আমাদের ছোট-বড় সাফল্যের পিছনে বাবা-মায়ের অবদান যতটা, ততটাই শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরও। ছোট থেকে তাঁরা পথ দেখিয়েছিলেন বলেই না আমরা চারা গাছ থেকে আজ মহীরুহ হয়ে উঠতে পরেছি। গুরু দ্রোণাচার্য না থাকলে যেমন অর্জুন কি এই জগতের সেরার সেরা তীরন্দাজ হয়ে উঠতে পারতেন না? মনে তো হয় না! তেমনই মাটির ডেলার মতো ছোট বাচ্চাদের শিক্ষক-শিক্ষিকারা যদি যত্ন নিয়ে গড়ে না তুলতেন, তাহলে এই দেশ যে এক পাও এগতে পারতো না, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই! তাই তো গুরুদের সম্মান জানানো আমাদের প্রথম এবং প্রধান কর্তব্য। আর ঠিক এই কারণেই তো সারা বিশ্বজুড়ে ৫ অক্টোবর শিক্ষক দিবস হিসেবে পালন করা হয়ে থাকে, যে দিন ছাত্র-ছাত্রীরা তাঁদের গুরুকে সম্মান জানান। UNESCO-এর তত্ত্বাবধানে ১৯৯৪ সাল থেকে সারা বিশ্বে পাঁচই অক্টোবর দিনটি শিক্ষক দিবস (Teacher’s Day) পালন করা হলেও আমাদের দেশে কিন্তু ৫ অক্টোবর নয়, বরং ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবস হিসেবে পালন করা হয়ে থাকে। এমন কেন? এর পিছনে সুন্দর একটা গল্প রয়েছে।
Also Read: Unique Teacher’s Day Quotes & Wishes (In English)
ভারতের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি ডাঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ প্রথম জীবনে শিক্ষক ছিলেন। তাঁর পড়ানোর পদ্ধতি ছিলে বেশ হাটকে। প্রায় দিনই পড়ানোর সময় তিনি এমন সব উদাহরণ দিতেন, যা ছাত্র-ছাত্রীদের খুব অনুপ্রাণিত করতো। ফলে অল্প দিনেই তিনি বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। সে সময়ই ছাত্র-ছাত্রীরা তাঁদের প্রিয় শিক্ষককে সম্মান জানাতে স্যারের জন্মদিন পালনের সিদ্ধান্ত নেন। কথাটা রাধাকৃষ্ণণের কানে যাওয়া মাত্র তিনি ছাত্রদের অনুরোধ করেন ৫ সেপ্টেম্বর, মানে তাঁর জন্মদিনের দিন শুধুমাত্র তাঁকে সম্মান না জানিয়ে যেন ছাত্রা-ছাত্রীরা সেই সকল শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সম্মান জানান, যাঁরা প্রতিনিয়ত জ্ঞান এবং চেতনা বিকাশের মধ্যে দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। সেই থেকেই প্রতি বছর পাঁচই সেপ্টেম্বর দিনটি আমাদের দেশে শিক্ষক দিবস হিসেবে পালন করা হয়ে থাকে। আচ্ছা, জানা আছে কি কোন সাল থেকে আমাদের দেশে শিক্ষক দিবস (Teacher’s Day) পালিত হচ্ছে? ছাত্র-ছাত্রীরা ডাঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণের জন্মদিন পালন করেছিলেন ১৯৬২ সালের পাঁচই সেপ্টেম্বর। সেই থেকেই সারা দেশে এই দিনটি ঘটা করে শিক্ষক দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
১| মনে রাখবেন একটা বই, একটা পেন, একজন বাচ্চা এবং একজন শিক্ষক সারা বিশ্বের ছবিটাই বদলে দিতে পারে – মালালা ইউসুফজাই
