হ্যালুইনিয়ের হ-এর চাপে বাঙালি ভূতেরা কি নিরুদ্দেশ হলেন? মানে বাঙালিরা যবে থেকে কুমড়োর ছক্কা ভুলে কুমড়োর ভূতে মজেছে, তবে থেকেই বাঙালি ভূতের কিন্তু ভারী দুর্দশা। পেত্নি, শাঁখচুন্নি, মামদোদের ভারী দুঃখ। এই ভূত চতুর্দশী-এর বেলাতেও তাদের কেউ মনে রাখল না গো! বাঙালি ভূত-এর যে ধারণা ও গল্প প্রচলিত আছে, যে লোককথা শুনে আমরা বড় হয়েছি, তেনাদের (তাদের) এই অবেলায় একটু মনে না করলেই নয়! ভূত চতুর্দশীর সময় একবার সেইসব বাঙালি ভূত (ghosts in bengali folklore)- এর গল্প বলি, যারা মনের দুঃখে গত ইয়ে মানে নিরুদ্দেশ হয়েছেন।
ব্রহ্মদৈত্য় (ghosts in bengali folklore)
ব্রাহ্মণ ব্যক্তি মৃত্যুর পর ব্রহ্মদৈত্য হয় বলে বিশ্বাস করা হয়। এই গল্পকথাই প্রচলিত আছে। এরা বটগাছে থাকে। সাধারণত অভিজ্ঞই হয়। পৈতে পরে। সাদা ধুতি পরে। মাছের প্রতি বিশেষ আকর্ষণ নেই। রাগী মেজাজের এই ভূত ফল-মূল, দই-মিষ্টি খেয়ে থাকতেই ভালবাসে।
মেছো ভূত (ghosts in bengali folklore)
বাঙালি যে মাছ খেতে ভালবাসে, তা দেশের সব রাজ্য়ের মানুষই জানেন। বরং, বাঙালিদের মাছপ্রীতি নিয়ে একটু খোড়াক হয়। তা মাছ প্রিয় বাঙালি মারা যাওয়ার পর কি মাছের প্রতি ভালবাসা থাকবে না? মেছো ভূত হয়ে মাছ খেতে ভালবাসবে। গাছের উপর বসে থাকে এই ভূত। কেউ থলে করে মাছ নিয়ে গেলে এক টুকরো মাছের দাবী করে আর কী!
পেত্নি!
এক অবিবাহিত মেয়ের মৃত্যু হলে সে নাকি পেত্নি হয়। শ্যাওড়া গাছে থাকতেই ভালবাসে। চুলে জবাকুসুম তেল মাখতে ভালবাসে। সাজগোজ করতেও ভালবাসে আর ভালবাসে তার প্রাক্তনকে! আহা রে, ভারী দুঃখ!
শাঁখচুন্নি (ghosts in bengali folklore)
বিবাহিত মেয়ের মৃত্যু হলে সে হয় শাঁখচুন্নি। শাঁখার সঙ্গে শাঁখচুন্নি শব্দের যোগ আছে বলেও মনে করা হয়। এই ভূত সব সময় শাঁখাপলা পরে থাকে। গয়না তার ভারী প্রিয়। মাছ-ভাত খেতে খুব ভালবাসে।
কানাভুলো
বাব্বা! এই ভূতের থেকে খুব সাবধান। এই ভূতের থেকে কোনও পথনির্দেশ চাইলে সে আপনাকে ভুল পথ দেখিয়ে দেয়। তারপর আপনার ঘাড়টি মটকে দেয়। ধরুন আপনি প্রশ্ন করলেন কোনও ভাল ফুচকার দোকান কোন দিকে, সেও আপনাকে শ্মশানের রাস্তাটি দেখিয়ে দিল আর কী!
স্কন্ধকাটা
লোককথায় প্রচলিত আছে এই ভূতেদের মাথা থাকে না। সচরাচর যাদের মৃত্যুর সময় মাথা কেটে গেছে তাদেরই ভূত নাকি এরা। এই ভূতেরা সবসময় তাদের হারানো মাথা খুঁজে বেড়ায়। অন্য মানুষকে আক্রমণ করে তাঁদের দাসে পরিণত করে ও তার মাথা খোঁজার কাজে নিয়োগ করে।
মামদো (ghosts in bengali folklore)
মনে করা হয়, কোনও মুসলিম ব্যক্তি মৃত্যুর পর এই ভূত হন। এদের কোমরের নিচ থেকে ক্রমান্বয়ে সরু হয়ে গেছে। এদের কোনও পা নেই। এরা বাতাসে ভেসে থাকে। এদের কারও মাথায় টুপি এবং লম্বা লম্বা দাড়ি দেখতে পাওয়া যায়। সত্য়িই মামদো ভূতের ছানাদের হাসতে মানা আছে কি না জানা নেই!
ভূতের রাজা
বাংলা লোককথায় নয়, বরং সাহিত্য়ে ও সিনেমায় এই ভূতের পরিচয় পাওয়া গিয়েছে। এই ভূতের কথা না বললেই নয়! সাধারণত ভূতের রাজা গুপি ও বাঘার শুনতে ভালবাসেন। তাঁকে ভাল গান গেয়ে শোনালে তিনি খুশি হয়ে তিন বর দেন। খুব ভাল মানুষ মানে ইয়ে ভূত!
মূল ছবি – ইনস্টাগ্রাম
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!