ADVERTISEMENT
home / লাইফস্টাইল
পাতে পড়ার আগেই আকাশ ছোঁয়া দাম ইলিশের! নববর্ষের প্রাক্কালে মাথায় হাত বাঙালির

পাতে পড়ার আগেই আকাশ ছোঁয়া দাম ইলিশের! নববর্ষের প্রাক্কালে মাথায় হাত বাঙালির

পয়লা বৈশাখ (poila baisakh) একেবারে দোরগোড়ায়। খাওয়া দাওয়া যে জমিয়ে হবে সেতো বোঝাই যাচ্ছে। আর পয়লা বৈশাখের খাওয়া দাওয়া মানে একদম স্বাদে গন্ধে বাঙালি রান্না। তা বাঙালি রান্নার কথা যখন উঠল তখন ইলিশের (hilsa) কথা কি আর বাদ দেওয়া যায়? একদম নয়। দুপুরের লাঞ্চ হোক বা রাতের ডিনার ইলিশ (hilsa) মেনুতে না থাকলে সেই খাওয়া মুখে রুচবে না বাঙালির। তবে প্রতি বছরের মতো এবারেও এলো সেই দুসংবাদ। পয়লা বৈশাখের (poila baisakh) আগেই আকাশ ছোঁয়া দাম (price) হল বাংলাদেশি ইলিশের (hilsa)।

ilish a

আমরা সবাই জানি আমাদের রাজ্যে ইলিশ মাছের উৎস মূলত দুটো। এক আমাদের গঙ্গার ইলিশ আর এক হল বাংলাদেশ থেকে আসা পদ্মা নদীর ইলিশ। দু’রকমের ইলিশের স্বাদ আলাদা আর দুটোরই চাহিদা সাঙ্ঘাতিক। আর এতে বেশ চিন্তায় পড়ে গেছেন আপামর বাঙালি জনতা। সেদিন যে শুধু হোটেল বা রেস্তরাঁগুলোতেই ইলিশের প্রয়োজন হয় তা কিন্তু নয়। আমাদের বাড়িতেও দুপুরের ভুরিভোজে ঘরোয়া রান্নায় এই মাছের চাহিদা থাকে। এছারাও পয়লা বৈশাখের আগের দিন পূর্ববঙ্গের বাঙালিদের মধ্যে এক বিশেষ প্রথা চালু আছে। এই প্রথা পশ্চিমবঙ্গের যারা বাঙাল তারাও পালন করে। আর সেটা হল পান্তা ইলিশ খাওয়ার রেওয়াজ। পান্তা ভাত অর্থাৎ জলে ভেজানো ঠাণ্ডা ভাতের সঙ্গে ইলিশের টক বা ইলিশ মাছ ভাজা খাওয়া হয়। আর তার জন্য সাধারন মধ্যবিত্ত বাড়িতেও ইলিশ মাছ লাগে।

ilish b

ADVERTISEMENT

তবে চিন্তার বিষয় হল এই বছরে মাছ ব্যবসায়ীরা আশঙ্কা করছেন ইলিশের ভাঁড়ারে টান পড়তে পারে। আর সাপ্লাই যেখানে কম সেখানে দাম জে আকাশ ছোঁয়া হবেই সেটা বোঝাই যাচ্ছে। এই মুহূর্তে ইলিশের দর নির্ধারিত হয়েছে কেজি প্রতি ২৮০০ টাকা এবং সেটা আগের মাসের থেকে বেশ অনেকটাই বেড়ে গেছে।

ilish c

গত বছরে নির্বিচারে খোকা ইলিশ জল থেকে তুলে বিক্রি করার উপর পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশি সরকার কড়া নজর রাখছিলেন। খোকা ইলিশ অর্থাৎ ছোট আকারের ইলিশ এভাবে বেশি মাত্রায় তুলে ফেললে পরবর্তীকালে ইলিশের জোগানে খামতি দেখা দিতে পারে। তাছাড়া ইলিশ মাছ বিশেষ একটি ওজনে পৌঁছলে তবেই সেই মাছ জল থেকে তোলার নির্দেশ আছে মতস্যজীবীদের। কিন্তু বেআইনিভাবে অনেকদিন ধরেই খোকা ইলিশ তুলে নদী প্রায় মাছ শুন্য হয়ে গিয়েছিল। আরও একটি কারণে ইলিশের মাছের জোগানে ঘাটতি হতে পারে। সাধারণত বর্ষার গোড়ায় অর্থাৎ আষাঢ় ও শ্রাবণ মাসেই বেশি করে ইলিশ মাছ খান বাঙালিরা। এমনকি বর্ষার আগমনের সঙ্গেও ইলিশের যোগ আছে। যে কারণে ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টিকে ইলশেগুঁড়ি বলা হয়। আর বর্ষায় ইলিশ পাওয়ার আগে অর্থাৎ এই সময় মানে মার্চ-এপ্রিল মাস হল ইলিশ মাছের প্রজননের সময়। আর তাই এই সময় ইলিশ মাছ জাল ফেলে তোলার উপর বিশেষ ভাবে বাধা আছে সরকারের পক্ষ থেকে। কিছু ভালো জাতের ইলিশ বিদেশেও রপ্তানি হয়ে যায়। এইসব নানা কারণেই দাম অস্বাভাবিক বেড়ে গেছে বলে দাবি করা হচ্ছে বিভিন্ন মহল থেকে।

Picture Courtsey: Instagram 

ADVERTISEMENT

 

POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!

12 Apr 2019

Read More

read more articles like this
good points

Read More

read more articles like this
ADVERTISEMENT