যারা হোম মেকার বা বাংলায় যাঁদের ‘গৃহবধু’ বলা হয়, তাঁরা আদতে যে কতটা পরিশ্রম করেন, সে বিষয়ে অনেকেরই কোনও ধারনা নেই। হঠাত এমন কথা কেন বললাম, তা ভাবছেন? আসলে বাড়ির নানা কাজের মধ্যে থেকেও কিন্তু ফিট থাকা যায়। একবার নিজের ছোটবেলার কথা মনে করুন তো! আপনার ঠাকুমা বা দিদিমা অথবা মা-জেঠি-মাসি-পিসি এঁরা তো সংসারের নানা কাজে ব্যস্ত থাকতেন। আর আমার আপনার বয়সে তাঁরা কিন্তু আমাদের থেকে অনেক বেশি সুস্থ ছিলেন। কেন ছিলেন বলুন তো? আসলে তাঁরা সংসারের নানা কাজ করতেন আর তাতে যে পরিশ্রমটা হত, সেই একই পরিশ্রম আমি-আপনি আজকাল জিমে গিয়ে করি।
তবে সবার পক্ষে জিমে যাওয়া বা বাড়িতেই পার্সোনাল ট্রেনার রেখে এক্সারসাইজ করা সম্ভব হয় না। তাঁদের জন্য কয়েকটি ছোট্ট ছোট্ট টিপস দিচ্ছি, যাতে নিজেদের ফিটনেসও বজায় থাকবে আবার বাড়ির অন্যান্য কাজকর্মও সারা হবে
বাড়ির কাছে জিম নেই কিংবা বাড়িতে ইকুইপমেন্ট রাখার জায়গা কিংবা কেনার পয়সা, কোনওটাই নেই? তাতে কী! আমাদের সারা দিনের নানা কাজকর্মের মধ্যেই রয়েছে এক্সারসাইজ করার উপায়। এখানে রইল তেমনই কিছু টিপস…
১। আপনার নিজের বাড়ি হোক কিংবা ফ্ল্যাট, সিঁড়ি তো আছে। সেখান দিয়ে দিনে একবার জোর পায়ে ওঠানামা করুন মিনিট পনেরো। জিমের স্টেপার মেশিনের সমান কাজ হবে এতে।
২। টুকটাক কেনাকাটা, সবজি-মাছ আনা, বাজার করা ইত্যাদি কাজ ঝি-চাকরের জন্য তুলে না রেখে নিজেই করুন। এতে ব্রিস্ক ওয়াকিংয়ের কাজ হবে। হার্ট সুস্থ থাকবে এবং ক্যালরিও পুড়বে।
৩। জানেন কি, রান্নাবান্না কিংবা জামাকাপড় ইস্ত্রি করা, শুকোতে দেওয়া, ডাস্টিং করা, এগুলো আসলে খুবই ভাল স্ট্রেচিং এক্সারসাইজ? এগুলো নিয়মিত করলেই আর আলাদা করে স্ট্রেচিং করার দরকার পড়বে না। মাসল টোনিং তো হবেই, শরীরও ঝরঝরে থাকবে।
৪। সকালে ঘুম থেকে উঠে একটু প্রাণায়াম করে নিন। বেশিক্ষণ নয়, মিনিটদশেক চোখ বুজে প্রাণায়াম করলেই হবে।
৫। দুপুরবেলা শুয়ে-শুয়ে টিভি দেখছেন? ওভাবে শুয়ে-শুয়েই হাওয়ায় পা চালিয়ে একটু সাইক্লিং করে নিন। পেটের চর্বি কমাতে এর চেয়ে ভাল কার্ডিওভাসকুলার ব্যায়াম আর হয় না।
৬। ইউটিউবে গান চালান, তারপর ঘরের দরজা বন্ধ করে বেদম নাচুন। স্টেপের চিন্তা করতে হবে না, মন খুলে যা ইচ্ছে, তাই নাচুন। এতে যা ক্যালরি বার্ন হবে ও সারা শরীরের মাসল টোনিং হবে, তা সারা দিন জিমে গিয়ে ট্রেডমিল করলেও হবে না!
৭। বাড়িতে ছোট বাচ্চা আছে? তা হলে তাদের নিয়ে ছাদে যান, গিয়ে খেলুন। শরীর তো ভাল থাকবেই, মনও ফুরফুরে হবে।
৮। সপ্তাহে এক দিন অন্তত সারা বাড়ির গ্রিল মুছতে পারেন। এতে হাতের যা মুভমেন্ট হবে তাতে মাসল টোন হওয়া বাদেও আপনার হাড় এবং জয়েন্ট সচল হবে।
৯। সম্ভব হলে অবসর সময়ে একটু যোগ ব্যায়াম প্র্যাকটিস করতে পারেন। না একেবারে এক্সপার্টদের মত করতে পারবেন না, সেটা আমরাও জানি। ফ্রি-হ্যান্ড করুন।
১০। শরীরের পাশাপাশি মানসিক সুস্থতাও প্রয়োজন। ফলে নিয়ম করে সকালে অথবা রাত্রে মেডিটেশন অবশ্যই করুন। মেডিটেশন করার সময়ে যেন কেউ বিরক্ত না করে, অর্থাৎ বর বা বাচ্চাদের বাড়ি ফেরার সময়ে বা সেলসম্যানের বেল বাজানোর সময়ে মেডিটেশন করবেন না।
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!