অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ভাইরাল এবং অ্যান্টি-টিউমার প্রপাটিজে পরিপূর্ণ এই ফলটি (pomegranate) নিয়মিত খাওয়া শুরু করলে একদিকে যেমন ক্যান্সার এবং হার্ট ডিজিজের মতো ভয়ঙ্কর সব রোগ দূরে থাকতে বাধ্য হয়, তেমনি ভিটামিন এ,সি,ই, ফাইবার এবং ফলিক অ্যাসিডের ঘাটতি মিটতেও সময় লাগে না (pomegranate vitamins)। আর এইসব পুষ্টিকর উপাদানগুলি শরীরে প্রবেশ করার পর এমন খেল দেখায় যে নানাবিধ শারীরিক উপকার মেলার সম্ভাবনা যায় বেড়ে (health benefits of pomegranate)। যেমন ধরো…
১. শরীর বিষ মুক্ত হয়:
বেদানায় উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে (Health) প্রবেশ করা মাত্র ক্ষতিকর উপাদানদের ধ্বংস করে দেয়। সেই সঙ্গে টক্সিক উপাদানদের শরীর থেকে বার করে দিতেও সময় নেয় না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই দেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলির কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনি অসময়ে শরীর এবং ত্বকের বয়স বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও আর থাকে না।
Also Read : கிராம்புகளின் பக்க விளைவுகள்
২. ব্লাড ক্লট হওয়ার আশঙ্কা কমে:
ভিটামিন সি-এর পাশাপাশি এই ফলটিতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা শরীরে প্রবেশ করা মাত্র এমন খেল দেখাতে শুরু করে যে ব্লাড ক্লট হয়ে গিয়ে শরীরের কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা প্রায় থাকে না বললেই চলে।
ব্লাড ক্লট মূলত দু ধরনের হয়। এক তো কোথাও কেটে গেলে সেই ক্ষতস্থান ভরাতে ব্লাড ক্লট হয়। আর দ্বিতীয়ত, কোনও কারণে যদি হার্ট, আর্টারি অথবা শরীরের ভিতরে কোথায় ব্লাড ক্লট হয়, তাহলে কিন্তু বিপদ। কারণ সেক্ষেত্রে ভয়ঙ্কর কোনও রোগ ঘাড়ে চেপে বসার আশঙ্কা যায় বেড়ে। আর ঠিক এই ধরনের ব্লাড ক্লট যাতে না ঘটে, সে ব্যবস্থাই করে বেদানায় উপস্থিত ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাহলে বুঝতেই পারছো, শরীরকে রোগমুক্ত রাখতে এই ফলটি খাওয়ার প্রয়োজন কতটা!
৩. রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়:
নিয়মিত বেদানা খাওয়া শুরু করলে রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, যে কারণে হার্ট এবং মস্তিষ্কের পাশাপাশি শরীরের প্রতিটি অঙ্গের কর্মক্ষমতা এতটাই বৃদ্ধি পায় যে সার্বিকভাবে শরীর চাঙ্গা হয়ে উঠতে যেমন সময় লাগে না, তেমনি ছোট-বড় কোনও রোগ-ব্যাধির পক্ষেও ধারে কাছে ঘেঁষা সম্ভব হয় না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই আয়ু বাড়ে চোখে পড়ার মতো।
৪. স্মৃতিশক্তির উন্নতি ঘটে:
জার্নাল অব এগ্রিকালচার ফুড কেমিস্ট্রিতে প্রকাশিত এক স্টাডিতে দেখা গেছে নিয়মিত এক গ্লাস করে বেদানার রস (pomegranate juice) খাওয়া শুরু করলে শরীরে এমন কিছু উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, যার প্রভাবে ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পায় চোখে পড়ার মতো। আর এমনটা হলে একদিকে যেমন স্মৃতিশক্তির উন্নতি ঘটতে সময় লাগে না, তেমনি ডিমেনশিয়া এবং অ্যালঝাইমার্সের মতো রোগের খপ্পরে পড়ার আশঙ্কাও যায় কমে।
৫. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে:
পরিবারে কি হাই ব্লাড প্রেসারের ইতিহাস রয়েছে? তাহলে তো নিয়মিত এই ফলটি খাওয়া মাস্ট! কারণ রোজের ডায়েটে বেদানাকে অন্তর্ভুক্ত করলে শরীরে পিউনিসিস অ্যাসিডের (Punicic acid) মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, যে কারণে একদিকে যেমন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসতে সময় লাগে না, তেমনি খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমতে শুরু করে। ফলে হার্টের কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা আর থাকে না বললেই চলে।
আরও পড়ুন –
Benefits of Pomegranate in Hindi
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!