এই পুজো ব্যাপারটা অবশ্য খানিকটা জোর করেই ঢুকিয়ে দেওয়া। নইলে আমরা এমনিতেই মোটেও নিজেদের শরীরের খুব একটা যত্ন নিই না! কিন্তু যেই না ওই ম্যাজিক ওয়ার্ডটা শুনতে পাবেন, অমনই তেড়েফুঁড়ে শুরু করে দেবেন ত্বক-চুল-শরীরের যত্ন! তাই বাধ্য হয়ে পুজোর উল্লেখ! (hair oiling tips before durga puja)
এবার আজকের আলোচনার বিষয় হল, আপনার চুলের জন্য পারফেক্ট তেল টি বেছে নেবেন কী করে। এখানে একটা মজা আছে। আমাদের কারও বাড়িতেই আলাদা-আলাদা সদস্যের জন্য আলাদা-আলাদা তেল আসে না। আমার বাবা মাথাজোড়া টাক নিয়েও যে তেল মাখেন, আমিও মন দিয়ে সেটাই মাখি আর ভাবি আমার চুল এতেই ভাল থাকবে!
কিন্তু আমাদের প্রত্যেকের চুলের ধরন আলাদা, তার প্রয়োজনও আলাদা। সুতরাং, তেলটাও তো আলাদাই হওয়া উচিত, তাই না? তাই সত্যিই যদি চুলের যত্ন নিতে চান, তা হলে আপনার চুলের ধরন অনুযায়ী তেল ব্যবহার করা শুরু করুন। কীভাবে এটা বুঝবেন, সেটাই এখানে বিশদে আলোচনা করছি আমরা। (hair oiling tips before durga puja)
যাদের স্ক্যাল্পে চুলকানি হয়
এই ধরনের চুলের জন্য আমন্ড অয়েল সবচেয়ে উপকারী। চুলে পুষ্টি জোগানোর পাশাপাশি আমন্ড অয়েল স্ক্যাল্পকে আর্দ্র রাখে। ফলে চুল তাড়াতাড়ি বাড়ে এবং মাথার চুলকানিও কমে! এই তেলের বেশ কিছু অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান আবার মাথার ত্বকে যে-কোনও সংক্রমণও প্রতিরোধ করে।
যদি আপনার চুল কোঁকড়ানো হয়, তা হলেও আমন্ড অয়েল আপনার জন্য উপকারী। কারণ, এই তেলে উপস্থিত ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড চুলের কোঁকড়া ভাব বজায় রেখেই পুষ্টি যোগায়।
যাদের চুল পাতলা
পাতলা চুলে তেল লাগানোটাই একটা ঝকমারি। কারণ, একটুতেই চুল তেলতেলে হয়ে যায়, প্যাতপ্যাতে দেখতে লাগে আর মনে হয়, চুল একেবারেই কম! আপনাদের প্রয়োজন একেবারে হালকা কোনও তেল। আবার যাঁদের চুল রুক্ষ কিংবা শুষ্ক, তাঁদের প্রতিদিন তেল লাগাতে পারলে ভাল হয়, কিন্তু সেটা করলে আবার চুল নেতিয়ে পড়বে!
এক্ষেত্রে কাজে আসবে রোজ অয়েল কিংবা আর্গান অয়েল। রোজ অয়েল ভারী হালকা, লাগালে কোথায় যে মিশে যায়, বুঝতেও পারবেন না। অন্যদিকে আর্গান অয়েল মাথার তালুতে ঢুকে চুলের হারানো আর্দ্রতা ফিরিয়ে দেয়। ফলে চুলও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল হয়ে ওঠে। (hair oiling tips before durga puja)
যাদের চুল তৈলাক্ত
এখানে একটা কথা পরিষ্কার করে বলে দিই। চুল তেলতেলে হয় না, স্ক্যাল্প তেলতেলে হয়। আর সেই স্ক্যাল্পের তেলেই চুল তেলতেলে দেখতে লাগে। এমন ধরনের সমস্যা আছে যাঁদের, তাঁরা বেছে নিন লেমন, ল্যাভেন্ডার অয়েল কিংবা রোজমেরি অয়েল। রোজমেরি স্ক্যাল্পে তেল বেরনোর প্রক্রিয়াটি স্লো করে দেয়, ফলে চুলও তেলতেলে লাগে না। লেমন কিংবা ল্যাভেন্ডার অয়েল স্ক্যাল্প সুদার হিসেবে কাজ করে তেল নিষ্ক্রমণ কম করে।
যাদের চুল বেশ ঘন
এটা আবার একটা প্রশ্ন হল! যে তেলই লাগান না কেন, ঘন চুলের তো আর কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়! তা বটে, কিন্তু জানেন কি, চুলের ঘনত্বের কারণে এঁদের চট করে ফাঙ্গাসের সমস্যা হতে পারে? কিংবা গরমে ঘেমে স্ক্যাল্পে দেখা দিতে পারে চুলকানির সমস্যাও? (hair oiling tips before durga puja)
তাই এই ধরনের চুলে অধিকারিণীরা একটিই তেলের উপর ভরসা করুন, সেটি হল, নারকেল তেল! আসলে নারেল তেলের নানা অ্যান্টি ফাঙ্গাল প্রপার্টি আপনার চুলকে এই সব সমস্যার হাত থেকে বাঁচাতে পারে। তাই চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত পুষ্টি জোগাতে চাইলে এই নারকেল তেলের উপরেই ভরসা রাখতে হবে।
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!