চুল এবং ত্বকের যত্ন নিতে অনেকেই নানা ধরনের বাজারচলতি রাসায়নিক কসমেটিকের থেকে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা করতে বেশি পছন্দ করেন, তার কারণ আর কিছুই না, আয়ুর্বেদিক উপাদানের খুব একটা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে না। চুলের যত্নে যে নারকোল তেল খুবই উপকারী টা আশা করি আর নতুন করে বলে দিতে হবে না, আর ত্বকের ঔজ্জল্য বজায় রাখতেও অনেকেই নারকোল তেল ব্যবহার করেন। কিন্তু আপনি কি জানেন যে নারকোলের জলও সমানভাবে ত্বক ও চুলের যত্নে ব্যাবহার করা যায়? আজ্ঞে হ্যাঁ, ঠিকই পড়লেন। নারকোলের জল শুধু খাবার জন্যই না, আপনার সৌন্দর্য বজায় রাখার জন্যও আপনি কাজে লাগাতে পারেন। কয়েকটা বিউটি রেসিপি এখনি দেখে নিন –
একটা বয়সের পর অনেকেই অ্যাকনের সমস্যায় ভোগেন। নানা বিউটি প্রোডাক্ট ব্যবহার করেও যদি আপনি ফল না পান, তাহলে এই রেসিপিটি ট্রাই করে দেখুন –
আধ কাপ নারকোলের জল আর আধ টেবিল চামচ মধু ভালো করে মিশিয়ে তুলোর বল ড্যাব করে অ্যাকনে আক্রান্ত জায়গায় এবং সাড়া মুখেই ভালো করে লাগিয়ে নিন। ১০ মিনিট বাদে ভেজা তোয়ালে দিয়ে পরিস্কার করে নিন। প্রতিদিন কিন্তু এটা স্কিনকেয়ার রুটিন হিসেবে করতে হবে।
যদি আপনার মুখে বা শরীরের অন্য কোন অংশে পিগমেন্টেশন বা দাগ ছোপ থাকে তাহলে এই রেসিপিটা ট্রাই করুন –
২ টেবিল চামচ নারকোলের জল এবং ১ টেবিল চামচ মুলতানি মাটি মিশিয়ে একটা পেস্ট তৈরি করে সারা মুখে ১০ মিনিটের জন্য লাগিয়ে রেখে দিন। শুকিয়ে গেলে ভালো করে ঈষদুষ্ণ জলে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে দুবার এই প্যাক লাগাতে হবে।
চুল সুন্দর, ঝলমলে এবং স্বাস্থ্যজ্বল করে তুলতে নারকোলের জলের (coconut water) কোন তুলনা হয়না। যেরকম শ্যাম্প্যু করেন তেমন করে নিন এবং চুল জল দিয়ে ধুয়ে নিন। এবারে একটা নারকোলের জল নিয়ে তাতে কলের জল মিশিয়ে চুলে দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। যখনি শ্যাম্প্যু করবেন তখনি এই জলটা দিয়ে শেষে চুল ধোবেন। দেখবেন, চুল কি সুন্দর ঝলমল করবে।
৫ টেবিল চামচ নারকোলের জল আর ১/৪ অংশ টেবিল চামচ নিম ওয়েল ভালো করে মিশিয়ে সেটা দিয়ে স্ক্যাল্পে মাসাজ করে নিন। ঘণ্টাখানেক রেখে ঈষদুষ্ণ জলে ভালো করে মাথা পরিস্কার করে নিন। সপ্তাহে ৩ বার এটি করুন, দেখবেন কিছুদিনের মধ্যেই খুশকি থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
এগুলোও আপনি পড়তে পারেন