২| একজন সাধারণ শিক্ষক যেখানে শুধু চোখ-কান বন্ধ করে পড়িয়ে যান, সেখানে একজন আদর্শ শিক্ষক ছাত্রা-ছাত্রীদের নানা ভাবে অনুপ্রাণিত করেন। শুধু তাই নয়, পুঁথিগত শিক্ষার পাশাপাশি প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীকে প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলাও একজন প্রকৃত শিক্ষকের প্রথম এবং প্রধান কাজ – উইলিয়াম আর্থার ওয়ার্ড
৩| একজন প্রকৃত শিক্ষক সেই, যিনি ছাত্র-ছাত্রীদের ভালবেসে পড়াশোনা করতে অনুপ্রাণিত করেন। ব্যর্থতার দিনে পাশে থাকেন এবং পড়াতে পড়াতে ছাত্রদের কাল্পনিক শক্তিকে বাড়িয়ে তোলেন – ব্র্যাড হেনরি রিড
৪| খুব ছোট বয়স থেকেই শিক্ষক-শিক্ষিকারা বাচ্চাদের ঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে যান বলেই সমাজ ভুল পথে যাওয়ার সুযোগ পায় না। বাচ্চারা, বড়দের সম্মান করতে শেখে। সমাজ এবং দেশকে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে হয় সেই জ্ঞান লাভ করে। তাই তো এত যুদ্ধ এবং দাঙ্গার পরে এই পৃথিবী শেষ হয়ে যায়নি – সক্রেটিস
৫| শিক্ষকতা আর পাঁচটা পেশার মতো নয়। কারণ, একজন শিক্ষক শুধু পড়ান না, সেই সঙ্গে ছাত্র-ছাত্রীদের ক্ষমতার বিকাশ ঘটান এবং তাঁদের একজন প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলেন। তাই এই দেশের মানুষ যদি আমাকে একজন শিক্ষক হিসেবে মনে রাখে, তাহলে সেটাই হবে আমার জীবনের সবথেকে বড় সম্মান – এ পি জে আবদুল কালাম
৬| শিক্ষাই যেহেতু সাফল্যের চাবিকাঠি, তাই ছাত্র-ছাত্রীদের মনে তাঁদের শিক্ষক-শিক্ষিকারা চিরস্থায়ী ছাপ রেখে যান, যা না ভোলা স্মৃতির মতো – সলোমন আর্টিজ
৭| শিক্ষক-শিক্ষিকারা আমাদের প্রতিনিয়ত অনুপ্রাণিত করেন। নানা মজার মজার উদাহরণ দিয়ে এমনভাবে আমাদের গড়ে তোলেন যে নিমেষেই এই অচেনা পৃথিবীর অনেক কিছুই চেনা ঠেকতে শুরু করে – নিকোলাস স্পার্ক
৮| শিক্ষক-শিক্ষিকারাই আমাদের উপলব্ধি করতে শেখান যে সাফল্যই জীবনের অন্তিম স্টেশান নয়। কারণ, সাফল্য অনেক সময়ই মানুষকেই উদ্ধত্য করে তোলে। ফলে যে মুহূর্তে সে নিজেকে অপরাজেয় ভাবতে শুরু করে, তখনই সে যুদ্ধে হেরে যায়। তাই ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিন, আর সাফল্যকে ভুলেও গুরুত্ব দেবেন না – বিল গেটস
৯| মহান শিক্ষকদের জীবনী পাঠ করলে তা থেকে এত কিছু শেখার সুযোগ মেলে যে মনের ধোঁয়াশা কেটে যেতে সময় লাগে না – উইলিয়াম গ্লাসার
১০| প্রযুক্তি হল সেই মাধ্যম, যা অনেককে একসঙ্গে কাজ করতে অনুপ্রাণিত করে। কিন্তু একজন শিক্ষক প্রকৃত মানুষ গড়ে তোলেন – বিল গেটস
১১| শিক্ষক-শিক্ষিকারা হলেন এই সমাজের প্রকৃত হিরো, যাঁরা জ্ঞানের দরজা খুলে দিয়ে প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রীকে সমৃদ্ধ করে তোলেন।
