হঠাৎ এমন প্রশ্ন কেন, তাই ভাবছো নিশ্চয়? আসলে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক স্টাডিতে দেখা গেছে দাড়ি রাখলে একাধিক শারীরিক উপকার মেলে (benefits of beard)। বিশেষত ক্যান্সারের মতো মারণ রোগ তো ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। শুধু তাই নয়, মেলে আরও অনেক উপকার। যেমন ধরো…
পরিবেশে উপস্থিত নানাবিধ ক্ষতিকর উপাদান যাতে শরীরে প্রবেশ করতে না পারে সেদিকে যেমন খেয়াল রাখে নাকের ভিতরে থাকা চুল। ঠিক তেমনি দাড়ি রাখার অভ্যাস করলে আমাদের আশেপাশে উপস্থিত অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী নানাবিধ অ্যালার্জেনের (allergens) পক্ষেও ত্বকের উপরি অংশে ঘর বাঁধা সম্ভব হয়ে ওঠে না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বারে বারে অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যায় কমে। শুধু তাই নয়, একাধিক গবেষণায় একথাও প্রমাণিত হয়েছে যে অ্যাস্থেমার মতো রোগের প্রকোপও কমে যদি দাড়ি রাখা (health benefits of having beard) হয় তো!
প্রেমিকের গালে খোঁচা-খোঁচা দাড়ি অনেকেরই পছন্দ নয়! কারণ তাদের মনে হয় এমন স্টাইল করলে নাকি বুড়ো বুড়ো দেখায়। তবে আদতে কিন্তু মোটেও বুড়ো লাগে না। বরং দাড়ি রাখলে সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মির কারণে ত্বকের ক্ষতি হয় কম। ফলে স্কিন টোন খারাপ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তো কমেই, সেই সঙ্গে ত্বকের বয়সও কমে চোখে পরার মতো।
বিখ্যাত মাইক্রোবায়োলজিস্ট ডাঃ অ্যাডাম রবার্ট-এর করা এক গবেষণায় দেখা গেছে শীতের সময় দাড়ি রাখার অভ্যাস করলে (beard) শরীর গরম থাকে। ফলে দেহের তাপমাত্রা হঠাৎ করে কমে যাওয়ার আশঙ্কা আর থাকে না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ঠান্ডা লাগা বা জ্বর আসার মতো সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যায় কমে। সেই সঙ্গে দাড়িতে উপস্থিত কোনও এক উপকারি ব্যাকটেরিয়ার কারণে ক্ষতিকর জীবাণুরা ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। ফলে নানাবিধ রোগের আক্রমণে অসুস্থ হয়ে পরার আশঙ্কা যায় কমে।
দাড়ি রাখলে (full beard benefits) মুখের বেশিরভাগ অংশই ঢাকা থাকে। ফলে সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মির প্রায় ৯৫ শতাংশই সরাসরি ত্বকে আঘাত করার সুযোগ পায় না। আর স্কিনের উপর কম মাত্রায় “ইউ ভি” রশ্মির প্রভাব পরার কারণে স্বাভাবিকভাবেই স্কিন ক্যান্সারের মতো ভয়ঙ্কর রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যায় কমে। এবার নিশ্চয় বুঝতে পেরেছো বন্ধু, বয়ফ্রেন্ডকে দাড়ি রাখার অনুমতি দেওয়াটা কতটা জরুরি।
বেশ কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে নিয়মিত দাড়ি কাটলে একদিকে যেমন ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশান হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে, তেমনি ফলিকিউলাইটিস (folliculitis)এর মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার ভয়ও থাকে। কিন্তু এই সব সমস্যার কোনওটাই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না, যদি দাড়ি কাটা না হয়!
একাধিক গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়ে গেছে যে দাড়ি রাখার অভ্যাস করলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যওয়ার কোনও আশঙ্কাই থাকে না। ফলে ড্রাই স্কিনের মতো সমস্যা দূরে থাকে। এক্ষেত্রে দাড়ি অনেকটা দেওয়ালের কাজ করে, যে দেওয়ালে আটকে যায় ঠান্ডা বাতাস। সেই সঙ্গে সিবেসিয়াস গ্ল্যান্ড এতটাই অ্যাকটিভ হয়ে ওঠে যে ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রায় থাকে না বললেই চলে।
নিয়মিত দাড়ি কাটলে ত্বকের এত মাত্রায় ক্ষতি হয় যে ব্রণর মতো ত্বকের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যায় বেড়ে। সেই সঙ্গে স্কিন রুক্ষ হয়ে যাওয়ার কারণে সৌন্দর্য কমে চোখে পরার মতো। কিন্তু দাড়ি রাখলে এমন কোনও সমস্যাই হয় না। উল্টে স্কিনের সৌন্দর্য বাড়ে চোখে পরার মতো।
তাহলে কী সিদ্ধান্ত নিলে, প্রেমিককে দাড়ি কাটার জন্য় জোরাজুরি করবে, নাকি…
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!