বরাবরই সুন্দর চুল (Hair) অবন্তিকার। যেমন গোছ চুলের (Hair), তেমনই লম্বা! স্কুল পর্যন্ত সব ঠিক ছিল। ওর চুলের জন্য ওর মা আলাদা ভাবে যত্ন নিত। কিন্তু কলেজে ওঠার পর থেকে অবন্তিকার যেন একটা পাখা গজাল! চুলের (Hair) উপর ও নানা রকম এক্সপেরিমেন্ট শুরু করল। এই কালার-সেই কালার, স্ট্রেটনিং, হাইলাইট-লোলাইট। প্রায় এক-দেড় মাস অন্তর চুলের স্টাইল আর কালার পুরনো লাগত ওর। আবার নিজেকে নতুন লুক দিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ত। ব্যস! আর যায় কোথায়! চুল আর এত ‘অত্যাচার’ সহ্য করতে পারেনি। চুল নষ্ট হতে শুরু করে। রুক্ষ হয়ে, হেয়ার ফল হয়ে চুলের গোছ কমে একাকার কাণ্ড। এই দেখে তো অবন্তিকার রীতিমতো মাথায় হাত! শেষে আবার মায়েরই শরণাপন্ন হতে হয় ওকে। মা তো বকেঝকে শেষে ওর চুলের যত্ন নেওয়া শুরু করলেন। এই মাস্ক-সেই মাস্ক বানিয়ে চুলে মাসাজ (Hair Massage) করে শেষ কোনও রকমে পরিস্থিতি সামাল দেন। তার পর থেকে চুল কাটা ছাড়া আর কোনও রকম স্টাইলিংয়ের জন্য কোনও কেমিক্যাল ব্যবহার করেনি অবন্তিকা। ধীরে ধীরে তার চুলের জৌলুস ফিরতে শুরু করে।
অবন্তিকাই নয়, এ রকম অনেকেই আছেন, যাঁরা চুল (Hair) নিয়ে খুবই খুঁতখুঁতে অথচ স্টাইলিংয়ের জন্য এই প্রোডাক্ট সেই প্রোডাক্ট ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু ঘুণাক্ষরেও বুঝে উঠতে পারছেন না যে, এই ভাবে এক্সপেরিমেন্ট করতে গিয়ে নিজের চুলের বিপদ নিজেই ডেকে আনছেন।
আসলে কী বলুন তো, মেয়েদের কাছে চুলটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ আপনার মুখের সৌন্দর্য পুরোপুরি চুলের সৌন্দর্যের উপর নির্ভরশীল। আর চুল সুন্দর থাকলে আপনি যে কোনও জায়গায় আত্মবিশ্বাস পাবেন। তাই বুঝতেই পারছেন, চুলের যত্ন নেওয়া খুবই জরুরি বিষয়। আর আমি সব সময় জোর দেব, প্রাকৃতিক উপায়ে চুলের যত্ন নেওয়ার উপর। কারণ বাজারে কিনতে পাওয়া যাওয়া জিনিসপত্রে অনেক কেমিক্যালস বা রাসায়নিক থাকে, যা আপনার চুলের জন্য ক্ষতিকর। চুলকে অকালে নষ্ট করে দেয়। তার পরে তো রোজকার ব্যস্ততা, স্ট্রেস, টেনশন, ধোঁয়া-ধুলো, দূষণ তো আছেই। চুলের গোছ কমে যাওয়া, স্প্লিট এন্ডস, রুক্ষ-শুষ্ক (Damaged Hair) হয়ে যাওয়া- এই ধরনের সমস্য়া থেকে মুক্তি পেতে ব্যবহার করতে হবে হেয়ার মাস্ক (Hair Mask For Damaged Hair)। যা ঘরোয়া উপায়ে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপাদানের সাহায্যে বানানো। এটা আপনার চুলকে মজবুত করার পাশাপাশি চুলকে হাইড্রেট (Hydrate) করবে। তবে হেয়ার মাস্ক (Hair mask) কী ভাবে বানাবেন, সেটা জানার আগে জেনে নিন, কী ভাবে হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করবেন। কারণ হেয়ার মাস্ক (Hair Mask) ব্যবহার করার একটা নির্দিষ্ট পদ্ধতি রয়েছে। সেটা ফলো করা না হলেই মুশকিল!
