সকালে উঠে একের পর এক হাঁচিতে (sneezing) দিন শুরু হয়? অথবা ধূপের গন্ধে, মশলার গন্ধ বা ফুলের গন্ধে (smell) হাঁচি (sneezing) শুরু হয়ে যাচ্ছে? ঘরদোর ঝাড়পোঁছ করার সময় বা রাস্তার ধুলোয় (dust) হাঁচি (sneezing) শুরু হয়ে যায়? তা ছাড়াও ডিম-বেগুন-চিংড়ি খেলেই গায়ে rash বেরোতে শুরু করে? অথবা কোনও কসমেটিকস লাগালেও rash বেরিয়ে যায়? নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন, অ্যালার্জির (allergy) কথা বলছি। আজকাল চারদিকে যা ধুলো-দূষণ, তার থেকে ছোট থেকে বড়- কম বেশি সকলেই অ্যালার্জিতে (allergy) কাবু। ইমিউনিটি কমে গেলেই অ্যালার্জির (allergy) আক্রমণ বেড়ে যায়। আর যে কোনও মরসুমেই অ্যালার্জি হতে পারে। মরসুম পরিবর্তনের সময় তো বিশেষ ভাবে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। প্রথমেই জেনে নিতে হবে অ্যালার্জির (allergy) সম্ভাব্য কারণগুলো।
যে যে কারণে অ্যালার্জি হয়
১। ধুলো-বালি-দূষণ (dust) থেকে অ্যালার্জি
২। মরসুম পরিবর্তনের সময় অ্যালার্জি
৩। কড়া কোনও গন্ধে (smell) অ্যালার্জি
৪। খাবার থেকে অ্যালার্জি
৫। প্রসাধনী থেকে অ্যালার্জি
৬। ফুল বা ফুলের গন্ধ (smell) থেকে অ্যালার্জি
৭। পশু-পাখির লোম থেকে অ্যালার্জি
মোটামুটি এই সব কারণগুলিই অ্যালার্জির জন্য দায়ী। আর অ্যালার্জি থেকে মুক্তি পেতে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে এবং অ্যালার্জি (allergy) দূর করার ঘরোয়া কিছু টোটকাও রয়েছে। যেগুলো ব্যবহার করলে অনেকটাই সুস্থ থাকা যাবে।
অ্যালার্জি দূরে রাখার কিছু উপায়
মাস্ক
দূষণের মাত্রা তো দিন-দিন বেড়েই চলেছে। আর তার সঙ্গে রয়েছে ধুলো-বালি। এ সব থেকে বাঁচতে যখন বাইরে বেরোবেন, তখন ব্যবহার করুন মাস্ক। এ ছাড়াও যখন বাড়িতে যখন ঝাড়-পোঁছ করবেন, তখনও মাস্ক ব্যবহার করুন। অথবা নাক-মুখ পরিষ্কার কাপড়ের টুকরো দিয়ে ভাল করে ঢেকে নিন। এতে ধুলো-বালি থেকে অনেকটাই রক্ষা পাওয়া যায়। আর তাতে অ্যালার্জির (allergy) ঝুঁকিও অনেকটাই কমে যায়।
পরিষ্কার বিছানার চাদর
ভাল করে কাচা-পরিষ্কার করা বিছানার চাদর ব্যবহার করতে হবে। প্রয়োজনে এক দিন অন্তরই বিছানার চাদর বদলান। আর সব থেকে বেশি ইম্পর্ট্যান্ট, বালিশের কভার। আপনি যে বালিশ ব্যবহার করেন, সেই বালিশের কভার রোজ বদলালেই ভাল হয়। এতে বিছানা-বালিশে ধুলো-বালি থাকার সম্ভাবনা কমে। আর শুতে যাওয়ার আগে বিছানা কিন্তু ভাল ভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
বালিশ রোদে দেওয়া
অনেক সময় বালিশের তুলো থেকেও অ্যালার্জি (allergy) হয়। তাই নিয়ম করে রোজ বালিশ রোদে দিতে হবে।
পরিষ্কার জামা-কাপড়
রোজ কাচা পরিষ্কার করা জামা-কাপড় পরতে হবে। কারণ রোজ বাইরে বেরোনোর ফলে জামা-কাপড়ে ধুলো-বালি লাগে। তার ফলে অ্যালার্জির অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
প্রসাধনী
যে সব প্রসাধনী থেকে অ্যালার্জি হয়, সেই সব প্রসাধনী ব্যবহার করবেন না। নতুন কিছু কেনার আগে অ্যালার্জি টেস্ট করে তবেই কিনুন। আর যাঁদের ডাস্ট (dust) অ্যালার্জি (allergy), তাঁরা মুখে পাউডার জাতীয় কিছু ব্যবহার করবেন না।
অ্যানিমাল অ্যালার্জি
বাড়িতে অনেক সময় পোষ্য আনলে বোঝা যায়, তাদের লোম থেকে অ্যালার্জি হচ্ছে। বহু ক্ষেত্রেই শিশুদের এই ধরনের অ্যালার্জি দেখা যায়। লোম থেকে নানা রকম অসুখ, গায়ে rash বেরোনো হতে পারে। তাই পশু-পাখির লোম থেকে অ্যালার্জি হলে তাদের থেকে দূরে থাকুন।
অ্যালার্জির ঘরোয়া টোটকা
আমলকি ও অ্যাপল সাইডার ভিনিগার
প্রতিদিন নিয়ম করে ১ চামচ আপেল সাইডার ভিনিগারের সঙ্গে ২ চামচ আমলকির রস মিশিয়ে দিনে অন্তত ২ বার খান। দেখবেন, ধীরে ধীরে অ্যালার্জির সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
পিঁয়াজ ও মধু
অ্যালার্জির দারুণ ওষুধ হল পিঁয়াজ। আর তার সঙ্গে মধু হলে তো কথাই নেই! ১ চামচ পিঁয়াজের রসের সঙ্গে ১ চামচ মধু মিশিয়ে রোজ সকালে এবং রাতে খেতে হবে। এক সপ্তাহ খাওয়ার পর নিজেই বুঝতে পারবেন পরিবর্তনটা।
তুলসি পাতা,হলুদ, মধু
তুলসি পাতা তো সর্দি-কাশি কমাতে দারুণ। আর নানা রোগের আয়ুর্বেদিক ওষুধও বটে। মধু আর হলুদও তা-ই। ৫-৬টা তুলসি পাতার রসের সঙ্গে কাঁচা হলুদ বাটা ও ১ চামচ মধু মিশিয়ে নিন। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে খেয়ে দেখুন। ধীরে ধীরে অ্যালার্জির সমস্যা দূরে পালাবে।
কমলালেবু ও মুসাম্বি
কমলালেবু আর মুসাম্বিতে রয়েছে ভিটামিন সি। যা অ্যালার্জির জন্য খুবই উপকারী। তাই প্রতিদিন এই দুই লেবুর রস মিশিয়ে খেলেও অ্যালার্জির আক্রমণ থেকে দূরে থাকা যাবে।
গ্রিন টি ও মধু
গ্রিন টি তো ওজন কমানোর জন্য খান নিশ্চয়ই। কিন্তু এটা কি জানেন, গ্রিন টি-তে রয়েছে অ্যালার্জি রোধ করার গুণও। গ্রিন টি-র মধ্যে মিশিয়ে খান। এই হার্বাল টি অ্যালার্জি দূর করতে অত্যন্ত উপকারী।
ছবি সৌজন্যে: ইউটিউব ও পিক্সঅ্যাবে
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি এবং বাংলাতেও!
এগুলোও আপনি পড়তে পারেন