শীত পড়তে শুরু করেছে, এখন সকালের দিকে বেশ ঠান্ডা-ঠান্ডা (cold) লাগে। তবে এতটাও ঠান্ডা এখনও পড়েনি যে, গায়ে গরম জামা দিতে হয়। আর এই সময়টাই হল সবচেয়ে খারাপ! না গরম না ঠান্ডা – এরকম অবস্থায় কীভাবে যে কখন সর্দি-কাশি (cough) হয়ে যাবে বুঝতেও পারবেন না। শিশুদের (babies) এই সময়ে চট করে ঠান্ডা লেগে সর্দি-কাশি হয়ে যায়, আর একবার সর্দি-কাশি হওয়া মানে গোটা শীতকাল ভোগাবে! শিশুদের সর্দি-কাশি লেগে গেলে ঘরোয়া টোটকায় কীভাবে তা দূর করবেন, সে নিয়েই আজ কথা বলব।
উষ্ণ সর্ষের তেল
আধ চা চামচেরও কম পরিমাণ কালো জিরে, দু’কোয়া রসুন এবং এক কাপ ঘানির সর্ষের তেল গরম করে সেই তেলটি দিয়ে বাচ্চার বুক-পিঠ মালিশ করুন। অনেকসময়ে সর্দি বুকে জমে যায়, কাজেই বুকে ও পিঠে ভাল করে মালিশ করুন। রাতে শোওয়ার আগেও বাচ্চার (babies) পায়ের তলায় এবং গলায় ওই তেলটি দিয়ে মালিশ করুন এবং তারপরে আর জল যেন না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
কাঢ়া
শুধু শিশুদের জন্য না, বড়দের জন্যও সর্দি-কাশি (caugh) দূর করার মোক্ষম দাওয়াই এই ঘরোয়া টোটকাটি (home remedies)। এক টেবিল চামচ গুড়, দুটি গোটা গোলমরিচ, এক কাপ জল এবং এক চিমটি জিরে একসঙ্গে নিয়ে ফুটিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেল কাঢ়া। এবারে দু’চামচ করে শিশুকে খাওয়ান। ছোট বাচ্চাদেরকে একবারে দু’চামচের বেশি খাওয়াবেন না, কারণ গুড় ও গোলমরিচ শরীরে তাপ উৎপন্ন করে, যা শিশুদের পক্ষে অস্বস্তিকর হতে পারে।
মধু
এক চিমটি শুকনো আদার সঙ্গে এক চামচ মধু মিশিয়ে শিশুকে খাওয়ান, এতে শুকনো কাশির কষ্ট থেকে মুক্তি পাবে। যদি সর্দি বুকে বসে যায় তাহলে এক চিমটি গোলমরিচ গুঁড়োর সঙ্গে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে শিশুকে খাওয়ান, সর্দি (cold) বেরিয়ে যাবে। আপনার শিশুর বয়স যদি এক বছরের কম হয়, তা হলে কিন্তু ঠান্ডা লাগার ঘরোয়া টোটকা হিসেবে মধু ব্যবহার করবেন না।
কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা একান্ত প্রয়োজন
- প্রথমত যে ঘরোয়া টোটকাই (home remedies) ট্রাই করুন না কেন, তা যেন আপনার শিশুর (babies) বয়স অনুপাতে হয়। ধরুন, আপনার শিশুর বয়স বছর খানেক বা তার কম, কিন্তু তার ঠান্ডা (cold) লেগে সর্দি-কাশি হয়ে যাচ্ছেতাই অবস্থা, তাকে কিন্তু আপনি চাইলেও স্টিম নেওয়াতে পারবেন না; বরং ঊষ্ণ তেল মালিশ করলে কাজে দেবে।
- সর্দি-কাশি অল্প থাকতেই তার চিকিৎসা করান, বাড়াবাড়ি হয়ে গেলে কিন্তু নিমোনিয়া হয়ে যেতে পারে।
- শীতকালে যাতে শিশুর ঠান্ডা না লাগে সেজন্য কিছুক্ষণ হলেও শিশুকে রোদে রাখুন। এতে ভিটামিন ডি শরীরে ঢুকবে এবং শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়বে।
- ছোট বাচ্চারা এই হালকা শীতে গরম পোশাক পরতে চায় না, কিন্তু একটা পাতলা জ্যাকেট বা সোয়েটার তাকে পরিয়ে রাখুন; বিশেষ করে ভোরে এবং রাতের দিকে।
- খেয়াল রাখুন, আপনার বাচ্চা যাতে ঠান্ডা খাবার বা পানীয় না খায়।
- একদম ছোট বাচ্চাকে ধরার আগে ভাল করে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিন যাতে জীবাণু না ছড়ায়।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
এসে গেল #POPxoEverydayBeauty – POPxo-র স্কিন, বাথ, বডি এবং হেয়ার প্রোডাক্টস নিয়ে, যা ব্যবহার করা ১০০% সহজ, ব্যবহার করতে মজাও লাগবে আবার উপকারও পাবেন! এই নতুন লঞ্চ সেলিব্রেট করতে প্রি অর্ডারের উপর এখন পাবেন ২৫% ছাড়ও। সুতরাং দেরি না করে শিগগিরই ক্লিক করুন POPxo.com/beautyshop-এ এবার আপনার রোজকার বিউটি রুটিন POP আপ করুন এক ধাক্কায়…