১২| একজন প্রকৃত শিক্ষক হলেন সেই, যিনি প্রতি সেকেন্ডে নতুন কিছু শিখে চলেছেন এবং সেই জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে আরও অনেককে অনুপ্রাণিত করছেন।
১৩| বাবা-মাই হলেন আমাদের প্রথম শিক্ষক। কারণ, জন্মের পর থেকে মৃত্যুর আগে পর্যন্ত প্রতিনিয়ত ছেলে-মেয়েরা বাবা-মায়ের কাছ থেকে কিছু না কিছু শিখে চলেছেন, যা তাঁদের প্রতি মুহূর্তে অনুপ্রণিত করছে। তাই তাঁদেরও জানাই শিক্ষক দিবসের শুভেচ্ছা (Teacher’s Day Quotes)।
১৪| প্রতিটি বাড়িই এক একটা বিশ্ববিদ্যালয়। কারণ, প্রত্যেক বাবা-মাই এক একজন প্রকৃত শিক্ষক – মহাত্মা গান্ধী
১৫| আমার মনে হয় একজন শিক্ষক হিসেবে আমি প্রতি মুহূর্তে দেশ গঠনের কাজ করে চলেছি – এ পি জে আবদুল কালাম
১| যে কোনও সফল ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার এবং বিজ্ঞানীর পিছনে যে একজন শিক্ষকের অবদান রয়েছে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই – নরেন্দ্র মোদী
২| শিক্ষক-শিক্ষিকাকে প্রশ্ন করতে ভয় পাবেন না। কারণ, প্রশ্ন করলে তবেই না জ্ঞানের বিকাশ ঘটবে – আলবার্ট আইনস্টাইন
৩| ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ানোর সময় হয়তো আপনি সঙ্গে সঙ্গে ফল পাবেন না। কিন্তু ধৈর্য ধরে পড়িয়ে গেলে একদিন একদিন দেখবেন আপনার পরিশ্রমের ফল পাবেই পাবেন।
৪| সাধারণ শিক্ষকেরা জটিলকে সহজ করার রাস্তা জানেন না, যেখানে একজন প্রকৃত শিক্ষক কঠিনকে এতটাই সহজ ভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের সামনে তুলে ধরেন যে পড়াশনার প্রতি যে ভীতি রয়েছে তা নিমেষে উধাও হয়ে যায় – রবার্ট ব্রোল্ট
৫| ছোট থেকেই শিক্ষক-শিক্ষিকারা স্বপ্ন দেখান বলেই কিন্তু আমরা চরম সাফল্যের স্বাদ পাওয়ার ইচ্ছায় লড়াই চালিয়ে যাই। তাই শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ছাড়া আমরা অন্ধ!
৬| একজন শিক্ষকের প্রথম এবং প্রধান কাজ হল প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু অবিষ্কার করে যাওয়া। আর সেই আবিষ্কারকে কাজে লাগিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের জীবন বদলে দেওয়া।
৭| শিক্ষক-শিক্ষিকারা সারা জীবন তাঁদের ছাত্র-ছাত্রীদের অনুপ্রাণিত করেন। তাই তো সমাজ গঠনে এদের অবদানকে দারিপাল্লায় মাপা মুর্খামি ছাড়া আর কিছুই নয় – হেনরি অ্যাডামস
৮| নতুন কিছু শেখার সময় আমাদের মস্তিষ্ক না ভয় পায়, না ক্লান্ত হয়ে পড়ে। বরং প্রতিবারই নতুন উদ্যমে কিছু না কিছু শিখে চলে। তাই তো শেখার ইচ্ছাকে মেরে ফেলাটা পাপ – লিওনার্দো দা ভিঞ্চি
৯| চক এবং চ্যালেঞ্জ, এই দুয়ের মিশ্রণে যে কোনও সময়ই যে কোনও শিক্ষক, যে কারও জীবন বদলে দিতে পারে।
