সারা বিশ্বজুড়ে রূপচর্চার দুনিয়ায় এখন চলছে ইকো বিউটি থেরাপির (therapy) চল। অর্থাৎ রাসায়নিক (chemical) বা কৃত্রিম কোনও পদার্থ মিশিয়ে আর ফেসিয়াল (facial) বা অন্য ট্রিটমেন্ট করতে চাইছেন না মহিলারা। তারা চাইছেন ত্বকের যত্নে বা চুলের পরিচর্যায় এমন কিছু ব্যবহার করতে যার মধ্যে রয়েছে প্রকৃতির ছোঁয়া। আর প্রকৃতির সবচেয়ে সুন্দর সৃষ্টি হল ফুল (flower)। ফুলের তেল অর্থাৎ এসেনশিয়াল অয়েলের ব্যবহারের কথা আমরা জানি। কিন্তু তা ছাড়াও বিভিন্ন ফুলের মধ্যে রয়েছে এমন কিছু হিলিং উপাদান যা আপনার ত্বকের নানা সমস্যা দূর করে ত্বককে করে তুলবে সুন্দর আর উজ্জ্বল। আর আজকাল তো প্রযুক্তি আর হিমঘরের গুণে সারা বছরই সব ফুল পাওয়া যায়। তাই রূপচর্চায় ফ্লাওয়ার থেরাপির (flower therapy) কদর বাড়ছে।
ফুলের (Flower) নির্যাসে আছে ভিটামিন, অ্যাণ্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বকে আর্দ্রতা জোগায়, অকাল বার্ধক্য রোধ করে এবং ত্বক কোমল রাখে।
দেখে নেব কোন ফুল কীভাবে কাজে লাগানো যেতে পারে
আরো পড়ুনঃ নয়নতারা ফুলের নানা উপকারিতা
জবা ফুল
জবাফুল মূলত চুলের জন্য ভালো। এতে আছে আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড ও অ্যাণ্টিঅক্সিডেন্ট। নারকেল তেলের সঙ্গে জবা ফুল মিশিয়ে সেটা ফুটিয়ে নিন। তারপর ছেঁকে তুলে রাখুন। এই তেল মাথায় মাখলে চুল কালো ও মজবুত হবে। জবা ফুল বেটে সরাসরি মাথায় লাগানো যেতে পারে।
গোলাপ ফুল
হাজার হাজার বছর আগে থেকে রূপচর্চায় ব্যবহার হয়ে আসছে গোলাপ। কারণ এতে প্রচুর আর্দ্রতা আছে। গোলাপের পাপড়ি বেটে কাঁচা দুধে মিশিয়ে দিন। তার মধ্যে এক চামচ মধু যোগ করুন। এই অয়াক মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তুলতে এই প্যাকের জুড়ি নেই। এই প্যাক স্ট্রেচ মার্ক, কালো দাগ ছোপ ও সান বার্ন ও বলিরেখা দূর করে। আগেই বলেছি এই ফুলে প্রচুর আর্দ্রতা আছে। তাই শুষ্ক ত্বকে এটা খুব কাজ দেয়। হোয়াইট বাটারের সঙ্গে গোলাপের পাপড়ি বেটে মাসাজ করলে শুষ্ক ত্বকের সমস্যা অনেকটাই দূর হবে। টোনার হিসেবেও গোলাপের জল খুব ভালো।
গাঁদা ফুল
ছোটবেলায় দেখতাম খেলতে গিয়ে হাত পা কেটে গেলে মা এসে একটু গাঁদা ফুল বেটে ক্ষতে লাগিয়ে দিতেন।তখন ব্যাপারটা বুঝতাম না। এখন বুঝতে পারি আসলে গাঁদা ফুলে আছে অ্যাণ্টিসেপটিক ও অ্যাণ্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান। যাদের মুখে ব্রণ আছে বা দাগছোপ আছে তাদের জন্য এই ফুল খুব ভালো। গাঁদা ফুলের পাপড়ি বেটে, এতে অল্প কমলালেবুর রস (যদি কমলালেবু না পান, যে কোনও লেবুর রস মেশাতে পারেন), চন্দন বাটা দিয়ে প্যাক বানিয়ে যেখানে যেখানে ব্রণ হয়েছে সেখানে লাগান। দেখবেন ধীরে ধীরে ব্রণ শুকিয়ে আসছে। যদি কালো দাগছোপ থাকে তাহলে গাদা ফুল বেটে তার সঙ্গে এক চামচ টক দই, নারকেল তেল, দু ফোঁটা লেবুর রস আর এক চামচ মধু মিশিয়ে লাগালে দাগছোপ দূর হবে।
নারকেল তেল, অ্যাভোকাডো অয়েল আর ক্যাস্টর অয়েল একসঙ্গে মেশান। তার মধ্যে গাঁদা ফুলের পাপড়ি বেটে মিশিয়ে দিন। এবার এই তেল ফুটিয়ে নিন। ঠাণ্ডা করে কাচের বোতলে ফ্রিজে রেখে দিন। এই তেল নিয়মিত ব্যবহার করলে চুল পড়া বন্ধ হবে।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!