের নাম থেকেই এই জায়গার নাম হয় চিৎপুর।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
এসে গেল #POPxoEverydayBeauty – POPxo Shop-এর স্কিন, বাথ, বডি এবং হেয়ার প্রোডাক্টস নিয়ে, যা ব্যবহার করা ১০০% সহজ, ব্যবহার করতে মজাও লাগবে আবার উপকারও পাবেন! এই নতুন লঞ্চ সেলিব্রেট করতে প্রি অর্ডারের উপর এখন পাবেন ২৫% ছাড়ও। সুতরাং দেরি না করে শিগগিরই ক্লিক করুন POPxo.com/beautyshop-এ এবার আপনার রোজকার বিউটি রুটিন POP আপ করুন এক ধাক্কায়…