১০| যে কোনও স্বাধীন দেশের ভবিষ্যত নির্ভর করে একজন শিক্ষকের অদর্শ এবং অধ্যবসায়ের উপর।
১১| শিক্ষক-শিক্ষিকার অনুপ্রেরণায় কোনও ছাত্র-ছাত্রীর কলম থেকে যেমন সুখপাঠ্য কবিতার জন্ম হতে পারে, তেমনই আদর্শ সমাজ গড়ে ওঠার পথও প্রশস্ত হয়। তাই তো শিক্ষক-শিক্ষিকারাই হলেন এই সমাজের প্রকৃত সুপার হিরো। তাঁদের জানাই শিক্ষক দিবসের শুভেচ্ছা (Teacher’s Day Wishes)।
১২| শিক্ষক-শিক্ষিকারা শুধু পড়ান না। তাঁরা ‘লিডার’ তৈরি করেন।
১৩| একজন শিক্ষক (Teachers) শুধুমাত্র কঠিন অঙ্কের সমাধান বাতলেই থেমে থাকেন না। বরং মস্তিষ্কে ঘুরপাক খাওয়া জটিল সব ভাবনা, ভয় এবং ছোট-বড় নানা প্রশ্ন দূর করে মনের ধোঁয়াশাও মেটান।
১৪| প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যেই কিছু না কিছু গুণ রয়েছে, যা আবিষ্কার করে সেই মতো তাঁদের অনুপ্রাণিত করাই একজন প্রকৃত শিক্ষকের প্রথম এবং প্রধান কর্তব্য।
১৫| শিক্ষক-শিক্ষিকারা হলেন এই সমাজের সবচেয়ে দায়িত্বশীল এবং গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। কারণ, তাঁদের পেশাদারি প্রচেষ্টা এবং চরিত্রের উপরে যে কোনও দেশের ভবিষ্যত নির্ভর করে।
১| যখনই ধাক্কা খেয়ে মুখ থুবড়ে পড়েছি, তখনই আপনাকে পাশে পেয়েছি। আপনার অপার জ্ঞান এবং বুদ্ধি আমায় রাস্তা দেখিয়েছে। তাই আজ আপনাকে মন থেকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। হ্যাপি টিচার্স ডে ম্যাডাম!
২| আজ আমি একজন সফল ব্যক্তি। মোটের উপর সবই সে কথা জানে। কিন্তু অনেকেই জানেন না যে আপনি যদি সকাল-বিকাল আমরা পিছনে পরে থেকে মাথায় ঘাম পায়ে না ফেলতেন, তাহলে হয়তো সে দিনের আমি, আজকের আমি হয়ে উঠতে পারতাম না। তাই আমরা সাফল্য আপনার সাফল্য। শিক্ষক দিবসের আন্তরিক শুভেচ্ছে রইলো স্যার।
৩| জ্ঞানী লোকেরা বলেন, প্রাকৃত শিক্ষক-শিক্ষিকারা নাকি শুধু বই দেখে নয়, বরং মন থেকে পড়ান। আমি ভাগ্যবান, তেমনই একজন টিচারের সন্ধান পয়েছি। অনেক অনেক ধন্যবাদ স্যার আমার পাশে থাকার জন্য, আমাকে প্রতি মুহূর্তে অনুপ্রাণীত করার জন্য। হ্যাপি টিচার্স ডে
৪| নিজের মতো করে ছাত্র-ছাত্রীদের গড়ে তোলা শিক্ষকের কাজ নয়। বরং প্রত্যেক জনের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের কথা মাথায় রেখে সেই মতো তাঁদের অনুপ্রাণিত করাই একজন প্রকৃত শিক্ষকের লক্ষণ।
৫| শিক্ষক-শিক্ষিকারা হলেন অনেকটা মোমবাতির মতো, যে নিজেকে জ্বালিয়ে অন্যের জীবনকে আলোকিত করে যায়। হ্যাপি টিচার্স ডে!
৬| একজন গুণী শিক্ষক, ছাত্রী-ছাত্রীদের জ্ঞানের চাহিদা যেমন মেটান, তেমনই মানুষষের মতো মানুষ হয়ে ওঠার শিক্ষাও দেন। স্যার, বলতে দ্বিধা নেই, আপনিও তেমনই একজন শিক্ষক। তাই তো এই বিশেষ দিনে আপনাকে মন থেকে জানাতে চাই ধন্যবাদ ও অনেক অনেক শিক্ষক দিবসের শুভেচ্ছা!
