করোনা ভাইরাসের (coronavirus) আতঙ্ক এতটাই বেড়েছে যে স্কুল-কলেজ থেকে শুরু করে অফিস-কাছারি সবই মোটামুটি কিছুদিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় উঠেছে। নানা মুনির নানা মত। যে যেখান থেকে পারছেন, করোনা ভাইরাস (coronavirus) প্রতিরোধের (prevent) নানা উপায় শেয়ার করছেন। সোশ্যাল মিডিয়ার নিউজ ফিড থেকে শুরু করে পাড়ার চায়ের দোকান – সব জায়গায় একটাই আলোচনা – করোনা ভাইরাস কীভাবে প্রতিরোধ করা যায়। তবে এখানে একটা ‘কিন্তু’ আছে, সব তথ্য যে সঠিক তা নয়। আপনি যতই স্যানিটাইজার দিয়ে হাত জীবাণুমুক্ত করার চেষ্টা করুন না কেন, হাত যদি না ধুয়ে ফেলেন, তাহলে কিন্তু মুশকিল। আবার যতই আপনি ডিজইনফেক্টার দিয়ে জামা-কাপড় কাচুন না কেন, সঠিক তাপমাত্রায় না কাচলে কিন্তু পোশাক সম্পূর্ণভাবে জীবাণুমুক্ত হবে না। জেনে নিন, ঘরবাড়ি (home) এবং বাড়ির অন্যান্য জিনিসপত্র ঠিক কীভাবে পরিষ্কার (cleaning) করবেন যাতে করোনা ভাইরাসের (coronavirus) প্রকোপ কিছুটা হলেও এড়াতে পারেন।
ঘরবাড়ি ও অন্যান্য জিনিসপত্র কীভাবে পরিস্কার করলে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করা যেতে পারে
১। বারবার জল দিয়ে হাত ধুতে হবে (prevent)। তবে যে-কোনও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান ব্যবহার করবেন যখনই হাত ধোবেন। এরপর আপনি হাত স্যানিটাইজ করুন। সাবান দিয়ে হাত ধুলে হাত থেকে জীবাণু দূর হবে এবং তার পরেও যদি জীবাণু থেকে যায়, সেক্ষেত্রে অ্যালকোহলযুক্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার (clean) করলে জীবাণু সম্পূর্ণভাবেই দূর হবে।
২। শুধুমাত্র হাত ধুলেই তো হবে না, আপনার বাড়ির (home) মেঝে থেকে শুরু করে আসবাব, চাদর, বালিশের কভার ইত্যাদিও জীবাণুমুক্ত করা একান্ত প্রয়োজন। ঘর মোছার সময়ে ফিনাইলের পরিবর্তে ডিজইনফক্টার ব্যবহার করুন। জলে ডেটল বা অন্য যে-কোনও ডিজইনফেক্টর সলিউশন মিশিয়ে তারপরে মেঝে মুছুন (prevent)। যে কাপড়টি দিয়ে মুছছেন, সেই কাপড়টিও কিন্তু নিয়মিত পরিষ্কার করা প্রয়োজন, তা না হলে কোনও লাভ নেই।
৩। আসবাব পরিষ্কার করার সময়ে একটি তোয়ালে ভিজিয়ে জল নিংড়ে নিন এবং তারপরে আসবাব পরিষ্কার করুন। যদি আপনার বাড়িতে আসবাব কাঠের বা রট আয়রনের হয়, সেক্ষেত্রে অবশ্য ভেজা কাপড় ব্যবহার করা যাবে না। স্যানিটাইজার তোয়ালেতে লাগিয়ে অথবা স্যানিটাইজড ওয়াইপ দিয়ে আসবাব জীবাণুমুক্ত করতে পারেন।
৪। করোনা ভাইরাসের (coronavirus) প্রকোপ থেকে বাঁচার জন্য (prevent) না হয় নিয়মিত পোশাক কাচাকাচি করলেন, কিন্তু সঠিকভাবে যদি না কাচেন, তাহলে পোশাক কিন্তু জীবাণুমুক্ত হবে না। পোশাক কাচার আগে ডিটারজেন্টের সঙ্গে কিছুটা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সলিউশন মিশিয়ে গরম জলে পোশাক ভিজিয়ে রাখুন। গরম জল, ডিটারজেন্ট এবং অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল সলিউশন – প্রতিটি জিনিসই জীবাণু নাশ করতে সক্ষম। এরপরে কেচে নিন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করতে ডিজইনফেক্টর দিয়ে ঘরবাড়ি পরিষ্কার করুন (ছবি সৌজন্য – শাটারস্টক)
৫। যখনই ঘরবাড়ি (home) পরিষ্কার (clean) করবেন, গ্লাভস পরে নিন। এতে নোংরা থেকে আপনার হাতে জীবাণু আসার আশঙ্কা কমে যাবে। গ্লাভস খোলার সময়ে উল্টোভাবে খুলুন যাতে আপনার হাত গ্লাভসের বাইরের অংশে না লাগে। এভাবেও করোনা ভাইরাস (coronavirus) প্রতিরোধ (prevent) করতে পারেন।
৬। আমি, আপনি আমরা সবাই এখন নানা ইলেকট্রনিক গ্যাজেট এবং স্মার্টফোন ছাড়া মোটামুটি অচল। কিন্তু আপনার কি জানা আছে, আপনার স্মার্টফোনে একটি টয়েলেট সিটের থেকেও বেশি জীবাণু থাকতে পারে? বিশ্বাস করুন, আমি একটুও বাড়িয়ে বলছি না। বিজনেস ইনসাইডারের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, জানা গিয়েছে একটি টয়েলেট সিটে যত জীবাণু থাকে, তার দশগুণ বেশি জীবাণু থাকে স্মার্টফোনের স্ক্রিনে ও কভারে। মাইক্রোফাইবারের কাপড়ের টুকরোতে ডিজইনফেক্টার স্প্রে করে সেই কাপড় দিয়ে আপনার স্মার্টফোন এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক গ্যাজেট পরিষ্কার করতে পারেন। এতে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ থেকেও বাঁচার সম্ভাবনা রয়েছে।
৭। টয়েলেট সিট হোক বা বাথরুমের দেওয়াল, বাজারচলতি যেকোনও ডিজইনফেক্টার বা ব্লিচ দিয়ে পরিস্কার করলেই যথেষ্ট। টুথব্রাশেও কিন্তু প্রচুর জীবাণু থাকে। প্রতিবার টুথব্রাশ ব্যবহার করার আগে কিছুক্ষণ গরম জলে ভিজিয়ে তারপরেই দাঁত মাজুন।
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
২০২০ শুরু করুন আমাদের দারুণ দারুণ প্ল্যানার আর স্টেটমেন্ট সোয়েটশার্ট দিয়ে। এগুলো সবকটাই আপনারই মতো একশ শতাংশ মজার এবং অসাধারণ! ওহ হ্যাঁ, শুধুমাত্র আপনার জন্য রয়েছে ২০ শতাংশ ছাড়ের ব্যবস্থাও। দেরি কিসের আর, এখনই POPxo.com/shop থেকে কেনাকাটা সেরে ফেলুন আর নিজেকে আরেকটু পপ আপ করে ফেলুন!