প্রেম একেবারে জমে উঠেছে বলুন! তা ব্রেকআপের জন্য তৈরি তো? আচ্ছা, ব্রেকআপ কেন হবে বলুন তো। সবই তো বেশ ভালই চলছে, তাহলে এমন অলক্ষণে কথা বলছেন কেন? বলছি এই কারণে যাতে বিপদ ঘটার আগেই সতর্ক হয়ে যেতে পারেন, তাতে মন ভাঙার আশঙ্কা কমবে বই কী! সহজ কথায় বললে, বিচ্ছেদ ঘটার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার পিছনে আমাদের যে সব চারিত্রিক দোষগুলি দায়ী হতে পারে, সেগুলি সম্পর্কে যদি আগে থাকতেই জেনে ফেলতে পারেন, তা হলে নিজেকে শুধরে ফেলার সুযোগ পাবেন। ফলে সম্পর্কে পূর্ণচ্ছেদ (dumped) পড়ার আশঙ্কা আর থাকবে না। কিন্তু প্রশ্ন হল, ভবিষ্যত দেখার ক্ষমতা তো আমাদের নেই, তাহলে কী কারণে সম্পর্কে চিড় ধরতে পারে, সে সম্পর্কে জানা যাবে কীভাবে? একটা কাজ করুন, জন্ম মাস আর তারিখ অনুসারে আপনার রাশিটা কী, সেটা জেনে ফেলুন আর চোখ রাখুন এই প্রতিবেদনে, তা হলেই সব উত্তর পেয়ে যাবেন।
১. মেষরাশি
আপনাদের চাহিদার শেষ নেই। আজ এটা চাই, তো কাল ওটা। অল্পতে সন্তুষ্ট হওয়ার পাত্রী আপনারা নন। উপরন্তু সব কাজই এত নিখুঁত ভাবে করতে ভালবাসেন যে অগোছালো কাজ আপনাদের একেবারে ‘না পসন্দ’। এমন চরিত্রের মানুষদের সঙ্গে মানিয়ে চলাটা বেশ কঠিন কাজ। তাই নিজেকে একটু বদলান। না হলে অকারণে অশান্তি বড়বে, বাড়বে তিক্ততাও। ফলে সম্পর্কের ভিত দুর্বল হয়ে পরার আশঙ্কাও বাড়বে!
২. বৃষরাশি
শুধু কী নিজের কথা বললেই চলবে, পার্টনারের কথাও তো শুনতে হবে। তবেই তো প্রেম জমে উঠবে। এখন আপনি যদি শুধু নিজের কথাই বলে যান, নিজের পছন্দ-অপছন্দ চাপিয়ে দেন পার্টনারের ঘাড়ে, তা হলে তো একদিন না একদিন সে পালাবেই। তাই বৃষরাশির জাতিকাদের এই স্বভাবটা একটু বদলাতে হবে। একটু ধৈর্য ধরে মনের মানুষটির মনের খবর নেওয়ার অভ্যেস করতে হবে, তবেই না ভালবাসা গভীরতা খুঁজে পাবে।
৩. মকররাশি
আপনারা একবার যাঁকে ভালবেসে ফেলেন, তাঁকে সারা জীবন আগলে রাখেন। তাই আপনাদের মতো মানুষকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেলে যে কারও জীবন ধন্য হয়ে যাবে। তবে একটা বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। কী বিষয়? আপনারা যা ভাবছেন, সেটাই ঠিক, বাকিরা সব ভুল, এমন ভবনাকে প্রশ্রয় দেবেন না। তাতে পার্টনারের সঙ্গে অকারণে ভুল বোঝাবুঝি হওয়ার আশঙ্কা কমবে।
৪. তুলারাশি
আপনারা খুব ভাল মানুষ। যাকে ভালবাসেন, তাঁর জন্য যে কোনও মূল্য চোকাতে রাজি থাকেন। তবে আপনাদের চরিত্রের একটা খারাপ দিকও রয়েছে। আপনার কোনও কাছের মানুষ যদি একবার কোনও ভুল করে ফেলেন, তা হলে সারা জীবন আপনারা তাঁকে ক্ষমা করে উঠতে পারেন না! যে কারণে সম্পর্কে ভেঙে দিতেও আপনারা পিছপা হন না। কিন্তু জেনে রাখা ভাল যে, এমন স্বভাব মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ ভাল-মন্দ মিশিয়ে মানুষ। তাই যে কোনও সময় যে কেউ কিছু ভুল কাজ করে ফেলতে পারেন। তাই বলে তাঁকে সারা জীবন ক্ষমা না করাটা এক প্রকার বোকামি, যে বোকামির জন্য ভালবাসার মানুষও কিন্তু আপনাকে ছেড়ে চলে যেতে পারে। তাই সময় থাকতে থাকতে নিজেকে বদলে ফেলাটা জরুরি।
৫. বৃশ্চিকরাশি
ভালবাসার সম্পর্ককে সুন্দর করে তুলতে আপনারা চেষ্টায় কোনও খামতি রাখেন না ঠিকই। কিন্তু নজরে রাখতে হবে দুটি বিষয়, তা হলেই সমস্যা থাকবে না! অনিশ্চয়তা এবং ঈর্ষা, এই দুই নেতিবাচক অনুভূতি আপনারা যদি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন, তা হলে আর কোনও চিন্তাই থাকবে না।
৬. মিথুনরাশি
আপনারা খুব সন্দেহবাতিক, তাই না? সময় থাকতে-থাকতে নিজেকে বদলান, না হলে সারা জীবন কিন্তু একা থেকে যেতে হবে! কারণ, যাঁকে মন-প্রাণ দিয়ে ভালবাসছেন, তাঁকে যদি বিশ্বাসই না করতে পারেন, তা হলে যে অকালেই সম্পর্কের ভিত দুর্বল হয়ে পড়বে। তাছাড়া ছোট-ছোট কারণে সন্দেহ করলে একদিন না একদিন পার্টনারের দম বন্ধ হয়ে আসবেই, তখন এই সম্পর্ক ভেঙে পালানো ছাড়া তাঁর কাছে আর কোনও উপায় থাকবে না!
