এমনি সময় আমরা যত খুশি সেলফি (selfie) তুলি না কেন, পুজো এলেই সেলফি তোলার হিড়িক দশগুণ বেড়ে যায়। একেকটা থিমের পুজোয় থাকে একেক রকম চমক। আর এর সবটাই ক্যামেরাবন্দী করতে না পারলে মন ভরে না। আর সবচেয়ে বেশি চাহিদা থাকে মা দুর্গাকে ব্যাকগ্রাউন্ডে রেখে ছবি তোলার। সেইজন্য প্রতিমার কাছে সবচেয়ে বেশি হুড়োহুড়ি দেখা যায়। অনেকেই এই নিয়ে আপত্তি জানান। কারণ এই সেলফি তোলার জন্য তাঁরা ভাল করে প্রতিমা দেখতে পারেন না। সবচেয়ে বেশি কষ্ট হয় বয়স্ক মানুষ ও শিশুদের। কারণ তাঁরা এত ধাক্কাধাক্কি বা ভিড় সহ্য করতে পারেন না। আচ্ছা আপনার হয়ে সেলফি যদি মা দুর্গা (durga) নিজেই তুলে দেন তাহলে কেমন হয়? চমকে গেলেন নাকি? চমক তো বটেই। আর এই চমক নিয়েই এবার দর্শনার্থীদের কাছে মূল আকর্ষণ হয়ে উঠতে চলেছে হাতিবাগান (hathibagan) সর্বজনীন (sarbojonin)। সেলফি তোলার সময় আমাদের দুর্গার দিকে পিঠ করে দাঁড়াতে হয়। আর পুজোর উদ্যোক্তারা সেটা একদম চাইছেন না। তাঁরা চাইছেন সেলফিপ্রেমী যুবসমাজ মায়ের দিকে মুখ করে দাঁড়াক। আর তাই দুর্গার তিনটি চোখেই তাঁরা বসিয়ে দিয়েছেন একটি করে মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। এই ক্যামেরা চলবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টলিজেন্সের মাধ্যমে। অর্থাৎ আপনি মা দুর্গার দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে জোর হাত করে প্রণাম করবেন আর মা দুর্গার চোখ আপনার শারীরিক অভিব্যক্তি বিশ্লেষণ করে ছবি তুলে নেবে।
বোঝাই যাচ্ছে বিষয়টি শুনতে যতটা সহজ লাগছে আসলে বিষয়টি বেশ কঠিন। কারণ এর সঙ্গে জড়িত আছে খুব উচ্চমানের প্রযুক্তি। সমগ্র বিষয়টিকে সফলভাবে রূপায়ন করতে ব্যাঙ্গালুরু থেকে কলকাতায় এসেছেন আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্স বিশেষজ্ঞরা। এখন আপনি নিশ্চয়ই ভাবছেন যে লক্ষ লক্ষ দর্শনার্থী আসবেন। তাঁদের সবার ছবি তোলা হলে আপনারটা তো হারিয়ে যাবে। আপনি সেই ছবি হাতে পাবেন কী করে? সেই ব্যবস্থাও করে রেখেছেন পুজোর উদ্যোক্তারা। ছবি তোলা হলেই মণ্ডপে রাখা স্ক্রিনে সেই ছবি ফুটে উঠবে। ছবির সঙ্গে স্ক্রিনে থাকবে একটি QR কোডও। যে কেউ নিজের মোবাইলে এই কোড স্ক্যান করলে সঙ্গে সঙ্গে তাঁর ফেসবুক প্রোফাইলে #MaaClicks নাম দিয়ে পোস্ট হয়ে যাবে ছবিটি! যারা প্রযুক্তি নিয়ে এত সড়গড় নয় তাঁদের সাহায্য করার জন্য থাকবেন স্বেচ্ছাসেবকরা। কারো যদি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট না থাকে তাহলে একটি পুশ মেসেজের মাধ্যমে আপনি ছবিটি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। তবে সব কিছু করতে গেলে আপনাকে দুটি কাজ করতে হবে। প্রথমত সেলফি তোলার মায়া ত্যাগ করতে হবে এবং মায়ের সামনে যাওয়ার জন্য ধৈর্য ধরে দাঁড়াতে হবে। তবে জগজ্জননী যেখানে স্বয়ং নিজের চোখ দিয়ে আমাদের ছবি তুলে দেবেন, তার জন্য এটুকু কষ্ট করাই যায়, তাই না?
Featured Images: cdjrohan2512, abhijit_98_devmondal
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
এসে গেল #POPxoEverydayBeauty – POPxo Shop-এর স্কিন, বাথ, বডি এবং হেয়ার প্রোডাক্টস নিয়ে, যা ব্যবহার করা ১০০% সহজ, ব্যবহার করতে মজাও লাগবে আবার উপকারও পাবেন! এই নতুন লঞ্চ সেলিব্রেট করতে প্রি অর্ডারের উপর এখন পাবেন ২৫% ছাড়ও। সুতরাং দেরি না করে শিগগিরই ক্লিক করুন POPxo.com/beautyshop-এ এবার আপনার রোজকার বিউটি রুটিন POP আপ করুন এক ধাক্কায়…