আমাদের হিন্দুদের মধ্যে বিয়ের দিন উপোস করে থাকার নিয়ম আছে। বিশ্বাস করা হয়, পুজোর মতোই বিয়েও একটা পবিত্র ব্যাপার তাই উপোস করেই বিয়েতে বসতে হয়। পবিত্র ব্যাপার তো বুঝলাম, কিন্তু অনেক কনেই (bride) এই সারা দিন খালি পেটে থাকার ব্যাপারটা সহ্য করতে পারেন না। অনেকেই ক্লান্ত হয়ে পড়েন এবং অজ্ঞানও হয়ে যান। অবশ্য এক দিন না খেয়ে থাকাটা কী আর এমন ব্যাপার। বিয়ে শেষ হলে তো খাওয়াই যায়। এই গোলমালটা হয় অন্য কারণে। প্রথমত অনেক মেয়েই বিয়ের আগে থেকে অসম্ভব দ্রুত হারে ডায়েটিং করা শুরু করেন। মূলত রোগা হওয়ার জন্য এটা তাঁরা করে থাকেন। কিন্তু বিয়ের (wedding) আগের দিন (day) হঠাৎ মনে পড়ে যায়, আরে কাল তো আমার বিয়ে! কাল তো কিছু খাওয়া যাবে না। ব্যস, অমনই বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে খাওয়াদাওয়া (food) হই হুল্লোড় শুরু। তারপর ওই ভোর ভোর উঠে খালি পেটে দই-চিঁড়ে খেয়ে দধিমঙ্গল করা। এত সব কি আর সহ্য হয়?
এসব সমস্যা এড়াতেই বিয়ের আগের দিন কিছু খাবার অন্তত হবু কনের বাদ দেওয়া উচিত। আহা, সময় তো আর পালিয়ে যাচ্ছে না। বিয়ে সেরেই না হয় খাবেন।
১) কফি ও কোল্ড ড্রিঙ্কস
কাল যদি বিয়ে হয়, তা হলে আজ প্রথমেই তালিকা থেকে যেটা বাদ যাবে, সেটা হল এই দুটি পানীয়। কফির কিছু ভাল দিক আছে বটে। কিন্তু বিয়ের আগের দিন কফি পান করলে শরীর ডি-হাইড্রেটেড হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকবে। তা ছাড়া সেদিন রাতে যতটা সম্ভব ভাল ঘুম দরকার। কফি পান করলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে। কোল্ড ড্রিঙ্ক আসলে কার্বনেটেড পানীয়। সেটাও শরীরের পক্ষে মোটে ভাল নয়। যদি তেষ্টাই পায়, তা হলে ফলের রস, গ্রিন টি এসব পান করুন। আর তার চেয়েও ভাল হয় স্রেফ জল পান করলে।
২) তেল-ঝাল-মশলা দেওয়া খাবার
প্রিয় বান্ধবী যতই আবদার করুক, লোভের ফাঁদে পা দেবেন না। এত দিন যখন কষ্ট করে ডায়েট করেছেন, আর একটা দিন না হয় কষ্ট করলেন। বিয়ের আগের দিন টেনশনের চোটে এমনিতেই ভাল ঘুম হয় না। তাই তেল ঝাল মশলা দেওয়া খাবার হজম না-ও হতে পারে। ফলে বমি বা পেটখারাপ, দুটো হওয়ারই আশঙ্কা আছে। যেটা বিয়ের দিন একেবারেই কাম্য নয়।
৩) দুগ্ধজাত খাবার
এমনিতেই সকালে উঠে আপনাকে দই খেতে হবে। আর দই হচ্ছে দুগ্ধজাত খাবার, যার থেকে অম্বল হতে পারে। তাই আগের দিন আলাদা করে দুধ বা অন্য দুগ্ধজাত খাবার, যেমন মাখন, চিজ, পনির, এগুলো না খাওয়াই ভাল। পুষ্টিবিদ যাজ্ঞসেনী আম্বলি বললেন, “বিয়ের আগের দিন সব মেয়েরাই টেনশনে থাকেন। তাই এমনিতেই অ্যাসিডিটির একটা প্রবণতা থাকে। দুগ্ধজাত প্রোডাক্ট এমনিতেই সহজপাচ্য নয়। টেনশন থাকলে সেটা আরও সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। দুধ থেকে গ্যাস ফর্ম করতে পারে। পরের দিন প্রায় অভুক্ত থাকার কারণে এই গ্যাসের সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে।”
মূল ছবি সৌজন্য: ইনস্টাগ্রাম
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!