দুর্গাপুজো মানেই বক্স অফিসে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের (Srijit Mukherji) চমক। ২০১৯-ও ব্যতিক্রম নয়। এ বারের বাজি ‘গুমনামী’ (Gumnaami)। মুখ্য ভূমিকায় প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (prosenjit chatterjee)। রয়েছেন গুমনামী বাবাও। কিন্তু প্রসেনজিতকে ওই দুই চরিত্রে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলার জন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল মেকআপ। দীর্ঘ অধ্যবসায়ের পর সেই মেকআপ পারফেক্ট হয়েছিল। আর তার নেপথ্যে ছিলেন মেকআপ আর্টিস্ট সোমনাথ কুণ্ডু।
প্রস্তুতি কেমন ছিল? সোমনাথ ব্যখ্যা করলেন, “সৃজিতের সঙ্গে এর আগে ‘এক যে ছিল রাজা’, ‘ভিঞ্চিদা’ করেছি। ও যেটা করে আগে স্ক্রিপ্ট পড়তে দেয়। গুমনামীর ক্ষেত্রে স্ক্রিপ্ট পড়ে নিলাম। জেনে নিলাম কোন আর্টিস্টের ওপর হবেয তার পর বুম্বাদার ওপর একটা স্কেচ করি। সৃজিতকে দেখাই। ওর ভাল লাগে। এরকম বড় প্রজেক্ট থাকলে আগের দু’মাস আমি গ্যাপ নিয়ে নিই। অন্য কোনও কাজ রাখি না। কারণ প্রস্থেটিকের নাক, কপাল, গালের সেটআপ তৈরি করতে সময় লাগে। শুটিং তো পর পর চলে। তখন সময় পাওয়া যায় না। নেতাজির লুকটা আনতে প্রথন দিন দু’ঘণ্টা সময় লেগেঠিল। কিন্তু গুমনামী করতে তিন ঘণ্টা।”
প্রসেনজিতের কথায়, “দুটো চরিত্র করা কঠিন ছিল। এই ছবিতে অভিনয়ের যেমন জায়গা আছে। তেমন মেকআপেরও বড় ভূমিকা। নিজেকে ভাঙা-গড়ার প্রচুর এক্সপেরিমেন্ট আমি বহু বছর ধরে করেছি। কিন্তু সুভাষ বোসটা আমার ভয় ছিল। শেষদিন অবধি ভেবেছিলাম পেরে উঠব না। সোমনাথ নানা রকম এক্সপেরিমেন্ট করেছে। আমি অভিনেতা হিসেবে মেকআপ আর্টিস্টের হাতে নিজেকে ছেড়ে দিয়েছিলাম। খুব ধৈর্য্য ধরে কাজটা করেছে সোমনাথ। এটা একটা টিম ওয়ার্ক। থ্যাঙ্কস টু মাই ডিরেক্টর।
মেকআপ করাটা যতটা কঠিন ছিল, মেকআপ তোলাটাও ততটাই। সোমনাথ হেসে বললেন, “গুমনামী থেকে আবার প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে ফিরিয়ে আনা বেশ কঠিন ছিল। ধীরে ধীরে তুলতে হয় মেকআপ। আসলে প্রস্থেটিক ঠিক মতো অ্যাপ্লাই করতে না পারলে, ঠিক প্রোডাক্ট ব্যবহার না করলে মুশকিল। এগুলো সবই মেডিকেটেড। তাই তোলার সময়ও যথেষ্ট যত্ন নিয়েই তুলতে হবে।”
আসলে নেতাজিকে নিয়ে আম-বাঙালির মনে এখনও এনেক রহস্য রয়েছে। বিশেষ করে তাঁর মৃত্যু কী ভাবে হয়েছিল, তার কোনও সঠিক দিশা আজও পাওয়া যায়নি। বিভিন্ন সময়ে প্রশ্ন উঠেছে, গুমনামী বাবাকে নিয়েও। তিনিই কি আসলে নেতাজি? এ ধাঁধার সমাধান নেই। তর্ক-বিতর্ক হয়েছে। মত, বিরুদ্ধ মতের জায়গা তৈরি হয়েছে। কিন্তু সমাধান? আবার সিনে পর্দাতেও নেতাজীকে নিয়ে বহু কাজ হয়েছে। কিন্তু গুমনামী বাবাকে নিয়ে কাজের পরিমাণ খুবই কম। এই ছবি দু’টোর খিদেই মেটাবে বলে আশা করছেন সিনেপ্রেমীরা।
এই ছবির প্রসঙ্গে সৃজিত মুখোপাধ্যায় বলেন, “নেতাজি বিমান দুর্ঘটনায় মারা যাননি। আবার বেঁচেও নেই। এই লাইনটা আমি ছোটবেলা থেকে শুনেছি। এমনকী আজও গোটা দেশ তাঁর মৃত্যুর কারণ খুঁজে বেড়ায়। নেতাজির মৃত্যুর কারণ আজও রহস্যে মোড়া। আমি যখন ছবিটা লিখেছিলাম, তখন যতটা উত্তেজিত ছিলাম, তা আগে কখনও হয়নি। আমার বিশ্বাস ছবিটা দেখতে গিয়ে দর্শকও সেই উত্তেজনা অনুভব করবেন।” প্রসেনজিৎ ছাড়াও অনির্বাণ ভট্টাচার্য, তনুশ্রী চক্রবর্তী এই ছবিতে অভিনয় করেছেন। মিউজিক অ্যারেঞ্জমেন্টের দায়িত্বে সামলেছেন ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত। আগামী ২ অক্টোবর পুজোর (pujo) আগেই মুক্তি পাবে ‘গুমনামী বাবা’।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!