করোনা আতঙ্ক এবং লকডাউনে বিবিধ সমস্যার মুখোমুখি গোটা বিশ্ব। আর্থিক পরিস্থিতি প্রতিদিন খারাপ হচ্ছে। বহু মানুষ চাকরি (job) হারাচ্ছেন। অনেকেরই আবার উপার্জনের বেশ কিছু শতাংশ কেটে নেওয়া হচ্ছে। চরম মন্দার মুখোমুখি সকলেই।
পরিস্থিতি যাই হোক, হাল ছেড়ে দিলে তো হবে না। জীবনের দিকে তাকাতেই হবে। নতুন করে শুরু করতে হবে। তাই খুঁজতে হবে নতুন চাকরিও।
যে কোনও পরিস্থিতিতেই ইন্টারভিউ (interview) ক্র্য়াক করে চাকরি পাওয়াটা খুব সহজ নয়। এই মন্দার বাজারে তো চাকরি পাওয়াটা আরও কঠিন। তাই ইন্টারভিউয়ের জন্য আলাদা প্রস্তুতির প্রয়োজন। কীভাবে নিজেকে তৈরি করবেন, সে বিষয়েই কিছু পরামর্শ দেওয়ার চেষ্টা করলাম আমরা। হয়তো আপনার কাজে লাগতে পারে।
সাফল্য পেতে গেলে কিছু সহজ জিনিস মনে রাখা জরুরি।
১) যে চাকরির জন্য অ্যাপ্লাই করতে চাইছেন, তার সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে হবে আগেই। আপনার প্রোফাইল অনুযায়ী ঠিক কী কী কাজ করতে হবে, সে সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকা প্রয়োজন। ডেজিগনেশন অনুযায়ী কাজ কিনা, তাও যাচাই করে নিন।
২) কোম্পানির সম্পর্কে খুঁটিনাটি তথ্য জেনে নিন। প্রয়োজনে ইন্টারভিউ বোর্ডে প্রশ্ন করতে পারেন। প্রশ্ন করতে লজ্জাবোধ করবেন না। যে কোম্পানিতে চাকরি করতে যাচ্ছেন, তাদের পলিসি সম্পর্কে জেনে না নিলে পরে সমস্য়া হতে পারে।
৩) পোশাকের বিষয়ে সচেতন হতে হবে। ইন্টারভিউ দিতে গেলে যে পরিচ্ছন্ন পোশাক, মার্জিত সাজগোজ প্রয়োজন তা মেনটেন করুন। লকডাউনের পরিস্থিতিতে অনেক কোম্পানি ভার্চুয়াল ইন্টারভিউয়ের ব্যবস্থা করেছে। কম্পিউটার মনিটরের সামনে বসে ইন্টারভিউ দিলেও আপনার পোশাক মার্জিত ও পরিচ্ছন্ন হওয়া প্রয়োজন। উচ্চকিত পোশাক যেন না হয়। আর যদি মুখোমুখি ইন্টারভিউয়ের ব্যবস্থা থাকে, সেক্ষেত্রে মাস্ক এবং স্যানিটাইজার নিয়ে যান।
৪) আপনার কাজের দরকার রয়েছে বলেই আপনি ইন্টারভিউ দিতে গিয়েছেন। এই সারসত্য আপনি যেমন জানেন, তেমনই ইন্টারভিউ বোর্ডে থাকা ব্যক্তিরাও জানেন। ফলে নিজের যোগ্যতা প্রমাণের উপর জোর দিন। ভিক্ষা প্রার্থনা নয়। আপনার উৎসাহ রয়েছে, সেটা বুঝিয়ে দিন। কিন্তু অতি-উৎসাহ কোনও কোনও পরিস্থিতিতেই নেগেটিভ মার্কিং করে।
৫) বেশিরভাগ ইন্টারভিউয়ের শুরুতে প্রার্থীকে নিজের সম্পর্কে কিছু বলতে বলা হয়। এই অংশটা সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। হাজার হাজার চাকরি প্রার্থীর মধ্যে এই পয়েন্টটাই আপনাকে আলাদা করে তুলতে পারে। ফলে এটি ভাল করে তৈরি করে নিন আগে থেকেই।
৬) নিজের দক্ষতা এবং দুর্বলতা সম্পর্কে সত্যি কথা বলুন। মিথ্যে বললে তা ধরা পড়বেই। এমনকি নিজের অভিজ্ঞতা সম্পর্কেও অতিরঞ্জিত কোনও তথ্য দেবেন না।
৭) কীভাবে কোম্পানিতে আপনার কাজের মাধ্যমে আরও ভ্যালু অ্যাড করতে পারবেন, তা গুছিয়ে বলুন। কিন্তু ওপরচালাকি করবেন না।
৮) আপনি যে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেন, তার হাল-হকিকত সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা জরুরি।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!