আচ্ছা, এমন যদি হত যে, কতগুলো খাবার (foods) খেলেই ত্বক হয়ে উঠত সতেজ ও ঝলমলে! কিংবা ধরুন, এমন কিছু খাবার, যা শরীরের সব টক্সিন (toxin) বের হয়ে দিয়ে আমাদের করে ফেলত ঝরঝরে? আছে তো, সবই আছে! এমন অনেক খাবার আছে, যেগুলো সকালে খেলে এসবই পাওয়া সম্ভব! কোন খাবারগুলি, তা কী করে খেতে হবে এবং শরীরকে ডি-টক্সিফাই করা মানেটা আসলে কী, জেনে নিন এই প্রতিবেদন থেকে।
শরীরকে ডি-টক্সিফাই করা মানে আসলে কী
আমাদের শরীরে এমন ছ’টি অঙ্গ আছে, যেগুলি নিয়মিত শুদ্ধিকরণ প্রয়োজন! তা না হলে ক্ষতিকারক টক্সিন সেই অঙ্গগুলিতে নিয়মিত জমা হবে এবং শরীরকে করে তুলবে অসুস্থ! এই ছটি অঙ্গ হল লিভার, কিডনি, গ্যাস্ট্রোইন্টেসটাইনাল সিস্টেম, রেসপিরেটরি ট্র্যাকস এবং ত্বক! ঘটনাচক্রে এই প্রতিটি অঙ্গই নানা ভাবে আমাদের শরীর থেকে নানা ক্ষতিকারক উপাদান বের করে দিতে সাহায্য করে। যেমন, লিভার খাবারের সঙ্গে থাকা টক্সিন, ওষুধ সংক্রান্ত বর্জ্য এবং বাড়তি হরমোন বের করে দেয়। কিডনি নানা ফ্লুয়িড, ব্যাকটেরিয়া ইত্যাদি ধ্বংস করে আমাদের রক্ত পরিশুদ্ধ করে। পাচনতন্ত্র খাবার হজম করতে সাহায্য করে আর খাবারের মধ্যে থাকা ক্ষতিকারক উপাদানগুলিতকে মলমূত্রের মাধ্যমে শরীরের বাইরে পাঠিয়ে দেয়! শ্বাসযন্ত্র কার্বনিক গ্যাসের মাধ্যমে টক্সিন বের করে। আর ত্বক টক্সিন বের করে ঘামের মাধ্যমে! সুতরাং, বুঝতেই পারছেন, এগুলির মধ্যে যে-কোনও একটি বেগড়বাই করলেই সমস্যা!
ঝলমলে ত্বক পেতে চাইলে খাবারগুলি প্রতিদিন সকালে খান
১. পাতিলেবু
সকালে উঠে পাতিলেবুর রস অল্প জলে গুলে খেলে তা আমাদের লিভারকে সুস্থ রাখবে। লেবুর জল খাওয়ার সঙ্গে-সঙ্গে যদি কয়েক পাক হেঁটে আসতে পারেন, তা হলে রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তবে লেবুর জল খাওয়ার পরপরই দাঁত ব্রাশ করবেন না। লেবুর অ্যাসিডিক উপাদান দাঁতে ঘষে গেলে তা দাঁতের এনামেলের ক্ষতি করতে পারে!
২. সবুজ শাকসবজি
শুনতে অবাক লাগলেও, সকালে উঠে যদি এক কাপ পালংশাক সেদ্ধ কিংবা কয়েকটি ব্রকোলির ফুল সেদ্ধ খেতে পারেন, তা হলে তা লিভার ফাংশন উন্নত করতে সাহায্য করবে! সবুজ পাতায় থাকা ক্লোরোফিল আসলে একটি দুর্দান্ত ডি-টক্সিফায়িং উপাদান। এর ফলে ত্বক (skin) হয়ে উঠবে তরতাজা!
৩. বেদানা
এই ফলটি অ্যান্টি অক্সিডেন্টসে ভরপুর। এক মুঠো বেদানা এমনিই খেয়ে নিতে পারেন সকালে। কিংবা ব্রেকফাস্টে দুধ-কর্নফ্লেক্সেরর সঙ্গে খেয়ে নিন বেদানা। দেখবেন, মাসখানেক খেলেই উপকার পাবেন!
৪. আপেল
এই ফলটির গুণের কথা তো বলে শেষ করা যাবে না। সলিউবল এবং ইন-সলিউবল ফাইবারে সমৃদ্ধ এই ফলটির যেন জন্মই হয়েছে শরীর থেকে ক্ষতিকারক টক্সিন বের করে দেওয়ার জন্য। তাই অন্য কিছু খান বা না খান, ভাল না লাগলেও প্রতিদিন সকালে অন্তত একটি আপেল খেতেই হবে। এখন তো সারা বছর আপেল পাওয়া যায়! সুতরাং, খেতেও অসুবিধে নেই।
৫. রসুন
নাক কুঁচকাবেন না! রসুন অ্যান্টি ভাইরাল, অ্যান্টিবায়োটিক এবং অ্যান্টিসেপটিক উপাদানে সমৃদ্ধ। তাই সকালে দু কোয়া কাঁচা রসুন চোখ বন্ধ করে খেয়েই ফেলুন! আর তা নিতান্তই না পারলে, ব্রেকফাস্টের রান্নায় রসুন কিন্তু মাস্ট!
৬. আদা
এটি এমন একটি কন্দ, যার মধ্যে থাকে দুটি উপাদান, জিঞ্জেরল এবং শ্যাগল। এই দুটি পাচনক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় এবং ফলে খাবার ঠিকঠাক হজম হয়। ত্বক তকতকে রাখতে রোজ সকালে আদা-লেবুর জল খান। দেখবেন, ব্রণর সমস্যা একেবারে পালাবে!
৭. বাঁধাকপি
এটিও সারা বছর পাওয়া যায় এবং শরীর থেকে টক্সিন বের করতে এই সবজিটির জুড়ি মেলা ভার। তাই ব্রেকফাস্টে অন্য খাবারের পাশাপাশি একবাটি বাঁধাকপি সেদ্ধ খেয়ে ফেলুন। খারাপ লাগলে তার মধ্যে মিশিয়ে নিন অল্প পাতিলেবুর রস ও একটু বিটনুন কিংবা চাটমশলা। দেখবেন, খেতে খারাপ লাগবে না!
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!