ওজন কমানো কি সত্য়িই মুখের কথা? কত পরিশ্রম করলে তারপর ওজন কমানো যায়। ঠিক কি না? সঠিক ডায়েট মেনে চলতে হয়। প্রতিদিন ব্যায়াম করতে হয়। তবে সামান্য় ওজন কমে। এবার আপনি বলুন, আপনার কাছে যদি এমন কিছু ভিটামিন ও মিনারেলের সন্ধান থাকে, যা সহজেই আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করে, তাহলে আপনি তা খাবেন কি না? সত্য়িই, এমন কিছু ভিটামিন ও মিনারেল (vitamin and minerals) আছে, যা সহজেই আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করে। আসুন দেখে নেওয়া যাক সেই তালিকা …
ক্যালশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার ওবেসিটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। আপনার দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় যথেষ্ট ক্যালশিয়াম যুক্ত খাবার থাকতেই হবে, না হলে আপনার শরীরের ফ্যাট সেলগুলিতে আরও ফ্যাট জমবে। লো ফ্যাট দুগ্ধজাতীয় খাবার, সবুজ শাকসবজি, নানা ধরনের বাদাম এবং মাছ, এগুলি নিয়মিত খান। তা হলে শরীরের মেদ ঝরানোর প্রক্রিয়া আরও দ্রুততর হবে।
খাবারের মাধ্যমে ক্যালশিয়াম আপনার শরীরে ঢুকছে, তা হলে আপনার চাই পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি। সাধারণত আমরা যখন রোদে বেরোই, তখন আমাদের শরীর সূর্যালোক থেকে আপনাআপনিই এই ভিটামিন ডি (vitamin and minerals) তৈরি করে নেয়। কিন্তু আমরা তো মোটেও রোদে ঘুরতে ভালবাসি না, সুযোগ পেলেই টুক করে ঘরে ঢুকে পড়ি। তাই আমাদের খেতে হবে এমন কিছু খাবার, যা আমাদের শরীরের বেশি করে ভিটামিন ডি-এর যোগান দেবে। সামুদ্রিক নানা ধরনের মাছ, কমলালেবুর রস, সয়াবিনের দুধ, ডিমের কুসুম, কর্নফ্লেক্স কিংবা মুয়েসলিজাতীয় সিরিয়ালস এবং চিজে ভিটামিন ডি পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে। এগুলো নিয়মিত খাওয়ার চেষ্টা করুন।
মেটাবলিজম বুস্ট করতে ভিটামিন ডি-এর জুড়ি মেলা ভার। আর মেটাবলিজমের হার বেশি হওয়া মানেই শরীরে বেশি মেদ জমার সুযোগ না পাওয়া কিংবা জমে থাকা মেদের ভাণ্ডারেও টান পড়া। তাই ডায়েটে বেশি করে ভিটামিন সি-যুক্ত খাবার রাখুন। কারণ, আপনি যখন ঘুমোবেন কিংবা আলসেমি করবেন, মেটাবলিক রেট হাই হলে তখনও আপনার শরীর নিজে-নিজেই জমে থাকা মেদ ঝরিযে যাবে। ভিটামিন সি বেশি আছে পাতিলেবু, কিউয়ি, আমলকি, কমলালেবু, ব্রকোলি, ফুলকপি, ক্যাপসিকাম (vitamin and minerals) ইত্যাদি খাবারে। এগুলির সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়ে ফেলুন চটপট।
শরীরে ইতিউতি জমে থাকা ফ্যাটকে এনার্জিতে রূপান্তরিত করতে ভিটামিন বি ১২-এর জুড়ি মেলা ভার। মাছ, মুরগির মাংস এবং ডিমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি ১২ থাকে। সুতরাং, এবার থেকে একটু আমিষাশী হতেই হবে, কিচ্ছু করার নেই।
আমাদের অনেকেরই থাইরয়েডের সমস্যা আছে। তাঁদের পক্ষে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সত্যিই কঠিন। আপনাদের উদ্দেশ্যে বলছি, রোজকার ডায়েটে বেশি করে আয়োডিনে ঠাসা খাবার রাখুন (vitamin and minerals)। সামুদ্রিক নানা গুল্ম, দুধ থেকে তৈরি খাবার, কুচো চিংড়ি, ডিম ইত্যাদি খাবারকে আয়োডিনের ভাল সোর্স বলে ধরা হয়।
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!