দেখতে দেখতে এক বছর পার হয়ে গেল দেবিকা আর সুজয়ের বিয়ের। অথচ মনে হয় এই তো সেদিনের কথা। এই তো সেদিন আলাপ হল। হানিমুনের (honeymoon) স্মৃতি থেকে দেবিকার প্রথম রান্নাঘরে পা দেওয়া সব যেন ছবির মতো চোখের সামনে ভাসে। জীবনের প্রথম বিবাহ বার্ষিকী (anniversary) কীভাবে পালন করবে সেই নিয়ে কত না জল্পনা কল্পনা করেছে ওরা। অবশেষে সেই দিনটা এসেই গেল। জানতে চান কীভাবে পালন করল সুজয় আর দেবিকা তাদের অ্যানিভারসারি? আপনার বিবাহ বার্ষিকী যদি সামনেই হয়, দু একটা আইডিয়া আপনিও নিয়ে নিতে পারেন। যদি সেটা প্রথম বিবাহ বার্ষিকী না হয় তাহলেও কোনও চিন্তা নেই। আসল ব্যাপার হল এই বিশেষ দিনটিকে বা প্রথম বিবাহ বার্ষিকী স্মরণীয় করে রাখা। তবে প্রথমবার হলে অবশ্যই জাঁক জমকে পালন করুন (celebrate) এই দিনটি।(Celebrate your first anniversary in a grand way)
আরও পড়ুনঃ বিবাহ বার্ষিকীর শুভেচ্ছা ও মেসেজ
কে প্রথম কাছে এসেছি…
প্রথম দেখা হওয়ার দিনটা নিশ্চয়ই আপনাদের দুজনের মনে আছে? সেই দিন কি কখনও ভোলা যায়?সম্বন্ধ করে বিয়ে হোক বা ভালোবেসে বিয়ে। নস্টালজিয়া তাজা করতে আবার সেই জায়গায় দেখা করুন। চেষ্টা করুন একই রঙের জামা কাপড় পরতে পারেন। যদি মনে থাকে সেইদিন কী খেয়েছিলেন…তাহলে সেটা আবার খান। একদম যাকে বলে অ্যাকশান রিপ্লে!
ছবিরা কথা বলে
একদম ঠিক কথা। বিয়ের আগে এবং বিয়ের দিন বা হানিমুনে (honeymoon) যে ছবিগুলো তুলেছিলেন সেগুলো উল্টে দেখেন নিশ্চয়ই? ওই ছবিগুলোই তো মনে করিয়ে দেয় কত কথা। প্রথম (first) বিবাহবার্ষিকীর (anniversary) কথা মনে রেখে আর একটা ফোটোশুট করান। কারণ এর পরে আরও অনেক অনেক বার এই দিনটি আপনার জীবনে আসবে ঠিকই। কিন্তু সেই প্রথম বছর আর ফিরে আসবে না। তাই একটা অ্যানিভারসারি শুট হো যায়ে!
ছোট্ট একটা ট্রিপ
দেখবেন ওই বিশেষ দিনটি শুধু আপনারা নয়, মনে রেখেছে আপনার হাজার হাজার আত্মীয় স্বজন এবং বন্ধুরা। তাদের শুভেচ্ছা বার্তার চোটে আপনাদের একান্ত সময়ের দফারফা। ফোনটা এক দুদিনের জন্য বন্ধ রেখে ছোট্ট একটা ট্রিপ সেরে আসুন কাছে পিঠে কোথাও।সেকেন্ড হানিমুন যাকে বলে আর কী!
রাতের লাস্যে
যদি দু একদিনের জন্য কোথাও যাওয়াতে সমস্যা থাকে তাহলেও কুছ পরোয়া নেহি। এই শহরেরই কোনও রেস্তরাঁতে দুজনের জন্য টেবিল বুক করুন। হয়ে যাক একটা রোম্যান্টিক ক্যান্ডল নাইট ডিনার। দুজনে দুজনকে ছোট্ট কোনও উপহার দিন। টেবিলে সাজানো থাক কাপকেক, চকোলেট আর পছন্দের ফুল দিয়ে।
সারপ্রাইজ
আপনার স্বামী হয়তো খুব ব্যাস্ত মানুষ। বেচারা প্রথম বিবাহবার্ষিকীর দিন ছুটিই পেল না। আপনি কেন এমন দিনটা হেলায় হারাবেন? কিছুক্ষণ পর পর স্বামীকে রোম্যান্টিক মেসেজ পাঠান। সঙ্গে পাঠান আপনাদের নতুন এবং পুরনো কিছু ছবি। তাকে বলুন আপনি অধীর আগ্রহে তার বাড়ি আসার অপেক্ষা করছেন। তিনি যখন অস্থির হয়ে পড়বেন বাড়ি আসার জন্য, আপনি নিজেই একবার অফিসে ঢুঁ মেরে আসতে পারেন। অফিস গেলে স্বামীর পছন্দের রঙের পোশাক পরতে ভুলবেন না যেন!
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
এগুলোও আপনি পড়তে পারেন
জন্মদিনের সেরা শুভেচ্ছা বার্তা আপনার জীবনের প্রিয় মানুষটির জন্য