এক যে ছিল রাজা। তার ছিল এক রানি। মন্ত্রী, সেপাই, অমাত্য, পাত্র-মিত্র নিয়ে সে এক এলাহি রাজদরবার। হাতিশালে হাতি, ঘোড়াশালে ঘোড়া। মণিমুক্তোয় ভরা জীবন…। কী ভাবছেন বলুন তো? হঠাৎ রূপকথার গল্প কেন লেখা হচ্ছে? তার কারণ এই রূপকথাই এ বার আপনি দেখবেন বড়পর্দায়। সৌজন্য দেব এবং অনিকেত চট্টোরপাধ্যায়।
প্রযোজনাতে খাতা খোলার পর একের পর এক অন্যরকম বিষয় নিয়ে কাজ করছেন দেব (dev)। ঝুঁকিও নিচ্ছেন। এই ছবিও তাঁরই প্রযোজনার অঙ্গ। ছবির নাম ‘হবুচন্দ্র রাজা গবুচন্দ্র মন্ত্রী’ (Habuchandra Raja Gabuchandra Mantri)। হায়দরাবাদে শুটিংয়ের জন্য রাজকীয় আয়োজনই হয়েছে। রামোজি ফিল্ম সিটিতে ‘বাহুবলী’র সেটে চলছে শুটিং। এতটা গ্র্যাঞ্জার বাংলা ছবিতে আগে দেখা যায়নি বলেই মনে করেন কলাকুশলীরা। টিম ক্য়াপ্টেন অনিকেত (Aniket) চট্টোপাধ্যায়। অর্থাৎ পরিচালনার দায়িত্ব তাঁর।
চিত্রনাট্যে রয়েছেন এক ভাল রাজা (king)। কিন্তু দুষ্টু মন্ত্রীর ষড়যন্ত্রে তিনি নাজেহাল। অবশ্য ভাল মন্ত্রীও রয়েছেন। আর রয়েছেন রাজার সুন্দরী রানি। সদ্য প্রকাশ্যে এ এই ছবির লুক। রাজার চরিত্রে অভিনয় করছেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। রানি হলেন অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়। দুষ্টু মন্ত্রীর ভূমিকায় থাকবেন খরাজ মুখোপাধ্যায়। আর ভাল মন্ত্রীর চরিত্রে রয়েছেন শুভাশিস মুখোপাধ্যায়। লুক প্রকাশ্যে আসার পর সবচেয়ে বেশি প্রশংসিত হয়েছেন খরাজ এবং অর্পিতা।
অনিকেত বললেন, “দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদারের ‘সরকার মশাইয়ের থলে’ এবং ‘হবুচন্দ্র রাদা গবুচন্দ্র মন্ত্রী’- এই দুটো গল্প থেকে স্ক্রিপ্ট করা হয়েছে। এ ছবির মন্ত্রী রাজার বকলমে দেশ শাসন করেন। দেশটা যেন উল্টো রাজার দেশ। বিচার ব্যবস্থাও অদ্ভুত। মুড়ি-মিছরির এক দর সেখানে। হাতি, ঘোড়া, রাজসভা, জাদুকর, রাজ পারিষদ সবই থাকবে। বাচ্চাদের জন্য দারুণ এন্টারটেনমেন্ট।” ‘হীরক রাজার দেশে’, ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’-এর পরে বড়পর্দায় আর তেমন রূপকথা নিয়ে কাজ হয়নি বলে এই ছবি করার কথা ভেবেছেন বলে জানালেন পরিচালক।
শাশ্বত এবং খরাজকে নিয়ে আগেও কাজ করেছেন অনিকেত। এ বার তাঁরা রাজা-মন্ত্রীর জুটি। কমেডির মোড়কে চিত্রনাট্য এগোবে। ফলে রূপকথার সঙ্গে উপরি পাওনা হাস্যরস। এ ছবি যেমন ছোটদের, তেমন সমান ভাবে বড়দেরও। কারণ হাসির আড়ালে লুকিয়ে থাকা রাজনৈতিক বার্তাও পৌঁছবে আপনার কাছে।
‘হবুচন্দ্র রাজা গবুচন্দ্র মন্ত্রী’র প্রথম ঘোষণার সময় কিন্তু রাজা-রানি আলাদা ছিলেন। অর্থাৎ প্রথমে দেব এবং রুক্মিণী মৈত্রের ওই দুটি চরিত্রে অভিনয় করার কথা ছিল। সেই মতো কাজও শুরু হয়। হঠাৎই সিদ্ধান্ত বদলান তাঁরা। কারণ? তাঁদের মনে হয়েছিল, ওই দুটি চরিত্রে তাঁদের মানাবে না। পরিচালকও সেই ভাবনায় সহমত ছিলেন। তখন নতুন করে শুরু হয় রাজা-রানির খোঁজ। আর এখানেই বোধহয় কিছুটা আলাদা প্রযোজক দেব। তাঁর প্রযোজিত ছবি মানেই সব সময় মুখ্য চরিত্রে তাঁকেই অভিনয় করতে হবে, এমন কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। বরং নিজেকে না মানালে অন্য অভিনেতাকে জায়গা করে দিতেই স্বচ্ছন্দ তিনি। ভাল সিনেমা তৈরি করাই তাঁর একমাত্র লক্ষ্য। আর দিন কয়েকের অপেক্ষা। সব কিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের বড়দিনেই মুক্তি পাবে এই ছবি।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!