আরো পড়ুনঃ তেলতেলে স্ক্যাল্পের সমস্যা দূর ঘরোয়া উপায়ে
কয়েকটি ঘরোয়া মাস্ক বানানোর পদ্ধতি
১। প্রথমে শ্যাম্পু করে ভাল করে চুল ধুয়ে নিন। তার পর তোয়ালে দিয়ে খানিকটা শুকনো করে নিন চুলটা। আসলে মাস্ক লাগানোর আগে চুল পরিষ্কার করা উচিত। তবে মনে রাখবেন, ব্লো-ড্রাই করা চলবে না। আর হেয়ার মাস্ক (Hair mask) লাগানোর আগে চুলটা হালকা ভিজে ভিজে থাকলে ভাল হয়।
২। চুল শুকিয়ে গেলে হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করার আগে একটা পুরনো টি-শার্ট পরে নিন। বা পোশাকের উপর একটা তোয়ালে জড়িয়ে নিন। না হলে আপনার পোশাক নষ্ট হতে পারে।
৩। এ বার হালকা ভিজে চুল ৩-৪টে সেকশনে ভাগ করে নিতে হবে। চুল লম্বা আর মোটা হলে আরও বেশি ভাগে ভাগ করতে হবে। তবে ছোট চুলের ক্ষেত্রে সেকশনে ভাগ করার দরকার নেই। এ বার প্রত্যেকটা সেকশনকে ক্লিপ দিয়ে আটকে নিন। তার পর মাস্ক লাগানোর সময় এক-একটা সেকশন খুলে নিতে হবে।
৪। এ বার মাস্ক লাগানোর পালা। মাস্ক লাগানোর একটা নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। একটা ব্রাশ দিয়ে চুলের গোড়া থেকে চুলের আগা পর্যন্ত মাস্ক লাগাতে হবে। দেখবেন, চুলের সব জায়গায় যেন ঠিক ভাবে মাস্ক লাগানো হয়। আর একটা বিষয়, চুলের শেষ ভাগে যেন ভাল করে মাস্ক লাগানো হয়। কারণ ওই জায়গাটা অনেক সময় বেশি রুক্ষ হয়ে যায়। তাই এক্সট্রা কেয়ার প্রয়োজন।
৫। মাস্ক ভাল করে মাসাজ (Massage) করে নিন। আর মাস্ক লাগানো শেষ হলে একটা মাঝারি দাঁতের চিরুনি দিয়ে মাস্ক লাগানো চুলটা ভাল করে আঁচড়ে নিন। এতে মাস্কটা পুরো চুলে সুন্দর ভাবে ছড়িয়ে পড়বে। তবে যাঁদের খুবই কোঁকড়ানো চুল, তাঁরা আঙুল দিয়েই মাসাজ (Massage) করে চুলটা আঁচড়ে নিতে পারেন।
৬। একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত মাস্ক চুলে লাগিয়ে রাখার পরে চুলটা জল দিয়ে ধুয়ে মাস্ক তুলে নিন। চুল পরিষ্কার হয়ে গেলে একটা কন্ডিশনার লাগিয়ে মাসাজ করে চুলটা আবার ধুয়ে নিন। এটা আপনার চুলকে রিহাইড্রেট (Rehydrate) করবে।
এটা তো নয় গেল, মাস্ক লাগানোর সাধারণ পদ্ধতি। তবে কিছু কিছু মাস্ক ব্যবহারের পদ্ধতি একটু আলাদা। তাই কয়েকটি মাস্ক বানানোর পদ্ধতির সঙ্গে রইল সেগুলো ব্যবহারের পদ্ধতিও।
এই মাস্কটি তৈরি করার জন্য প্রয়োজন হবে-
ক্যাস্টর অয়েল (Castor Oil) | আধ কাপ (1/2 Cup) |
কারি পাতা (Curry Leaves) | আধ কাপ (1/2 Cup) |
নারকেল তেল (Coconut Oil) | আধ কাপ (1/2 Cup) |
জবা ফুল (Hibiscus Flower) | এক কাপ (1 Cup) |
