এক টুকরো পেয়ারায় অল্প করে চাট মশলা ছড়িয়ে খেয়েছেন কখনও? উফফ কী স্বাদ তার। খাওয়া মাত্র যেন স্বর্গ! তবে অসময়ে যদি প্রকৃত স্বর্গে যেতে না চান, তাহলে নিয়মিত একটা করে পেয়ারা (guava health benefits) খাওয়া মাস্ট! কেন কথাটা বললাম? কারণ পেয়ারা হল এমন একটি ফল যা শুধু সুস্বাদুই নয়, নানা রকমের লাইফস্টাইল ডিজিজ থেকে আমাদের শরীর রক্ষা করতেও সাহায্য করে।
১। হার্ট সুস্থ রাখতে সাহায্য করে
ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট অনুসারে গত কয়েক বছরে সারা বিশ্বেই মহিলাদের মধ্যে হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেড়েছে চোখে পড়ার মতো। আর ঠিক এই কারণেই তো পেয়ারা খাওয়ার প্রয়োজনও বেড়েছে। আসলে এই ফলটিতে উপস্থিত একাধিক উপকারি উপাদান শরীরে প্রবেশ করা মাত্র একদিকে যেমন সোডিয়াম-পটাশিয়ামের ভারসাম্য বজায় রাখার মধ্যে দিয়ে রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে চলে আসে (guava health benefits), তেমনি ট্রাইগ্লিসারাইড এবং খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমিয়ে ফেলে। ফলে হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনি নানাবিধ কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজও ধারে কাছে ঘেঁষার সাহস পায় না
২। শরীরের ইমিউনিটি ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে
পেয়ারায় উপস্থিত ভিটামিন সি, শরীরে প্রবেশ করা মাত্র দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার (guava health benefits) উন্নতি ঘটায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই নানাবিধ সংক্রমণ যেমন দূরে থাকতে বাধ্য হয়, তেমনি ছোট-বড় কোনও রোগ-ব্যাধিই ধারে কাছে আসার সাহস পায় না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই শরীর রোগ মুক্ত হয়ে ওঠে
৩। দৃষ্টিশক্তি ভাল হয়
এই ফলটিতে উপস্থিত ভিটামিন এ, একদিকে যেমন দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায়, তেমনি ছানি এবং ম্যাকুলার ডিজেনারেশন মতো সমস্যাকে দূরে রাখতেও (guava health benefits) বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এই কারণেই তো যারা দৈনিক ৫-৬ ঘন্টার বেশি সময় কম্পিউটারের সামনে কাটায়, তাদের নিয়মিত একটা করে পেয়ারা খাওয়া মাস্ট!
৪। ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে পারে
নিয়মিত পেয়ারা খাওয়া শুরু করলে শরীরে লাইকোপেন, ভিটামিন সি এবং ফলিফেনল সহ আরও নানাবিধ অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, যা শরীরের কোনায় কোনায় উপস্থিত টক্সিক উপাদানদের বার করে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই শরীরে ক্যান্সার সেল জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা প্রায় থাকে না (guava health benefits) বললেই চলে। বিশেষত, ব্রেস্ট এবং প্রস্টেট ক্যান্সারকে দূরে রাখতে এই ফলটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৫। মধুমেহ নিয়ন্ত্রণে থাকে
প্রচুর মাত্রায় ফাইবার থাকার কারণে (guava health benefits) এই ফলটি খাওয়া মাত্র রক্তে শর্করার মাত্রা যেমন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে, তেমনি ইনসুলিনের কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ডায়াবেটিসের মতো রোগ ধারে কাছে ঘেঁষার সাহস পায় না। কাজেই, দুপুরে খাওয়ার পর একটা করে ডাঁসা পেয়ারা অবশ্যই খান।
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!