এই যে মেয়েরা অ্যাদ্দিন ধরে না খেয়ে উপোস-টুপোস করে শিবরাত্তির করত শিবের মতো বর পেতে, সেইটা বোধ হয় এবার বন্ধ হতে চলল গো! না, না, শিবরাত্রি হয়তো বন্ধ হবে না। শুধু যাঁদের এখনও বিয়ে থা হয়নি, তাঁদের ডিমান্ড একটু পাল্টে যাবে। আচ্ছা বলুন দেখি, যে লোকটা বেকার, মাথায় একটা উটকো জটা, গাঁজা খায় আর একটা ধেড়ে ষাঁড়ের উপর চড়ে ঘুরে বেড়ায়, তার চেয়ে বেশ কচিপানা মুখের ওই নিক জোনাস (Nick Jonas) ভাল কিনা? আলবাত ভাল! একশোবার ভাল! কেমন সোনামুখ করে বউয়ের (Priyanka Chopra) চারপাশে স্যাটেলাইটের মতো ঘোরে, কেমন স্টেজ দাপিয়ে গান গায়। সে আপনি যাই বলুন, মেয়েরা অমন স্বামীই (husband) পছন্দ করে।
এই যে দেখুন না, কান উৎসবে প্রিয়াঙ্কা (Priyanka Chopra) সেজেগুজে রোজ একটা করে নতুন লুক দিচ্ছেন। অন্য স্বামী (husband) হলে স্ত্রীয়ের অমন সাজ দেখে দাঁতে দাঁত লেগে অজ্ঞান হয়ে যেত! এদিকে নিককে দেখুন কেমন শান্ত মুখ করে ঘুরছে। কী যে ভাল ছেলে!এই তো সেদিন কান উৎসবে একটা সিনেমা দেখতে হাজির হলেন দুজনে। তা ওখানে তো দেখেইছেন একগাদা ফটোগ্রাফার আর হাঁ করে তাকিয়ে থাকা লোকজন ওখানে দাঁড়িয়ে থাকে। কেউ-কেউ বোধহয় সিনেমাও দেখে! তো তারা নাকি নিক আর প্রিয়াঙ্কার ভাব ভালবাসা দেখে এক্কেবারে গলে জল হয়ে গেছে। কেমন যমজ ভাইবোনের মতো দু’জনে একই রঙের পোশাক পরে এলেন।
ইউরোপে যে যখন-তখন টুপটাপ বৃষ্টি পড়ে জানেন নিশ্চয়ই। ভিতরে ঢোকার আগেই ঝিরঝিরে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল। ব্যাস! এই সুযোগ কি আর নিকবাবু ছাড়েন। বগলে করে ঠিক একখান ছাতা নিয়ে এসেছিল। আমার তো মনে হয় সকালে ঘুম থেকে উঠে একবার ওয়েদার ফোরকাস্টও দেখে এসেছে নির্ঘাত। না, আমাদের দেশ হলে কী হত জানি না। এখানে তো বৃষ্টি হবে বললে চাঁদিফাটা রোদ ওঠে আর রোদ হবে বললে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামে। আর এদিকে আমাদের সোনা জামাইকে দেখুন একবার। একটা ফোঁটা বউয়ের গায়ে পড়ল কি পড়ল না, ফোস্কা পড়ার আগেই সেই কালো ছাতা ওমনই বাগিয়ে ধরলেন বউয়ের মাথায়। অমনি চারদিক থেকে ক্লিক-ক্লিক! আহা কী প্রেম, কী প্রেম! দেখে চক্ষু সার্থক হয়ে গেল গো! আমাদের স্বামীদের মুখে ঝামা ঘষে দিয়েছে এই ছেলে! অবিশ্যি আমাদের মেয়েও কম যান না। আসা-যাওয়া, আসা যাওয়া করতে কেমন টুক করে নিজেই নিজের বিয়ের ব্যবস্থা করে এলেন। তাপ্পর যদি বর এত প্রেম দেখায় তাহলে কি তারকা বউ চুপটি করে বসে থাকতে পারে? পটাং পটাং করে পোস্ট দিয়ে দিলেন। মন আমুর! মানে বোঝেন? এর মানে হল গিয়ে “আমার ভালবাসা” বা “আমার প্রেম”। তা বেশ। এই কথাটা উনি এমন ভাষাতেও লিখতে পারতেন যেটা সবাই বোঝে। তবে এখন ফ্রান্সে আছেন তো, তাই ফরাসি বলছেন। জাপানে থাকলে জাপানি বলতেন হয়তো!
আর এই যে আপনাদের বলছি, প্রিয়াঙ্কা কী বিদঘুটে পোশাক পরেছে, সেটা না দেখে কী করে স্বামী ম্যানেজ করতে হয় একটু শিখুন। কান টানলেই যেন মাথা চলে আসে, বুঝলেন ম্যাডাম!
ছবি সৌজন্য: Instagram
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!