এ বার একটি পাত্রে তেল, কারি পাতা ও জবা ফুল (Hibiscus Flower) নিয়ে অল্প আঁচে জ্বাল দিতে হবে এবং নাড়াতে থাকতে হবে। কিছু ক্ষণ পরে গরম হয়ে গেলে তেল ছেঁকে আলাদা করে রাখতে হবে। তেল যখন ইষদুষ্ণ গরম হবে, তখন চুলের গোড়ায় ও পুরো চুলে (Hair) লাগিয়ে ভালো ভাবে মাসাজ (Massage) করে নিতে হবে। তার পর একটি গরম তোয়ালে দিয়ে চুল পেঁচিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে চুল ভাল করে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই তেল সপ্তাহে ২ বার ব্যবহার করলে চুলের শুষ্ক ভাব (Dryness) দূর হবে এবং খুশকির (Dandruff) সমস্যাও কমবে।
আলুতে রয়েছে ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, এবং জিংক। যা চুলের বৃদ্ধিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আর পেঁয়াজে রয়েছে মিনারেলস। পাশাপাশি, পেঁয়াজে থাকা সালফার কোলাজেন টিস্যু তৈরিতে সাহায্য করে হেয়ার গ্রোথকে প্রোমোট করে। এটি নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। এই মাস্ক তৈরিতে লাগবে-
আলু (Potato) | পরিমাণ অনুযায়ী |
পিঁয়াজ (Onion) | পরিমাণ অনুযায়ী |
প্রথমে আলু এবং পেঁয়াজের খোসা ছাড়িয়ে নিন। এ বার এগুলোকে ছোট ছোট টুকরা করে নিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করুন। ব্লেন্ড করা হয়ে গেলে মিশ্রণটিকে একটি ছাঁকনির সাহায্যে জুসটা ছেঁকে নিন। এই জুসটাই আপনার হেয়ার গ্রোথ মাস্ক (Hair Growth)।
গাজরে রয়েছে নিউট্রিয়েন্টস, ভিটামিন এ, কে, সি, বি১, বি৩, বি৬, বি২, ফাইবার, পটাশিয়াম, ফসফরাস যা, চুলের বৃদ্ধিতে খুবই উপকারী। এ ছাড়াও গাজর স্ক্যাল্পে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে, চুলকে নরম করে, চুলের ড্যামেজ দূর করে, চুল ভেঙে যাওয়াও রোধ করে। জেনে নিন এই মাস্ক কী ভাবে বানাবেন। গাজর ছোট ছোট টুকরো করে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। এর জুসটা ছাঁকনির সাহায্যে ছেঁকে নিন।
আলু আর গাজরের মাস্ক আসলে হেয়ার গ্রোথ (Hair Growth Mask) মাস্ক আর এগুলো পাতলা জুসের মতো। তাই এগুলো ব্যবহার করার নিয়মও একটু আলাদা। তবে হ্যাঁ একটা জরুরি বিষয়, হেয়ার গ্রোথ (Hair Growth) মাস্কগুলো ১-২ বার ব্যবহার করে অনেকেই বলতে পারেন যে, কোনও কাজ হচ্ছে না। এর কারণ, হেয়ার গ্রোথ (Hair Growth) মাস্কগুলোর ফলাফল পেতে একটু সময় লাগে। তাই সময় এবং ধৈর্য নিয়ে ১-২ মাস ব্যবহার করুন। আশা করছি, ফল পাবেনই। জেনে নিন, এই দুই মাস্ক ব্যবহারের পদ্ধতি।
১. একটি কটন বল নিয়ে হেয়ার গ্রোথ মাস্কটির (Hair Growth) মধ্যে চুবিয়ে নিন।
২.এই কটন বলটি চুলের গোড়ায় সিঁথি কেটে কেটে লাগান।
৩. আপনি চাইলে, জুসটা যে কোনো স্প্রে বোতলে ভরে চুলের গোড়ায় স্প্রে করে নিতে পারেন।
৪. ৪০ মিনিট রেখে চুল শ্যাম্পু করে নিবেন।
৫. সপ্তাহে ৩ দিন এই মাস্ক ব্যবহার করুন।
এই মাস্ক বানানোর জন্য লাগবে-
পাকা কলা (Banana) | ২ টি |
অলিভ অয়েল (Olive Oil) | ১ টেবিল চামচ (1 tbsp) |
মধু (Honey) | ১ টেবিল চামচ (1 tbsp) |
নারকেল তেল (Coconut Oil) | ১ টেবিল চামচ (1 tbsp) |
