স্ট্রেচমার্ক (Stretch Marks)। ত্বকের বিভিন্ন অংশে হতে পারে। আর এতে সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়। ত্বকের ভিতর থেকে খারাপ হওয়াও আপনি আটকাতে পারবেন না। অনেকেই ভাবেন, প্রেগন্যান্সির পর স্ট্রেচমার্ক আসে। ঠিকই। কিন্তু শুধুই প্রেগন্যান্সির পর স্ট্রেচমার্ক হতে পারে, এই ধারণা একেবারে ভুল। বয়ঃসন্ধির সময়েও স্ট্রেচমার্ক আসে শরীরে। আসলে যখনই শারীরিক গঠনের কোনও পরিবর্তন হয়, তখন স্ট্রেচমার্ক আসতে পারে।
লকডাউনে আমরা বাড়িতে রয়েছে। রুটিন বদলে গিয়েছে। শরীরচর্চাও আর আগের মতো হচ্ছে না। খাদ্যাভাসেও এসেছে বদল। ফলে ওজন বেড়ে যাচ্ছে অনেকেরই। শরীরের বিভিন্ন অংশে স্ট্রেচমার্কের সমস্যায় ভুগছেন অনেকে। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে স্ট্রেচমার্ক দূর করবেন? পার্লারে যাওয়া তো সম্ভব নয়। ফলে বাড়িতেই ঘরোয়া উপায়ে কীভাবে স্ট্রেচমার্ক দূর করবেন তার হদিশ দেওয়ার চেষ্টা করলাম আমরা।
প্রেগন্যান্সি ছাড়াও আসতে পারে স্ট্রেচমার্ক। ছবি ইনস্টাগ্রামের সৌজন্যে।
১) স্ট্রেচমার্ক দূর করতে শরীরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ-র প্রয়োজন হয়। তাই মেনুতে ভিটামিত এ সমৃদ্ধ খাবারের পরিমাণ বাড়াতে হবে। গাজর এবং মিষ্টি আলুর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ। প্রতিদিন এই দুটি সবজির যে কোনও একটি পদ খেতে পারেন। শরীরের যে অংশে স্ট্রেচমার্ক রয়েছে, সেখানে আমন্ড অয়েল মাসাজ করলেও কিছুদিন পর থেকে উপকার দেখতে পাবেন।
২) এক কাপ চিনির সঙ্গে নারকেল তেল বা আমন্ড অয়েল মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। এর মধ্যে একটা গোটা পাতিলেবুর রস মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ আলাদা পাত্রে স্টোর করতে পারেন। প্রতিদিন স্নানের আগে এই মিশ্রণ শরীরের যে অংশে স্ট্রেচমার্ক রয়েছে, সেখানে স্ক্রাবার হিসেবে ব্যবহার করুন। মিনিট দশেক স্ক্রাব করার পর সাধারণ জল দিয়ে ধুয়ে নিন। এতে দূর হবে স্ট্রেচমার্ক।
৩) স্ট্রেচমার্ক দূর করতে অ্যালোভেরা জেল খুব উপকারী। যদি সম্ভব হয়, অ্যালোভেরা পাতা থেকে জেল বের করে নিয়ে সরাসরি ত্বকে লাগান। বাড়িতে তো সকলের অ্যালোভেরা গাছ থাকে না, সেক্ষেত্রে ভাল কোম্পানির অ্যালোভেরা জেলও ব্যবহার করতে পারেন।
৪) প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে নারকেল তেল স্ট্রেচমার্ক দূর করতে কার্যকরী। হালকা হাতে মাসাজ করুন। প্রতিদিন এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে ১৫ দিনের মধ্যেই দেখবেন, আপনার স্ট্রেচমার্ক হালকা হতে শুরু করেছে। তার সঙ্গে অবশ্যই ডায়েটে রাখুন পুষ্টিকর খাবার।
৫) লেবুর রসের সঙ্গে বেকিং সোডা মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করেও স্ট্রেচমার্কের উপর লাগাতে পারেন। শুকিয়ে গেলে সাধারণ জলে ধুয়ে নিয়ে ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। স্ট্রেচমার্ক তুলতে অ্যাপেল সিডার ভিনিগারও খুব উপকারী। নির্দিষ্ট অংশে স্প্রে করে শুকিয়ে যাওয়ার পর ধুয়ে নিন।
উপরের যে কোনও একটি পদ্ধতি অনুসরণ করে আপনি স্ট্রেচমার্ক তুলতে পারেন। তবে তার সঙ্গে পুষ্টিকর খাদ্যাভাসও খুব জরুরি।
মূল ছবি ইনস্টাগ্রামের সৌজন্যে।