শৈশব আর যৌবনের মাঝের সময়টা হলো কৈশোর, এবং এই বয়সটা এমন একটা সময় যখন সবাই নিজের লুক নিয়ে একটু বেশি সচেতন থাকে. ত্বকে ব্রণ হোক বা চুল আঁচড়ানোর সময় বেশি চুল ঝরলে কিশোর-কিশোরীরা অধৈর্য হয়ে পরে. সবকিছু শর্টকাটে করার মতো চুল এবং ত্বকের যত্ন নেবার জন্যও এরা নানারকম শর্টকাট রাস্তা বেছে নেয় আর বিভিন্ন কসমেটিক ব্যবহার করতে শুরু করে. এতে চুলের ভালো থেকে খারাপ বেশি হয়. আসুন জেনে নি, কিভাবে চুলের যত্ন নেবেন –
আপনি যদি ভাবেন যে আপনি তো ব্লো-ড্রাই, হেয়ার কালার কিংবা অন্য কোনো কেমিকাল ট্রিটমেন্ট করান না, তাহলে আপনার স্প্লিট-এন্ড্সের সমস্যা হবে না, তাহলে খুব ভুল ভাবছেন. চুল লম্বা করার জন্য আমরা চুল কাটাইনা, কিন্তু এর ফলে চুলের আগা রুক্ষ, বেজান আর দু’মুখো হয়ে যায়. সেজন্য ৬-৮ সপ্তাহ পর পর চুল ট্রিম করাটা খুব প্রয়োজন.
সপ্তাহে ২-৩ বারের বেশি শ্যাম্পু করবেন না. আর শ্যাম্পু করার আগে চুলে খুব ভালো করে অলিভ অয়েল ম্যাসাজ করুন. এতে স্প্লিটেন্ডস হবে না আর চুল স্বাস্থ্যোজ্জ্বল হয়ে উঠবে.
ডিমের সাদা অংশ (এগ হোয়াইট) দিয়ে ভালো করে সপ্তাহে ২ বার চুলে ম্যাসাজ করুন. তারপর শ্যাম্পু করে নিন. এতে চুল নরম আর ঝলমলে হবে.
গরম জলে চুল একেবারেই ধোবেন না. চুল গরম জলে ধুলে চুলের গোড়া শুস্ক হয়ে যায় এবং এর ফলে খুশকি ও অন্য নানারকম স্ক্যাল্পের সমস্যা দেখা যায়.
জানি, চুলের নানারকম স্টাইল করতে এই বয়সে ইচ্ছে হয়, কখনো স্ট্রেট তো কখনো কার্ল. কিন্তু বারবার স্টাইলিং টুলস ব্যবহারে চুলের ক্ষতি হয় তাই হেয়ার স্টাইলিং যতটা কম করা যায় তত ভালো.
চুল ধোবার পর কখনো তোয়ালে দিয়ে নিংড়োবেন না. এতে চুলের গোড়া আলগা হয়ে যায় এবং দুর্বল হয়ে পরে, ফলে অতিরিক্ত পরিমানে চুল ঝরতে থাকে. আস্তে আস্তে ড্যাব করে চুল শুকোন.