সম্পর্কের বয়স তখন দেড় বছর ছুঁই ছুঁই। অয়নের সঙ্গে প্রেমটা বেশ জমে উঠেছিল। প্রেম-খুনসুটি আর ঝগড়া-ঝাটি মিশিয়ে মন্দ চলছিল না। এই সময়ে অল্পবিস্তর একে অপরের কাছকাছি আসার সুযোগ মিললেও তখনও পর্যন্ত দু’জনেই ছিলান ভার্জিন। না, নিজেদের অনিচ্ছার কারণে মটেই নয়। আমরা তো একে অপরের শরীরে মিশে যাওয়ার জন্য তো এক পায়ে খাড়া ছিলাম। কিন্তু সুযোগ ছিল না। অয়নের মা বাড়িতেই থাকেন। তাই সে ওই বাড়িতে প্রবেশ নিষেধ। অন্যদিকে আমি হলাম যৌথ পরিবারের নয়নের মণি। বাড়ি থাকলে কেউ না কেউ লেজুড় হয়। এমন পরিস্থিতে লুকিয়ে-চুরিয়ে বয়ফ্রেন্ডেকে বাড়িতে আনা, লুকিয়ে পাকিস্থান সীমান্ত পরেনোর মতোই শক্ত। অগত্যা তাই চুমু আর হালকা ছোঁয়াতেই খুশি থাকতে হয়েছিল আমাদের।
হঠাৎ একদিন এসে গেল সেই কাঙ্খিত মুহূর্ত। অয়নের মা দু’দিনের জন্য বেরাতে যাচ্ছেন। বাবাও শহরের বাইরে। এই দু’দিন বাড়ি এক্কেবারে ফাঁকা। এমন সুযোগের অপেক্ষাতেই তো ছিলাম আমরা। তাই তো খবরটা পাওয়া মাত্র দু’জনের খুশিই বাঁধ ভেঙেছিল। কিন্তু তখনও যে একটা সমস্যা ছিল। কী সমস্যা? আরে বাবা-মাকে জুতসই একটা অজুহাত দিতে না পারলে যে খেল খতম! বললাম, বেস্ট ফ্রেন্ডের বাড়িতে নাইট আউটের প্ল্যান। বাবা-মা অরাজি হলেন না। কী আনন্দই না হয়েছিল তখন। অবশেষে আমরা দু’জন একে অপরের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ পাবো, কথাটা ভাবতেই শিউরে উঠেছিলাম। সে সময় মনে হচ্ছিল পৃথিবীর সবথেকে ভাগ্যবান মানুষ আমি।
আরও পড়ুন: জানতে চান, সেক্স নিয়ে ঠিক কী ভাবে ছেলেরা?
কলেজ থেকে ওর বাড়ি পৌঁছানো মাত্রই একে অপরের উপর ঝাঁপিয়ে পরলাম। কয়েক মিনিট চললো পাগলের মতো কিস। তারপর প্রেম এগলো পরের ধাপে। নিমেষে জামা-কাপড়ের জায়গা হল মাটিতে। কোনও লজ্জা নেই। বরং কেমন যেন একটা আলাদা অনুভূতি গ্রাস করেছিল তখন।
ও আমার সারা শরীরে কিস করছিল। ঘারে, কাঁধে, পেটে, ব্রেস্টে ছুঁয়ে যাচ্ছিল ওর ঠোঁট। একটু নিচে নামতেই ওকে থামালোম। বললাম, কি করছো? মুচকি হাসলো ও। বললো, ভরসা রাখতে। তারপরে আর ওকে বাঁধা দিইনি। আর বাঁধা দেবই বা কীভাবে, তখন যে আমি অন্য জগতে। এরপর যা ঘটলে, তা কথায় প্রকাশ করার মতো নয়। সে সময়ের অনুভূতি সত্যি কোনও দিন ভুলতে পারবো না। ওর ঠোঁট এমন এমন জয়গায় পৌঁছে যাচ্ছিল যে সারা শরীর কেমন অবশ হয়ে গিয়েছিল। তবে ভাল লাগছিল। কিন্তু মুখে প্রকাশ করার শক্তি খুঁজে পাচ্ছিলাম না। কয়েক মিনিটের মধ্যে আমার অনুভূতি একেবারে চরমে পৌঁছাল। প্রথম অর্গানিজম। উফফ… নিজেকে আটকে রাখতে পারছিলাম না। আমিও ওর শরীরের এখানে ওখানে কিস করতে থাকলাম। শেষে হারিয়ে গেলাম একে অপরের শরীরে।
আরও পড়ুন: ১১টি সেক্স জোকস যা আপনার ও বয়ফ্রেন্ডের মুখে হাসি ফুটিয়ে তুলবে
সেই প্রথমবার আমরা একে অপরকে নিজেদের মতো করে কাছে পয়েছিলাম (first time a guy went down on me)। আর সেই মিলনের মুহূর্তটা এতটাই স্পেশাল ছিল যে কোনও দিন আমরা সেই রাতের কথা ভুলবো বলে তো মনে হয় না। তারপরে আরও কয়েকবার সুযোগ এসেছিল। প্রতিবারেই মিলনের অনুভূতি ছিল একেবারে অন্য রকমের। এসবের পর একদিন অয়ন আমায় কি বলেছিল জানেন? আমার শরীরে কিস করার সময় আমি কেমন পাগল হয়ে যাই, আর সেটা দেখে নাকি ওরও মিলনের ইচ্ছা আরও তীব্র হয়। এইভাবেই আমরা একে অপরকে আরও কাছ থেকে চেনার সুযোগ পয়েছি। একে অপরের অনুভূতিকে বুঝতে শিখেছি। শারীরিক মিলনই (sex) যে আমাদের আরও কাছাকাছি এনে দিয়েছে, তা বলতে কোনও দ্বিধা নেই।
picture courtesy: youtube
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!