সব উপকরণ একসঙ্গে নিয়ে একটা ব্লেন্ডারে দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। অনেক সময় ধরে এটি ব্লেন্ড করতে হবে কারণ কলা যাতে অন্য উপাদানগুলির সঙ্গে মিহি হয়ে মিশে যায়। এ বার এই মিহি পেস্ট আপনার ভেজা অথবা হালকা ভেজা চুলে লাগিয়ে ৫ মিনিট রেখে দিন। তার পরে চুল (Hair) ধুয়ে ফেলুন। এই হেয়ার মাস্কটি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টস এ ভরপুর। যা আপনার চুলের সঠিক বৃদ্ধিতে সাহায্য করে ও ড্যামেজ রিপেয়ার করে। আর এটি চুলকে হাইড্রেটও (Hydrate) করে।
আপনার চুলকে সুন্দর, স্মুথ, সিল্কি অ্যান্ড শাইনি এবং ময়েশ্চারাইজ করতে এই স্ট্রবেরি মাস্ক দারুণ। এর জন্য লাগবে-
তাজা স্ট্রবেরি (Fresh Strawberry) | ২০০ গ্রাম (200gm) |
অলিভ অয়েল (Olive Oil) | ২ টেবিল চামচ (2 tbsp) |
নারকেল তেল (Coconut Oil) | আধ টেবিল চামচ (1/2 tbsp) |
প্রথমে স্ট্রবেরি ব্লেন্ডারে নিয়ে ভাল করে ব্লেন্ড করুন। এ বার তার মধ্যে অলিভ অয়েল ও নারকেল তেল যোগ করে একটা মিশ্রণ বানিয়ে আপনার চুলে লাগান।
মধুতে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে ভিটামিন আর মিনারেল। যা আপনার চুলের ময়েশ্চারাইজারের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। আর অন্য দিকে, অলিভ অয়েল চুল পুষ্টি জুগিয়ে চুলকে হেলদি করে তুলবে। এই মাস্কটি বানানোর জন্য লাগবে।
মধু (Honey) | আধ কাপ (1/2 Cup) |
অলিভ অয়েল (Olive Oil) | ১/৩ কাপ (1/3 Cup) |
মধু আর অলিভ অয়েল একসঙ্গে মিশিয়ে হালকা গরম করে নিতে হবে। এ বার এই মিশ্রণ আপনার ভেজা চুলে লাগিয়ে নিয়ে একটা মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ে মাথায় একটা শাওয়ার ক্যাপ পরে নিন। এ ভাবে আপনার চুলে মাস্কটি লাগিয়ে ২০-৩০ মিনিট রেখে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে।
এই মাস্কটি তৈরি করতে প্রয়োজন হবে-
মেয়োনিজ (Mayonnaise) | পরিমাণ অনুযায়ী |
আধ পাকা অ্যাভোকাডো (Avocado) | পরিমাণ অনুযায়ী |
এ বার অ্যাভাকাডোর ভিতরের অংশ নিয়ে একটি চামচের উল্টা দিক দিয়ে মিহি পেস্ট করে চুলের দৈর্ঘ্য অনুযায়ী প্রয়োজন মতো মেয়োনিজ নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। এটি পুরো চুলে আঙুল দিয়ে লাগিয়ে নিতে হবে। চুলের (Hair) নিচের অংশে যেন ভালো ভাবে পেস্ট লাগানো হয়, সে দিকে বিশেষ লক্ষ রাখতে হবে। এর পর ভেজা এবং উষ্ণ তোয়ালে দিয়ে পুরো চুল ২০ মিনিট পেঁচিয়ে রেখে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই প্যাক চুলের গভীরে পুষ্টি জুগিয়ে চুল নরম ও মজবুত করতে সাহায্য করে।
চুল প্রায় ৮০% কেরাটিন নামক প্রোটিন দিয়ে তৈরী, যা চুলের স্থিতিস্থাপকতা, শক্তি এবং বুনোট নির্ধারণ করে। এর জন্য ঘরোয়া মাস্ক তৈরিতে একটি চমৎকার উপাদান প্রোটিনে ভরপুর ডিম।
ডিমের সাদা অংশ (Egg White) | একটি ডিম (1 Egg) |
