আচ্ছা, যদি জিজ্ঞেস করি, দীপিকা পাডুকোনের ফ্যাশন সেন্স (how Deepika Padukone changed her fashion and style) আপনার কেমন লাগে, তাহলে কী উত্তর দেবেন? এক কথায় বেশিরভাগ উত্তরই আসবে, ‘দারুণ’, ‘ব্যাপক’, ‘ফ্যাশন কুইন’, ‘ফাটাফাটি’ ইত্যাদি। মানছি, দীপিকার ওয়ারড্রোব ঈর্ষা করার মতই, আর যে পোশাকই দীপিকা পরেন, তাতেই তাকে অত্যন্ত স্মার্ট দেখায়। ইন ফ্যাক্ট, দীপিকার এয়ারপোর্ট লুক নিয়ে বলিউডের অন্যান্য অভিনেত্রীরাও এক এক সময়ে যথেষ্ট হীনমন্যতায় ভোগেন। তবে এই অভিনেত্রীরই কেরিয়ারের শুরুর দিকের ফ্যাশন সেন্স ছিল ভারী অদ্ভুত। কিভাবে ফ্যাশন এভলিউশন হল দীপিকা পাডুকোনের, তা নিয়েই আজকের ফিরে দেখা আর্টিকেল
কেরিয়ারের গোড়ার কথা
কেরিয়ারের গোড়ার দিকে দীপিকা আজকের মত শক্তিশালী ছিলেন না। ফ্যাশন বা স্টাইল – কোনও কিছু নিয়েই তেমনভাবে এক্সপেরিমেন্ট করেননি তিনি তখন। ট্র্যাডিশনালভাবে শাড়ি পরতেন বা আনারকলিতে তাঁকে দেখা যেত। কোমর থেকে একটু নিচে শাড়ি পরতেন তিনি, আজও আমাদের মনে আছে। এথনিক গয়না এবং রঙিন পোশাকেই বেশিরভাগ অনুষ্ঠানে দীপিকা পাডুকোনকে দেখা যেত।
প্রথম দিকে রেড কার্পেট লুক
দীপিকা বোধয় জাত-তারকা! মডেলিং কেরিয়ার থেকেই নজর কেড়েছিলেন তিনি। তার পরে বলিউডের প্রথম ছবি ‘ওম শান্তি ওম’ তাঁর স্থান বলিউডে পাকা করেছিল। ডাক পেয়েছিলেন কানস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালেও। ২০১০-এ প্রথমবার দীপিকা যান কানসে। তাবড় অভিনেতা-অভিনেত্রীদের মাঝেও সবার নজর ছিল (how Deepika Padukone changed her fashion and style) সাদা-সোনালিতে রোহির বালের ডিজাইন করা শাড়ি পরা দীপিকার উপরেই।
জীবনে এল ‘ককটেল’
ককটেলের আগে বেশিরভাগ সময়েই দীপিকাকে দেখা যেত ভারতীয় পোশাকে। খুব কম সময়েই তাঁকে পশ্চিমি পোশাকে দেখা গেলেও, সেগুলো ছিল এক একটা ফ্যাশন ডিজাস্টার! তবে ২০১১-১২ নাগাদ দীপিকা ‘দেশি’ লুক থেকে বেরিয়ে একটু অন্য রকমভাবে নিজের স্টেটমেন্ট তৈরি করতে চেয়েছিলেন। আর সে সুযোগ তাঁকে দিয়েছিল ‘ককটেল’-এর ‘ভেরনিকা’ চরিত্রটি। অমন বোল্ড, ফ্যাশনেবল এবং স্টাইলিশ লুকে প্রথমবার দীপিকা পর্দায় এসেছিলেন।
স্টাইলের মোড় ঘোরালো বাজিরাও-মস্তানি
ককটেলের নেশা কাটতে না কাটতেই দীপিকা আবার ঠিক করলেন তাঁর লুক চেঞ্জ করার। পশ্চিমি পোশাকে এবং লুকে তিনি ঠিক কতটা সচ্ছন্দ, তার প্রমান তিনি দিয়েছিলেন ককটেলে। তবে ভারতীয় ফ্যাশনেও যে দীপিকা সমানভাবে নিজেকে ক্যারি করতে পারেন, এবং অত্যন্ত মার্জিত ও রুচিশীলভাবে ক্যারি করতে পারেন, তাঁর প্রমাণ দেখা যায় ‘রাম-লীলা’ এবং ‘বাজিরাও-মস্তানি’ ছবিতে। আইভরি কলিদার লেহঙ্গা পরে দীপিকা যখন পর্দায় এলেন, ‘মোহে রং দো লাল’-এ লিপ মেলালেন, বুকে হাত রেখে বলুন তো, চোখ ফেরাতে পেরেছিলেন?
কনে রূপে দীপিকা
ধীরে ধীরে দীপিকাও ফ্যাশনে চোস্ত হয়ে উঠছিলেন এবং সবচেয়ে বেশি উন্মাদনা দেখা গিয়েছিল দীপিকা-রনভীরের বিয়ের সাজ নিয়ে। বিয়ের দিন দীপিকা পরেছিলেন ডিজাইনার সব্যসাচীর আইকনিক লেহঙ্গা। বিয়ের দিন তাঁকে দুটো লুকে দেখা গিয়েছিল। একটি ছিল সব্যসাচীর ডিজাইন (how Deepika Padukone changed her fashion and style) করা লাল লেহঙ্গা, যার ওড়নাইয় লেখা ‘সদাঃ সৌভাগ্যবতী ভবঃ’ দারুণ ভাইরাল হয়েছিল। অন্যটি ছিল ‘আদ্ভায়া’র মেরুন-কপার কাঞ্জিভরম শাড়ি।
আজকের ফ্যাশন আইকন
আজকের দিনে দাঁড়িয়ে দীপিকা পাডুকোনের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেল ফলো করলে দেখতে পাবেন, বেশিরভাগ সময়েই তিনি মোনোক্রমের দিকে ঝুঁকেছেন। তা সে প্রিন্ট হোক, স্ট্রাইপ বা সলিড শেড। তবে একটা কথা এখানে না বললেই নয়, দীপিকার ফ্যাশন এভলিউশন যেভাবে হয়েছে, তা সত্যিই যে-কোনও ফ্যাশনপ্রেমীর জন্য অনুপ্রেরণাময়।
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!