সারা দিন ধরে নানা ভাবে আমাদের রক্তে মিশছে নানা ক্ষতিকর টক্সিক উপাদান। ঠিক সময়ে এই টক্সিক উপাদানগুলিকে ধ্বংস করে দিয়ে শরীরকে বিষমুক্ত করতে না পারলেই বিপদ! সেক্ষেত্রে ছোট-বড় নানা রোগের খপ্পরে পড়ার আশঙ্কা তো বাড়বেই। সঙ্গে দেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলিরও ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। অনেত সময় টক্সিক উপাদানের কারণে দেহের ভিতরে প্রদাহের মাত্রাও বেড়ে যায়, যে কারণেও অনেক ধরনের শারীরিক ক্ষতি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই শীত হোক গ্রীষ্ম, শরীরকে বিষ মুক্ত করা আমাদের প্রথম এবং প্রধান কাজ হওয়া উচিত। কীভাবে এই কাজ করবেন, তাই ভাবছেন? শীতকালীন কিছু ডিটক্স জুসের (Winter Detox) সন্ধান দিলাম আমরা, যা টক্সিক উপাদানদের ধ্বংস তো করবেই, সঙ্গে ভিতর থেকে শরীরকে এমন শক্তিশালী করে তুলবে যে রোগ-বালাই ধারেকাছেও ঘেঁষতে পারবে না।
১. আমলকির রস
আমাদের চেনা আমলকি যে শরীরকে সুস্থ রাখতেও কাজে আসে, সেকথা কি জানা ছিল? বিশেষজ্ঞদের মতে আমলকিতে উপস্থিত ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্তে মেশা মাত্র ক্ষতিকর উপাদানদের ধ্বংস করে দেয়। সেই সঙ্গে প্রদাহের মাত্রাও কমায়, আবার দেহের রোগ প্রতিরোধক ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে তোলে, যে কারণে শীতের মরসুমে বারে বারে শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ার আশঙ্কা কমে। তবে এত সব উপকার পেতে সকাল বেলা আধ গ্লাস আমলকির রস খেতেই হবে। তবে ভুলেও এই ফলের রস সন্ধেবেলা খাবেন না যেন! আপনার যদি অল্পতেই ঠান্ডা লেগে যাওয়ার ধাত থাকে, তা হলে সূর্যাস্তের পরে আমলকির রস খাওয়া উচিত নয়, তাতে ঠান্ডা লেগে যেতে পারে।
২. কমলালেবুর রস
শরীরকে ডিটক্স বা বিষমুক্ত করতে মরসুমি ফল-সবজির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আর শীতের মরসুমে যেখানে হাতের কাছে কমলা লেবুর মতো মহৌষধি রয়েছে, তখন আর চিন্তা কিসের! সিট্রাস প্রজাতির এই ফলে আমলকির মতোই প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি মজুত রয়েছে , দোসর আবার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ফলে বুঝতেই পারছেন সারা শীতকাল জুড়ে নিয়ম করে কমলালেবুর রস খেলে শরীর বাবাজিকে নিয়ে যে আর কোনও চিন্তাই থাকবে না, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কমলালেবুতে ভিটামিন সি-এর পাশাপাশি ভিটামিন বি রয়েছে, যা ত্বকের যত্নে নানা ভাবে কাজে আসে। বিশেষ করে ত্বকের বয়স কমাতে এই ভিটামিনটি নানা ভাবে সাহায্য করে থাকে।
৩. গাজরের রস
স্বাদে খাসা না হলেও শরীরকে সুস্থ রাখতে গাজরের রসের জুড়ি মেলা ভার। কেন এমন দাবী তাই ভাবছেন? তা হলে জেনে রাখুন, এই সবজিটিতে এমন সব উপকারী উপাদান রয়েছে, যা টক্সিক উপাদানগুলিকে নিমেষে শরীর থেকে বের করে দেয়। সঙ্গে হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়, চোখের ক্ষমতা বাড়ায়, রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটায় এবং ক্যান্সারের মতো রোগকে দূরে থাকতে বাধ্য করে। বেশ কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতেও গাজরের রসে উপস্থিত নানা ভিটামিন-মিনারেল দারুন কাজে আসে। তাই বুঝতেই পারছেন এমন উপকারী একটা সবজিকে দূরে রাখলে আপনারই ক্ষতি! ব্রেকফাস্টের সময় গাজরের রস খাওয়া যেতে পারে। আর যদি সক্কাল-সক্কাল গাজরের রস খেতে মন না চায়, তা হলে বিকালের দিকেও খেতে পারেন।
৪. পাতিলেবু এবং আদার রস
ডিটক্স জুস হিসেবে পাতিলেবু একাই একশো, তবে এর সঙ্গে যদি অল্প করে আদা মিশিয়ে দেওয়া যায়, তাহলে তো কথাই নেই! আসলে পাতিলেবুতে উপস্থিত ভিটামিন সি-এর সঙ্গে যখন আদায় মজুত অন্যান্য ভিটামিন-মিনারেলগুলি মিশে যায়, তখন দ্বিগুণ উপকার মেলে। বিশেষ করে অল্প সময়েই রক্ত পরিশুদ্ধ হয়, তার পাশাপাশি হজম ক্ষমতার উন্নতি তো ঘটেই, সেই সঙ্গে প্রদাহের মাত্রা কমে এবং ইমিউনিটি বেড়ে যায়, যে কারণে শীতকালে বারে-বারে সর্দি-কাশির খপ্পরে পড়ার আশঙ্কা আর থাকে না। এই জুস (Juices) তৈরি করতে কতটা পরিমাণে পাতিলেবুর রস আর আদা মেশাতে হবে? এক্ষেত্রে খান দুয়েক পাতিলেবুর রসের সঙ্গে চামচদুয়েক আদার রস, এক চামচ মধু এবং অল্প করে গরম জল মিশিয়ে সেই মিশ্রণ সকাল-বিকাল খেতে হবে, তা হলেই উপকার পাবেন।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
এসে গেল #POPxoEverydayBeauty – POPxo-র স্কিন, বাথ, বডি এবং হেয়ার প্রোডাক্টস নিয়ে, যা ব্যবহার করা ১০০% সহজ, ব্যবহার করতে মজাও লাগবে আবার উপকারও পাবেন! এই নতুন লঞ্চ সেলিব্রেট করতে প্রি অর্ডারের উপর এখন পাবেন ২৫% ছাড়ও। সুতরাং দেরি না করে শিগগিরই ক্লিক করুন POPxo.com/beautyshop-এ এবার আপনার রোজকার বিউটি রুটিন POP আপ করুন এক ধাক্কায়…