নারকেল তেল (Coconut Oil) | এক টেবিল চামচ (1 tbsp) |
মধু (Honey) | ১ চা-চামচ (1 spoon) |
ডিমের সাদা অংশটা আলাদা করে নিন। তার মধ্যে মধু ও নারকেল তেল মিশিয়ে ভালো করে ফেটিয়ে নিন। ভিজে চুলে খুব ভালো করে লাগিয়ে নিন। আঙুলের ডগা দিয়ে পাঁচ মিনিট ধরে মালিশ করুন এবং একটি গরম তোয়ালে মাথায় জড়িয়ে রাখুন। কুড়ি মিনিট পরে ভালো করে মাথা ধুয়ে নিয়ে আলতো করে মুছে নিন।
মেথিতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে, যা চুলের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায় এবং চুলের ফেটে যাওয়া রুখে দেয়। এ ছাড়াও এতে ভিটামিন সি, লৌহ এবং লিকিথিন আছে। যা চুলের বীজকোষগুলোতে পুষ্টি যোগায় ও শক্তিশালী করে। এর জন্য লাগবে-
মেথি বীজ (Fenugreek Seeds) | ২ টেবিল চামচ (2 tbsp) |
টক দই (Yogurt) | আধ কাপ (1/2 cup) |
নারকেল তেল (Coconut Oil) | এক টেবিল চামচ (1 tbsp) |
এক কাপ জলে সারা রাত মেথি ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে মেথি পিষে নিন। এতে নারকেল তেল ও টক দই যোগ করুন। এই হেয়ার মাস্ক (Hair Mask) মাথার ত্বকে (Scalp) ও চুলের শেষ ভাগে লাগিয়ে রাখুন। ৩০ মিনিটের মতো রেখে ধুয়ে ফেলুন।
ঘৃতকুমারী বা অ্যালো ভেরা এমন একটি প্রাকৃতিক উপাদান, যা আর্দ্রতা বজায় রেখে আপনার চুলকে ভেতর থেকে সজীব রাখে ও পুষ্ট করে। এর জন্য লাগবে-
ঘৃতকুমারীর রস (Aloe Vera Juice) | তিন টেবিল চামচ (3 tbsp) |
নারকেল তেল (Coconut Oil) | তিন টেবিল চামচ (3 tbsp) |
একটি বাটির মধ্যে সব উপাদান ঢেলে ভালো করে মেশান। আপনার চুল ও মাথার ত্বকে লাগিয়ে নিন। গভীর ও দ্রুত মাথার ত্বকে প্রবেশ করার জন্য মাথায় একটি গরম তোয়ালে জড়িয়ে নিতে পারেন। ৩০ মিনিট বসতে দিয়ে মৃদু শ্যাম্পু দিয়ে ভালো করে চুল ধুয়ে ফেলুন।
আরও পড়ুনঃ ত্বক ও চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে অ্যালোভেরা
ওটস আরও একটি প্রাকৃতিক হেয়ার মাস্ক (Hair Mask), যাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-বি আছে এবং যেটা চুলের আর্দ্রতা বজায় রেখে চুলকে আরো প্রাণবন্ত করে তোলে। আর এটি ব্যাকটেরিয়া নাশ করে। যা মাথার ত্বক (Scalp) পরিষ্কার ও চুলকানি কমায়।
ওটস (Oats) | আধ কাপ (1/2 cup) |
নারকেল তেল (Coconut Oil) | ২ টেবিল চামচ (2 tbsp) |
দুধ (Milk) | আধ কাপ (1/2 cup) |
সব উপকরণগুলো এক সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। তার পর স্ক্যাল্পে (Scalp) ও চুলে ভালো করে লাগিয়ে নিন। চুল আরও বড় হলে উপকরণের পরিমাণ দ্বিগুণ করতে হবে। মাস্কটি (Hair Mask) কুড়ি মিনিট লাগিয়ে মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে ভালো করে চুল ধুয়ে ফেলুন।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি এবং বাংলাতেও!