আট থেকে আশি, সকলেরই তো পনির বেশ পছন্দের, তা হলে প্রায় দিনই পনিরের নানা মুখরোচক পদ রান্না করেন না কেন? তাতে ছোট-বড় সকলেরই যেমন রসনা তৃপ্তি হবে, তেমনই শরীরও চাঙ্গা থাকবে। মানে, পনির (Cottage cheese) খেলে শরীর চাঙ্গা থাকবে! কীভাবে শুনি? এই দুগ্ধজাত খাবারটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং ফাইবার, যা বহুক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে। ফলে শরীরে অতিরিক্ত পরিমাণে ক্যালরি প্রবেশ করতে না পারার কারণে ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা আর থাকে না। তবে শুধু ওজন কমাতেই নয়, পনিরে উপস্থিত নানা উপকারী (benefits) উপাদানের কারণে ছোট-বড় নানা রোগ দূরে থাকতেও বাধ্য হয়।
১. হাড় ও দাঁত শক্তপোক্ত থাকে
বেশ কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সিংহভাগ মহিলার শরীরেই ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দেয়। বিশেষ করে মেনোপজের পরে তো লাফিয়ে- লাফিয়ে কমতে থাকে ক্যালসিয়ামের মাত্রা। তাই তো মেয়েদের বেশি করে পনির (Paneer) খাওয়া উচিত। যদি রান্না করে খাওয়া সম্ভব না হয়, তা হলে কাঁচও খেতে পারেন, তাতেও উপকার মিলবে। কারণ, পনির হল ক্যালসিয়ামে ঠাসা। তাই তো প্রায় দিনই পনির খাওয়া শুরু করলে ক্যালসিয়ামের ঘটতি তো মেটেই, সঙ্গে হাড় এবং দাঁতও শক্তপোক্ত থাকে। বিশেষ করে বুড়ো বয়সে গিয়ে আর্থ্রাইটিসের মতো রোগের খপ্পরে পড়ার আশঙ্কা আর থাকে না।
২. ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে
পরিবারে ডায়াবেটিস রোগের ইতিহাস রয়েছে নাকি? তা হলে পনির দেখলে নাক সিঁটকোলে চলবে না। কারণ, এই দুগ্ধজাত খাবারটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম, যা শর্করার মাত্রাকে বেঁধে রাখতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। ফলে ডায়াবেটিসের মতো জটিল রোগ ধারেকাছেও ঘেঁষতে পারে না।
৩. হার্টকে চাঙ্গা রাখে
কমবয়সিদের মধ্যে যে হারে হার্টের রোগের প্রকোপ বাড়ছে, তাতে বেশি করে পনির খাওয়ার প্রয়োজন যে বেড়েছে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু পনিরের সঙ্গে হার্টের রোগের কী সম্পর্ক? এই খাবারটিতে রয়েছে পটাশিয়াম, যা রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখার মধ্যে দিয়ে হার্টকে চাঙ্গা রাখতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। তবে একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে, তা হল পনিরের যাই পদ রান্না করুন না কেন, তাতে বেশি মাত্রায় নুন দেবেন না যেন! তাতে কোনও উপকার তো মিলবেই না, উল্টে শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে রক্তচাপ লাগাম ছাড়াবে। ক্ষতি হবে হার্টেরও।
৪. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটবে
পনিরে উপস্থিত নানা উপকারী উপাদানের কারণে যেমন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে, তেমনই হিমোগ্লোবিন লেবেলও বেড়ে যায়, যে কারণে ছোট-বড় নানা রোগ ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। বিশেষ করে জ্বর, সর্দি-কাশি এবং bronchial asthma-এর মতো সমস্যা দূরে থাকতে বাধ্য হয়। নানা সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমে।
৫. ভাবী মায়েদের জন্য উপকারী
পনিরে রয়েছে ফলেট নামক একটি উপকারী উপাদান, যা fetal development যাতে ঠিক করে হয়, সেদিকে নজর রাখে। সেই সঙ্গে লোহিত রক্ত কণিকার ঘাটতিও মেটায়। ফলে প্রসবের আগে মা এবং বাচ্চার কোনও ধরনের শারীরিক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা আর থাকে না।
৬. হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে
বাঙালিরা হলেন জাত খাদ্যরসিক। তাই তো গ্যাস-অম্বলের মতো সমস্যা কখনই আমাদের পিছু ছাড়ে না। আর ঠিক সেই কারণেই তো মাঝে মধ্যে পনিরের নানা সুস্বাদু পদ খাওয়া উচিত। তাতে কী হবে? পনিরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম এবং ফসফরাস, রয়েছে ফাইবারও, যা হজম ক্ষমতার উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। সঙ্গে বদ-হজম এবং গ্যাস-অম্বলের মত সমস্যার প্রকোপ কমাতেও সাহায্য করে। তবে বেশি ঝাল-মশলা দিয়ে পনিরের কোনও পদ রান্না করলে কিন্তু এত উপকার না-ও পেতে পারেন।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!