৭| সেই ছোট বয়সে আপনি হাল ধরেছিলেন বলেই হয়তো জীবনের তরণী আজ কূলের সন্ধান পেয়েছে। মন থেকে তাই থ্যাঙ্ক ইউ বলতে চাই ম্যাডাম। একদিন স্কুলে আসবে দেখা করতে। ভাল থাকবেন ম্যাডাম। হ্যাপি টিচার্স ডে (Teacher’s Day Wishes)।
৮| জ্ঞান, ভালবাসা, বন্ধুত্ব এবং নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা, এই সব গুণই পেয়েছি আমি একজন মানুষের কাছ থেকে। আর সেই মানুষটা হলেন আপনি। শিক্ষক দিবসের আন্তরিক শুভেচ্ছ!
৯| সেরার সেরা শিক্ষকের পুরষ্কার কে পাবেন তার ঘোষণা হয়ে গেছে। আর সেই পুরষ্কার পাচ্ছেন আপনি…আপনি…শুধু আপনি। হ্যাপিওয়ালা টিচার্স ডে স্যার!
১০| আমি নিজের সম্পর্কেরও এমন অনেক কিছু জানি না, যা আপনি জানেন। কারণ, সবাই যখন আমায় পিছনে ফেলে সামনে এগিয়ে গিয়েছিল, তখন আপনি আমার হাত ধরেছিলেন। দুঃখ বুঝেছিলেন। তাই বলতে দ্বিধা নেই, আপনি না থাকলে হয়তো জীবনটা এত সুন্দর হয়ে উঠতো না। শিক্ষক দিবসের শতকোটি শুভেচ্ছা!
১১| শুধুমাত্র সিলেবাস শেষ করেই আপনি খান্ত হননি। দুঃখে যখন চোখে জল এসেছে, আপনি বন্ধুর মতো পাশে থেকেছেন। হোঁচট খাওয়া মাত্র হাত ধরেছেন। আজ প্রায় দশ বছর হল স্কুল জীবন পিছনে ফেলে এসেছি ম্যাম। কিন্তু একটা দিনও আপনার কথা না ভেবে কাটেনি। হ্যাপি টিচার্স ডে!
১২| আপনি শুধুমাত্র শিক্ষক নন। আপনি হলেন ফ্রেন্ড, ফিলোসফার এবং গাইড। এমন একজন মানুষকে কাছে পেয়ে আমি কৃতজ্ঞ। শিক্ষক দিবসের অনেক অনেক শুভেচ্ছা স্যার!
১৩| আজ শিক্ষক দিবস। এই বিশেষ দিনে আমার সবথেকে প্রিয় ম্যাডামের জন্য রইলো অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং ভালবাসা।
১৪| আপনি হলেই সেই মানুষ, যিনি আমার সমস্যা শোনা মাত্র সমাধান বাতলে দিতেন। তুমুল ব্যস্ততার দিনেও পাশে থাকতেন। তাই আপনি শুধুমাত্র আমার শিক্ষিকা নয়, আপনি হলেন আমার আরেক মা। হ্যাপি টিচার্স ডে ম্যাডাম!
১৫| স্যার আমাদের কথা মনে পরে? কী বিচ্ছু ছিলাম বলুম! আপনি ছাড়া কেউ আমাদের সামলাতে পারতো না। আজ খুব মনে পরছে আপনার কথা। ভাল থাকবেন স্যার। শিক্ষক দিবসের অনেক অনেক শুভেচ্ছা!
