আমাদের মনে প্রায়ই এই প্রশ্নটা আসে আমাদের কি ঘি খাওয়া উচিত না কি ঘি খাওয়া উচিত নয়। অতিরিক্ত পরিমাণ ঘি খাওয়ার কারণে কি আরও মোটা হয়ে যাব! হজমে কি সমস্যা হবে? ইত্যাদি ইত্যাদি প্রশ্ন আমাদের মনে চলতে থাকে। বাজারচলতি যে সব ঘি পাওয়া যায়, সব রকম ঘিয়ের কথা জানি না। তবে গাওয়া ঘি বা খাঁটি ঘি-এর কথাই নিশ্চয়ই শুনেছেন। আসলে গাওয়া ঘি কথাটিই এসেছে গব্য ঘি থেকে। অর্থাৎ, যে ঘি গরুর দুধ থেকে তৈরি হয়। প্রাচীন ভারতেও ঘি (health benefits of ghee) খাওয়ার রীতি ছিল। কারণ মনে করা হত, ঘি হল সুখ ও সমৃদ্ধির প্রতীক। তাহলে ঘি খাওয়া ঠিক কি না সেই নিয়ে আপনার যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর দেব আমরা।
প্রথমে জেনে নিই গাওয়া ঘি কী
গাওয়া ঘি আসলে গব্য ঘৃত। অর্থাৎ গরুর দুধ থেকে যে খাঁটি ঘি (health benefits of ghee) তৈরি হয় তাকেই গাওয়া ঘি বলে। সাধারণত গরুর দুধ বেশ অনেকক্ষণ ধরে জ্বাল দিয়ে তারপর এই ঘি তৈরি হয়। বাড়িতে তৈরি ঘিয়ে কোনও কিছু মেশানো হয় না তাই এর রং একটু স্বচ্ছ এবং সাদাটে হয়।
ঘি খেলে আপনি কী কী উপকার পাবেন
ঘিয়ে আছে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট
ঘিয়ের উপকারিতা নিয়ে যখন আলোচনা করছি, প্রথমেই এই বিষয়টাতেই নজর দেওয়া উচিত মনে হল। কারণ, আমাদের সবার মনেই এই প্রশ্ন চলতে থাকে, আচ্ছা ঘি (health benefits of ghee)খেলে কি মোটা হয়ে যাব? আসলে সব সময় ফ্যাট ক্ষতিকর হয় না। কিছু ফ্যাট আছে যার প্রয়োজন আমাদের শরীরের আছে। এগুলোকে বলা হয় ফ্রেন্ডলি ফ্যাট। ঘিয়ে এই জাতীয় ফ্যাট আছে। মাছের মধ্যে যেমন ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায় ঠিক তেমনই ঘিয়েও প্রচুর পরিমাণে এটি মজুত থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে যারা নিয়মিত ঘি খান তাঁদের হার্টের অসুখ কম হয় এবং তাঁদের কোলেস্টরল বৃদ্ধিও কম হয়। তাই এই বিষয়টি নিয়ে আপনি নিশ্চয়ই চিন্তামুক্ত।
পেটের সমস্যা সমাধান করে
অনেকেরই অ্যাসিডিটি বা অন্যান্য কারণে পেট জ্বালা করে। শরীরে কষ্ট হয়। এই জাতীয় সমস্যা সমাধান করে ঘি। এটি শরীরের মধ্যে প্রবেশ করে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। হজম শক্তি মজবুত করে। তাছাড়া এটি ব্যাকটিরিয়া বা জীবাণুও প্রতিরোধ করতে সক্ষম। ফলে যারা পেটের সমস্যায় ভুগছেন তাঁরা ঘি খেলে পেটের অসুখ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসবে। তাহলে ঘি খেলে হজমের সমস্যা হবে এই ধারণা কিন্তু একদমই ভুল। বরং ঘিয়ের উপকারিতা (health benefits of ghee) অনেক।
হার্ট ভাল থাকে!
চমকাবেন না। সত্য়িই ঘি খেলে হার্ট ভাল থাকে। কনজুগেটেড লিনোলিক অ্যাসিড বা সিএলএ শুধু হার্টের জন্য ভাল তাই নয়, এটি বিভিন্ন রকমের কার্ডিও ভাস্কুলার রোগ থেকে আমাদের হার্টকে রক্ষা করে। তাহলে বুঝতেই পারছেন, হার্টের রোগীরা কিন্তু নিশ্চিন্তে ঘি খেতে পারেন। তবে খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।
ঘি খাওয়ার সময় যা যা মাথায় রাখবেন
- হার্টের সমস্যা থাকলে চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়ে ঘি খাবেন(health benefits of ghee)।
- ঘি খাওয়া ভাল মানে প্রতিদিন অতিরিক্ত পরিমাণে ঘি খাবেন না। অল্প পরিমাণে ঘি খাবেন। বা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঘি খাবেন।
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!