যে-কোনও বিয়েতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে দু’জন মানুষ তাঁরা হলেন বর এবং কনে। তবে এঁদের মধ্যেও কনের গুরুত্বটা যেন কোথাও একটু হলেও বেশি। কনে কী শাড়ি পরবেন, কেমন সাজবেন, কোন-কোন গয়না পরবেন – এগুলো নিয়ে অনেকদিন আগে থেকেই সবাই চিন্তাভাবনা শুরু করে দেন। বিয়ের সাজে প্রতিটি কনেকেই দেখতে অপূর্ব লাগে, আর যখন এক গা হয়না পরে বিয়ের মণ্ডপে কনে এসে উপস্থিত হন, তখন তার রূপ দেখে কিন্তু সকলেরই তাক লেগে যায়। এই যে কনেকে নানা ধরনের গয়না পরানো হয়, আপনি কী জানেন, এক-একটি গয়না পরানোর পিছনে রয়েছে এক-এক ধরনের কাহিনি? (fun facts behind Indian wedding jewellery)
টিকলি বা মাংটিকা

কনের গয়নার মধ্যে টিকলি কিন্তু একটি গুরুত্বপূর্ণ গয়না। এক-একজনের মুখের গঠন বা আকারের সঙ্গে মানানসই করে নানা ডিজাইনের নানা মাপের টিকলি বিয়ের দিন পরা যেতে পারে। তবে, টিকলি পরার পিছনে যে কাহিনি বা কারণটি রয়েছে, তা বেশ ইন্টারেস্টিং। টিকলির সামনের দিকের যে অংশটি কনের কপালে এসে পড়ে, সেখানে আমাদের থার্ড আই বা অঞ্জ চক্র রয়েছে এবং এই গয়নার স্পর্শে আমাদের এই চক্রটি জেগে ওঠে বলে অনেকে মনে করেন।
দুল

ঝুমকো, কানপাশা, শ্যান্ডেলিয়ার, চাঁদবালি অথবা অন্যান্য যে-কোনও ডিজাইনের হোক; কানের দুলও কনের বিয়ের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ গয়না। কানের দুল পরানোর পিছনে যে কারণ রয়েছে তাতে আবার দু’ধরনের মত আছে। কারও মতে, কানের দুল আকুপ্রেশারের কাজে আসে; আবার এক দল মনে করেন, বিয়ের দিন যাতে কনের উপরে কারও নজর না লাগে, সেজন্য কানে বড় দুল পরানো হয়।
নথ

বড় গোল একটি নথ প্রতিটি কনেই বিয়ের দিন পরেন। আয়ুর্বেদ অনুযায়ী, বাঁ নাকে ফুটো করে নথ পরানো হলে তা নাকি ঋতুস্রাবের কষ্ট এবং সন্তান জন্ম দেওয়ার কষ্ট অনেকটাই লাঘব করতে সাহায্য করে। আগেকার যুগে কুমারী মেয়েদের নাক ফুটো করে নথ পরিয়ে রাখা হত, বিয়ের পরে তাঁদের স্বামীরা যখন সেই নথ খুলতেন, তাতে নাকি বোঝা যেত যে, তাঁরা আর কুমারী নন। আবার অনেকে মনে করেন, কনের নথের মাপ দেখে বোঝা যায় যে, তাঁর হবু শ্বশুরবাড়ির অর্থনৈতিক অবস্থা কেমন!
হার-বালা

সীতাহার থেকে শুরু করে চোকার বা রানিহার – যার যেমন সামর্থ্য সে অনুসারে নিজের মেয়েকে প্রতি মা-বাবাই তাঁর বিয়েতে এই গয়নাটি দেন। আবার হাতে চুড়ির গাছা ও একটি করে বালাও কনে পরেন বিয়ের দিন। গলার হার ও হাতের বালা গুরুত্বপূর্ণ গয়না হলেও এর পিছনে একটি অদ্ভুত ইন্টারেস্টিং ফ্যাক্ট রয়েছে। বহুকাল আগে নাকি মহিলাদের কোনও পুরুষ বিয়ে করলে তাঁরা তাঁদের স্বামীর দাসত্ব গ্রহণ করতেন বলে ধারণা হতো। দাসত্বের বেড়ি-স্বরূপই নাকি গলার হার ও হাতের বালা পরানোর রীতি রয়েছে!
আংটি

বিয়ের আংটি কেন অনামিকায় পরা হয় তা নিয়ে বলিউড আমাদের ছোটবেলাতেই একটা আজব কাহিনি শুনিয়ে দিয়েছে। বাঁ হাতের অনামিকার সঙ্গে নাকি আমাদের হৃদয়ের সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে একটি নার্ভের মধ্য দিয়ে। কিন্তু একটা প্রশ্ন থেকে যায়, মেয়েরা বিয়ের আংটি পরেন বাঁ হাতের অনামিকায় এবং পুরুষরা পরেন ডান হাতের অনামিকায়; তা হলে কী বিয়ের সঙ্গে পুরুষদের হৃদয়ের কোনও যোগ নেই!
নূপুর
নূপুর পরে নতুন বউ যখন সারা বাড়িতে ঘুরে বেড়ান, তখন নাকি বাড়িতে মা লক্ষ্মীর আগমন ঘটে, সঙ্গে সুখ-সমৃদ্ধিরও আগমন ঘটে। এ কারণেই বিয়ের কনেকে নূপুরও পরানো হয়।
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!