১| একজন প্রকৃত শিক্ষক যেমন কখনই জ্ঞানের দরজা বন্ধ রাখেন না, তেমনই আপনার বাড়ির দরজাও আমার জন্য কখনও বন্ধ হয়নি। মাধ্যমিকের আগে আপনার এই সাপোর্ট না পেলে আমি অঙ্কে গোল্লা পেতামই। স্যার, আজও মনে পরে যায় সেই দিনগুলোর কথা। ভাল থারবেন স্যার, শরীরের খেয়াল রাখবেন। শিক্ষক দিবসের অনেক অনেক শুভেচ্ছা (Teacher’s Day Messages)।
২| স্কুল শেষ হয়ে যাওয়ার এত বছর পরেও আপনাকে ধন্যবাদ জানানোর ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। শুধু এইটুকুই বলতে চাই যে আমার প্রয়োজনের দিনে আপনি যেমন আমার পাশে ছিলেন, তেমনই আমিও আপনার পাশে রয়েছি। নিজেকে কখনও একা ভাববেন না। হ্যাপি টিচার্স ডে ম্যাডাম!
৩| আমার জীবনে আপনার জায়গা কেউ নিতে পারবে না স্যার! শিক্ষক দিবসের অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
৪| আপনার ডেডিকেশন এবং পরিশ্রমের ফল হলাম আমি। থ্যাঙ্ক ইউ স্যার, এই ভাবে আমার পাশে থাকার জন্য।
৫| সবাই বলে, ‘নলেজ ইজ দা লাইট’। আমি বলি, আপনি হলেন আমারা ‘গাইডিং লাইট’। তাই আজকের দিনে আপনাকে কীভাবে ভুলে যাই বলুন! হ্যাপি টিচার্স ডে!
৬| আপনার আদর্শেই আমি আজ প্রকৃত অর্থে মানুষ হয়ে উঠেছি। তাই অনেক অনেক ধন্যবাদ ম্যাম!
৭| আপনি শুধুমাত্র আমাদের শিক্ষিত করে তোলেননি, জীবন কীভাবে বাঁচতে হয়, সেই শিক্ষাও দিয়েছিন। হ্যাপি টিচার্স ডে স্যার (Teacher’s Day Messages)!
৮| খব কম মানুষের মধ্যেই অন্যকে বোজানোর ধৈর্য থাকে। বলতে দ্বিধা নেই, আপনি সেই বিরল মানুষদের অন্যতম।
৯| আপনি আমার হিরো। হ্যাপি টিচার্স ডে (Teacher’s Day)!
১০| ধন্যবাদ আমাকে খোলা চোখে স্বপ্ন দেখতে শেখানোর জন্য। ধন্যবাদ মানুষের মতো মানুষ হিসেবে গড় তোলার জন্য!
১১| আপনার বেতের সেই সপাং সপাং আওয়াজটা যখনই কানে বাজে, তখনই বুঝতে পারি, সেদিন আপনি যদি এমন কড়া হাতে আমাকে না সামালাতেন, তাহলে হয়তো জীবনটা এত সুন্দর হয়ে উঠতো না। তাই আজকাল আপনার কথা খুব মনে পরে স্যার। ভাল থাকবেন, আনন্দে থাকবেন।
১২| ছাত্র হিসেবে আমি আপনার কাছে কত নম্বর পাবো জানা নেই, কিন্তু শিক্ষক হিসেবে আপনি একশোয় একশো পাবেই পাবেন! শিক্ষক দিবসের অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
১৩| আপনার প্রচেষ্টা এবং কঠোর পরিশ্রমের কোনও তুলনা হয় না ম্যাম। হ্য়াপি টিচার্স ডে।
১৪| আপনি আমার অনুপ্রেরণা। আপনি আমার অন্ধকারের আলো। শিক্ষক দিবসের অনেক অনেক শুভেচ্ছা!
১৫| ক্লাস সেভেনে ফেল করার পরে সবাই যখন মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল। তখন আপনি ছিলেন, যিনি এই ল্যাংড়া ঘোড়ার উপরে বাজি ধরেছিলেন। আপনার সেই ল্যাংড়া ঘোড়া আজ একের পর এক রেস জিতছে। থ্যাঙ্ক ইউ স্যার আমার উপর বিশ্বাস রাখার জন্য।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
এগুলোও আপনি পড়তে পারেন
অনুপ্রাণিত করার মতন কিছু গান্ধীজির উপদেশ
ডটার্স ডে উপলক্ষ্যে মেয়েকে পাঠাতে পারেন এই শুভেচ্ছা গুলি
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!