৭. কর্কটরাশি
আপনারা খুব ভিতু গোছের। বেজায় ইমোশনালও বটে। তাই আপনাদের সামলানো সহজ কাজ নয়। তাই সুখ-শান্তিতে যদি থাকতে চান, তা হলে নেতিবাচক অনুভূতিগুলিকে একটু লাগাম পড়ান। আর কথায়-কথায় পার্টনারকে ব্ল্যাকমেল করা ছাড়ুন। বরং তাঁকে একটু স্বাধীনভাবে বাঁচতে দিন। দেখবেন, দিনের শেষে সে আপনার কাছেই ফিরে আসবে। তাই অকারণে ভয় পেয়ে পার্টনারকে নিজের গণ্ডির মধ্যে বেঁধে রাখার ভুল কাজটি করবেন না যেন! তাতে কোনও লাভ তো হবেই না, উল্টে প্রেমের চারাগাছটা অকালেই শুকিয়ে যাবে।
৮. কন্যারাশি
পার্টনারের পছন্দের খাবার কী অথবা কেমন ধরনের বই পড়তে বা সিনেমা দেখতে সে ভালবাসে, এই সব বিষয়ে খোঁজ রাখেন কি? খোঁজ যে রাখেন না, সে কথা হলফ করে বলতে পারি। কারণ, আপনারা নিজেকে নিয়ে মজে থাকতেই বেশি ভালবাসেন। এমন স্বার্থপর মানুষকে কেই বা ভালবাসতে চাইবে বলুন! তাই সম্পর্ক যদি টিকিয়ে রাখতে হয়, তা হলে নিজের ভাল-মন্দ ভুলে মন-প্রাণ দিয়ে পার্টনারকে ভালবাসতে হবে। নিজের স্বার্থ ত্যাগ করে পার্টনারের কথা ভাবতে হবে, তা হলেই দেখবেন হাজার ঝড়-ঝাপটার পরেও সম্পর্কে কোনও চিড় ধরবে না।
৯. ধনুরাশি
পার্টনারের মনের খবর রাখার সময় আপনাদের হাতে নেই। কারণ, সারাক্ষণই যে আপনারা নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত। শুধু তাই নয়, কথায়-কথায় ঝগড়া করার মতো খারাপ অভ্যাস যেমন আপনাদের রয়েছে, তেমনই ছোট-বড় নানা কারণে পার্টনারকে অসম্মান করতেও আপনারা পিছপা হন না। তাই তো আপনাদের কোনও সম্পর্কই বেশি দিন টেঁকে না।
১০. মীনরাশি
আপনারা খুব নরম মনের মানুষ। তাই তো অল্পতেই কষ্ট পেয়ে কান্নাকাটি জুড়ে দেন। আর সেসময় যদি পার্টনারকে কাছে না পান, তাহলে তো আরও বিপদ! সেক্ষেত্রে অভিমান জমে পাহাড় হয়ে যায়, যে পাহাড় টপকানো অনেক সময়ই অনেকের পক্ষে কঠিন হয়ে দাঁড়ায়, যে কারণে সম্পর্কে চ্ছেদ পড়তে সময় লাগে না। তাই নিজের অনুভূতিগুলিকে একটু লাগাম পরান। আপনার পার্টনারের পক্ষে যে সারাক্ষণ আপনার সঙ্গে থাকাটা সম্ভব নয়, সে কথা বোঝার চেষ্টা করুন। দেখবেন, ব্রেকআপের ভয় আর থাকবে না।
১১. কুম্ভরাশি
এমনিতে আপনারা ভাল মানুষ। কিন্তু রেগে গেলে একেবারে রাবণ! তখন আপনাদের মুখ থেকে এত খারাপ কথা বেরোয় যে কান থেকে রক্ত বেরনোর জোগাড় হয়। একবার ভাবুন তো, এমন খারাপ কথা শোনার পরে আপনার পার্টনারের মনের কী হাল হয়। তাই তো বলি, সম্পর্কের বুনিয়াদকে যদি আরও মজবুত করে তুলতে হয়, তা হলে মাথা গরম করলে চলবে না। বরং যখনই দেখবেন রাগ হচ্ছে, তখনই নিজেকে সকলের কাছ থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে। একান্ত কিছুক্ষণ সময় কাটালেই দেখবেন রাগ কমে গেছে। তখন না হয় পার্টনারের সঙ্গে কথা বলতে পারেন। তাতে সম্পর্কে তিক্ততা বাড়ার আশঙ্কা কমবে বই কী!
১২. সিংহরাশি
বেশ কছু মানুষ রয়েছেন, যাঁরা দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম বোঝেন না। আপনারা সেই দলেই পরেন। কারণ, আপনাদের মধ্যে অনেকেই মনের মতো জীবনসঙ্গী পাওয়ার পরেও লুকিয়েচুরিয়ে একাধিক ছেলের সঙ্গে প্রেমের খেলা চালিয়ে যেতে ভালবাসেন। একবার ভাবুন তো, আপনার পার্টনার যদি কোনওভাবে এই বিষয়ে টের পেয়ে যান, তা হলে কি কাণ্ডটাই না ঘটবে! তাই বৈবাহিক সম্পর্ককে যদি টিকিয়ে রাখতে হয়, তা হলে মন স্থির রেখে একজনকেই ভালবাসুন, তাতে সুখে থাকবেন!
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!