সক্কাল-সক্কাল ঘুম-ঘুম চোখে এক পেয়লা গরম চায়ে চুমুক দেওয়ার মজাই আলাদা! তবে চায়ের সঙ্গে বাঙালির সম্পর্ক যে সেই সকালবেলাতেই শেষ হয়ে যায়, তা নয়। কখনও অফিস ক্যান্টিনে সহকর্মীদের সঙ্গে গল্পের সঙ্গী হিসেবে, তো কখনও দিনের শেষ ক্লান্তি দূর করতে চা চাই-ই চাই! মোট কথা বাঙালির আত্মার সঙ্গে চায়ের যোগ বড়ই নিবিড়। আর তাতে করে যে আমরা লাভবানই হচ্ছি, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই! কারণ, চা পানের সঙ্গে আমাদের শরীরের ভাল-মন্দের যোগ রয়েছে। সকাল-বিকেল এক পেয়ালা করে লিকার চা (tea) খেলে শরীর বিষমুক্ত হয়। শুধু তাই নয়, চা পাতায় উপস্থিত নানা উপকারী উপাদানের গুণে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে, হজম ক্ষমতা বাড়ে এবং ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে থাকে। তবে মজার বিষয় কী জানেন, চায়ের উপকারিতা নিয়ে মানুষের মধ্যে তেমন একটা সন্দেহ না থাকলেও, এই পানীয়টিকে ঘিরে অনেক ভুল ধারণা (health myths) রয়েছে, যার কোনও বাস্তব ভিত্তি নেই।
১. হার্বাল চায়ে caffeine থাকে না
শরীকে সুস্থ রাখতে হার্বাল চায়ের কোনও বিকল্প হয় না ঠিকই। কিন্তু তা বলে এটা ভেবে নেওয়া ভুল হবে যে, এই চায়ে ক্যাফিন থাকে না। যেমন ধরুন, Guarana tea এবং Yerba mate tea-এর মতো হার্বাল চায়ে ক্যাফিন থাকে। তাই যে কোনও হার্বাল টি কেনার আগে দেখে নেওয়া উচিত তাতে ক্যাফিন রয়েছে কিনা। যদি থাকে, তা হলে দিনে ক’কাপ খাওয়া চলতে পারে, সে সম্পর্কেও জেনে নেওয়া জরুরি। কারণ, শরীরে মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে ক্যাফিনের প্রবেশ ঠিক নয়, তাতে করে নানা শারীরিক সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। সঙ্গে লেজুড় হতে পারে অনিদ্রা, অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়ার মতো সমস্যাও। অনেক সময় ক্যাফিনের কারণে হার্ট রেট বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে। তাই তো চা-কফির মতো যে সব পানীয়তে ক্যাফিন রয়েছে, তা দিনে তিন কাপের বেশি না খাওয়াই উচিত।
২. চা পাতার মতো টি-ব্যাগেও সমান উপকারী
হাতের কাছে টি-ব্যাগ থাকলে চা তৈরি করে ফেলতে তেমন একটা ঘাম ঝরাতে হয় না ঠিকই। কিন্তু একথা জেনে রাখা ভাল যে, টি-ব্যাগ কিন্তু চা পাতার মতো সমান উপকারী নয়। কারণ, চা পাতায় essential oil থাকে, তা অনেক সময়ই টি-ব্যাগে থাকা চায়ে অনুপস্থিত থাকে। তাই তো টি-ব্যাগের পরিবর্তে চা পাতা ব্যবহার করাই বুদ্ধিমানের কাজ। তাছাড়া চা পাতা দিয়ে তৈরি চায়ে যে সুবাস থাকে, তা টি-ব্যাগের চায়ে থাকে না বললেই চলে। তাই চা যদি খেতেই হয়, তা হলে চা পাতা দিয়েই তৈরি করাই উচিত।
৩. গ্রিন টি লাল চায়ের চেয়ে বেশি উপকারী
শরীরকে সুস্থ রাখতে গ্রিন টি নানা ভাবে সাহায্য করে ঠিকই। কিন্তু এই ধারণা ভিত্তিহীন যে, গ্রিন টি-র থেকে স্বাস্থ্যকর চা আর কিছুই হয় না। গ্রিন টি পান করলে যা উপকার পাওয়া যায়, সেই একই উপকার মেলে চিনি ছাড়া লাল চা খেলেও। কারণ, দু’টি পানীয়তেই রয়েছে সমান মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীরকে রোগ-ব্যাধির খপ্পরে থেকে দূরে রাখে। তাই হাতের কাছে গ্রি টি না পেলে লাল চাই খান।
৪. চায়ে দুধ মেশালে চায়ের উপকারিতা কমে যায়
সত্যিই কি এমন হয়? মোটেই না! Journal of Agricultural and Food Chemistry-তে প্রকাশিত এক স্টাডি অনুসারে, চায়ে দুধ মেশানোর পরেও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মান একটুও খারাপ হয় না। তাই লিকার চা খেলে যে উপকার পাওয়া যায়, সেই একই ফল যে দুধ চা খেলেও মেলে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই! বরং দুধে উপস্থিত ক্যালসিয়াম নানা ভাবে শরীরের কাজে আসে।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
এসে গেল #POPxoEverydayBeauty – POPxo-র স্কিন, বাথ, বডি এবং হেয়ার প্রোডাক্টস নিয়ে, যা ব্যবহার করা ১০০% সহজ, ব্যবহার করতে মজাও লাগবে আবার উপকারও পাবেন! এই নতুন লঞ্চ সেলিব্রেট করতে প্রি অর্ডারের উপর এখন পাবেন ২৫% ছাড়ও। সুতরাং দেরি না করে শিগগিরই ক্লিক করুন POPxo.com/beautyshop-এ এবার আপনার রোজকার বিউটি রুটিন POP আপ করুন এক ধাক্কায়…