স্লিম ট্রিম তন্বী হতে কে না চায়? কিন্তু আমাদের দেশে মহিলারা যে দশভূজা। তারা একা হাতে সংসার সামলান, চাকরি করেন, সন্তান প্রতিপালন করেন আর না জানি কী কী করেন। এসব করে বেশিরভাগ মহিলারই জিমে (gym) গিয়ে নিজেকে ফিট (fit) রাখার সময় থাকে না। অনেকের আবার সারা দিনের হাড় ভাঙা খাটনির পর এত ক্লান্তি আসে যে তাদের আর বাড়ি থেকে নড়তে ইচ্ছে করে না। মনে হয় এই তো সারাদিনের হাজার কাজ সারলাম আবার জিমে (gym) গিয়ে ঘাম ঝরানো পরিশ্রম কে করবে?
যেতে হবে না জিমে। তার চেয়ে বরং কোনও নাচের ক্লাসে (dance) গিয়ে ভর্তি হন। নাচতে নাচতে এক্সারসাইজ (fit) করবেন? হ্যাঁ, নাচতে নাচতে এক্সারসাইজ। গানের তালে কোমর দুলিয়ে নাচলে শরীরও ফিট থাকবে আবার নাচ-গানের সঙ্গে যুক্ত হলে মনটাও ভালো থাকবে।জানেন কি যে কোনও নাচের ক্লাসে আপনি যদি মাত্র আধ ঘণ্টাও ব্যয় করেন তাহলে গড়ে আপনার ১৩০ থেকে ২৫০ ক্যালোরি/ঘণ্টায় বার্ন হয়। মোদ্দা কথা হল নাচটাও একটা এক্সারসাইজ। তাই এক ঢিলে দুই পাখি হয়ে যাবে। আনন্দে নাচবেন আবার এক্সারসাইজও হবে। মুহূর্তে দুটো ডান্স ট্রেন্ড খুব জনপ্রিয় হয়েছে। দেখে নিন আপনার কোনটা ভালো লাগে সেই মতো ভর্তি হয়ে যান আর বলুন ‘ওয়ান টু চা চা চা!’
নাচের ক্লাসে ভর্তি হওয়ার আগে মাথায় রাখুন কয়েকটি বিষয়
১) বুঝে নিন শরীরের কোন অংশে আপনার বেশি কাজ প্রয়োজন। সেটা প্রশিক্ষককে বলুন। তিনি সেইমতো নাচের স্টেপ ঠিক করবেন।
২) আপনি কেন নাচ শিখছেন বা শিখতে চাইছেন সেটা যেন আপনার কাছে খুব স্পষ্ট থাকে। হতে পারে আপনি আগে থেকেই নাচতে ভালোবাসেন বা এক্সারসাইজের বদলে নাচ করছেন। তবে বন্ধু হিপহপ শিখছে বলে আপনিও সেখানে নাম লেখাবেন না। হয়তো হিপহপের চেয়ে আপনার রুম্বা অনেক বেশি সুট করে।
৩)কোথায় শিখছেন, কার কাছে শিখছেন এবং দক্ষিণা কত সেটা আগে থেকে জেনে নেবেন।
৪) গর্ভবতী অবস্থায়, হার্ট বা প্রেসারের সমস্যা বা অন্য কোনও শারীরিক অসুবিধা থাকলে অবশ্যই ক্লাসে যাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন।
পোল ডান্স
যারা অনেকক্ষণ কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করেন তাদের জন্য এই নাচ বেশ কার্যকরী।মূলত কারডিও এক্সারসাইজ (fit) ও প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য এই নাচ ভালো। যখন একজন শিল্পী পোল ডান্স (dance) করেন তার আইসোমেট্রিক ও কারডিওভাস্কুলার অ্যাকটিভিটি বৃদ্ধি পায়।মাত্র দু পায়ের উপর ভর দিয়ে আপনি যখন পোলকে ঘিরে নাচেন তখন পুরো শরীরের ভার আপনাকে বহন করতে হয় তাই এই নাচ শরীরের ভারসাম্য বহনের ক্ষমতা অনেক বাড়িয়ে দেয়।
বলিউড ভাংড়া
প্রথাগত ভাংড়ার সঙ্গে বলিউডি নাচের মিশ্রনে এটা তৈরি হয়েছে। বলিউড ভাংড়া কারডিও ভাস্কুলার এক্সারসাইজ হিসেবে আদর্শ। নাচতে গেলে প্রচুর এনার্জির প্রয়োজন হয় সাধারণত সেরকম গানকে ভিত্তি করেই কোরিওগ্রাফি (dance) করা হয়। স্লাইড, স্কোয়াটস, জাম্প, ট্যাপিং ইত্যাদি স্টেপের উপর নাচের কোরিওগ্রাফি হয়। বলিউড ভাংড়া করলে বডি কনডিশানিং হয়, শারীরিক শক্তি (fit), সহনশীলতা ও ভারসাম্য বাড়ে।
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!