ADVERTISEMENT
home / ওয়েলনেস
রোগীর পথ্যে হাল্কা খাবার (Light food for the patients)

রোগীর পথ্যে হাল্কা খাবার (Light food for the patients)

ভাবছি আমি যদি আবহাওয়াবিদ হতাম, আমার কাজটা না জানি কতই কঠিন হত! ভাবছেন নিশ্চয়ই, রোগীর (patient) পথ্য নিয়ে বলতে গিয়ে আবহাওয়া নিয়ে কেন বলছি। বলছি তার যথেষ্ট কারণ আছে। ফাল্গুন মাস প্রায় শেষের পথে। এদিকে ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা ভাব এখনও আছে। ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে জাঁকিয়ে বৃষ্টি হল, যেটা শুধু অস্বাভাবিক নয় আশ্চর্যও বটে।শরীরের নাম মহাশয় ঠিকই তবে যখন যেমন তখন তেমন না হলে শরীর বাবাজিও জবাব দিয়ে দেন। পোশাকি ভাষায় যাকে বলে সিজনাল চেঞ্জ। যে সময়ে ঘরে ঘরে পক্স, হাম, সর্দি, কাশি ও জ্বর দেখা দেয়। এই সময় রোগ হলে মুখে একদম স্বাদ থাকে না। খুব অরুচি দেখা দেয়। আবার বেশি মশলা দেওয়া খাবারও (food) রোগীকে দেওয়া যায় না। রোগীকে (patient) তাই হাল্কা (light) খাবার (food) দেওয়া উচিৎ এই সময়। 

কেমন হওয়া উচিৎ রোগীর পথ্য

রোগী একসাথে বেশি খেতে পারেন না। তাই রোগীর খাবার এমন হবে যা অল্প খেলেও তাতে পুষ্টি হবে। রোগী শরীরে বল পাবেন। দেখতে হবে যেন যে খাবার রোগীকে দেওয়া হচ্ছে সেটা খেয়ে রোগীর পেটের অসুখ না হয়। তাই খাবার হবে সহজপাচ্য। যেহেতু রোগ হলে মুখে অরুচি হয় তাই রোগী খাচ্ছে বলে সেটা যেন বিস্বাদ না হয়। খাবারে যেন স্বাদ থাকে।

আজকের রেসিপি

আজ আমরা রোগীর পথ্য হিসেবে নিয়ে এসেছি দুটি রেসিপি। সেটি কখন এবং কেমন রোগীকে দিতে হবে সেটাও আমরা বলে দিচ্ছি।

#রেসিপি ১

এগ নগ

milk and egg ed

ADVERTISEMENT
কখন দেওয়া উচিৎ

এগ-নগ শুধু একজন অসুস্থ মানুষ নয়, নানা কারণে যাদের শারীরিক দুর্বলতা দেখা দিয়েছে তারাও খেতে পারেন।কারণ এটি খুব পুষ্টিকর। এটি একটি খাঁটি ব্রিটিশ পদ। বলাই বাহুল্য ব্রিটিশদের হাত ধরেই এটি এদেশে এসেছে।

উপকরণঃ এক কাপ জ্বাল দেওয়া দুধ, একটি মুরগির ডিম, ছিনি ৪ চা চামচ, ভ্যানিলা এসেন্স স্বাদমতো

প্রণালীঃ দুধ ফুটিয়ে ঠাণ্ডা করে নিন। ডিম ফেটিয়ে তাতে দুধ মিশিয়ে দিন। এর মধ্যে চিনি দিয়ে ভালো করে নেড়ে নিন। সব শেষে ভ্যানিলা এসেন্স দিয়ে ঠাণ্ডা করতে দিন। ফ্রিজে রেখেও ঠাণ্ডা করতে পারেন। ভ্যানিলা এসেন্স এখানে বাধ্যতামূলক নয়।কাঁচা ডিমের গন্ধ ঢাকতে এটা দেওয়া হয়।

#রেসিপি ২

পিশ-প্যাশ

rice n chicken ed

ADVERTISEMENT
কখন দেওয়া উচিৎ

সদ্য জ্বর ছেড়েছে কিন্তু রোগী খুব দুর্বল এমত অবস্থায় পিশ-প্যাশ দেওয়া উচিৎ। কারণ এটি খুব বলবর্ধক একটি খাবার। যেহেতু এখানে কিছু ভাজা হয় না, সবটাই গ্রিল বা সেদ্ধ করে দেওয়া হয় তাই রোগীর চিবোতেও অসুবিধে হয় না।

উপকরণঃ তিন থেকে চার টুকরো চিকেন। পেঁয়াজ ২টি (মাঝারি মাপের), ১ টুকরো আদা, ১টি এলাচ ১ টি লবঙ্গ, আতপ চাল হাফ কাপ, মাঝারি মাপের আলু দুটি।

মনে রাখবেনঃ আলু ও পেঁয়াজ মাঝখান থেকে দু টুকরো করে কেটে নেবেন। আদা, এলাচ ও লবঙ্গ রান্না হয়ে গেলে তুলে নেবেন।

প্রণালীঃ মুরগির টুকরো ২ কাপ জলে দশ মিনিট সেদ্ধ করে নিন। বাকি উপকরণ দিয়ে ঢাকা ফুটতে দিন। ভাত ও মুরগি একসাথেই সেদ্ধ হয়ে যাবে। সবটা নরম হয়ে গেলে বিশেষ করে ভাত গলা গলা হয়ে গেলে নামিয়ে নিন। প্লেটে ঢেলে একটু মাখন ও লেবু দিয়ে রোগীকে দিন। চিকেনের পরিবর্তে মাছ দিয়েও এটি করা যায় যদি না রোগীর মাছে গন্ধ লাগে।

ADVERTISEMENT

তথ্যসূত্র ও ঋণ স্বীকারঃ রান্নার বই 

POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!    

 

 

ADVERTISEMENT
01 Mar 2019

Read More

read more articles like this
good points

Read More

read more articles like this
ADVERTISEMENT