করোনা আতঙ্ক এবং লকডাউন (lockdown)। এই পরিস্থিতি আমাদের জীবন বদলে দিয়েছে অনেকটাই। এ যেন নিজেকে চেনার সময়। নিজেকে নতুন করে জানার সময়। একই সঙ্গে পরিবার বা কাছের মানুষকেও অন্য ভাবে চেনা হচ্ছে এই পরিস্থিতিতে। অনেক সম্পর্কও বদলে যাচ্ছে এই পরিস্থিতির প্রভাবে।
আপনার এবং আপনার স্বামীর দিনের এতটা সময় একসঙ্গে থাকার সুযোগ ছিল না এতদিন। হয়তো দুজনকেই কাজে বেরতে হয়। অথবা যে কোনও একজন বেরতেন প্রতিদিন। এই পরিস্থিতি কোনও দম্পতির কাছে সুখের। আবার কারও কাছে সমস্যার। কারণ একসঙ্গে থাকলেও মনের দিক থেকে সব সময় যে দুটো মানুষ কাছাকাছি থাকবেই, এমন কোনও নিশ্চয়তা নেই।
অস্বীকার করার উপায় নেই, অনেকেই পরকীয়া (extramarital affair) সম্পর্কে রয়েছেন। এতদিন পরিস্থিতি যেমন ছিল, তাতে হয়তো সেই স্পেসটা আপনারা পেতেন। এখন একসঙ্গে দিনভর থাকতে গিয়ে সেই সম্পর্কগুলো আর লুকনো থাকছে না। বেআব্রু হয়ে পড়ছে। যদি আপনার জীবনেও বাস্তবেই এই ঘটনা ঘটে, অর্থাৎ আপনার স্বামী বা পার্টনার পরকীয়া সম্পর্কে থাকেন, তাহলে তার সমাধান কীভাবে হবে, তা আপনাদেরকেই খুঁজতে হবে। কিন্তু এই ধরনের কোনও সম্পর্কে আপনার স্বামী বা পার্টনার আদৌ জড়িত কিনা, তা এই লকডাউনের পরিস্থিতিতে আপনার কাছে অনেকটা স্পষ্ট হয়ে যাবে। কিন্তু কীভাবে?
পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ার আগে নজর দিন। ছবি ইনস্টাগ্রামের সৌজন্যে।
১) লকডাউনের প্রথম দিকের দিনগুলোতে হয়তো আপনার স্বামী আপনাকে সময় দিচ্ছিলেন। আপনাকে বাড়ির অন্যান্য কাজে সাহায্য করছিলেন। কিন্তু দিন যত এগোবে, আপনি লক্ষ্য করবেন, তাঁর প্রাইভেট স্পেস প্রয়োজন হচ্ছে। হতে পারে, স্বাভাবিক রুটিনে তিনি সেটা পেতেই অভ্যস্ত। আপনিও। প্রাইভেট স্পেস চাওয়া মানেই তিনি পরকীয়া সম্পর্কে রয়েছেন, এমনটা নাও হতে পারে। কিন্তু আপনাকে কোনও কারণে এড়িয়ে গেলে, একবার ভেবে দেখতে পারেন।
২) যদি আপনার স্বামী বা পার্টনার এই পরিস্থিতিতে অন্য ঘরে থাকতে স্বচ্ছন্দ বোধ করেন, অথবা ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফোনে ব্যস্ত থাকেন, তাহলে অন্য সম্পর্কের কথা ভাবতে পারেন। কিন্তু এই আচরণ ধ্রুব সত্য নয়। স্বামী এই ধরনের আচরণ করছেন মানেই পরকীয়া সম্পর্কে রয়েছেন, তা কিন্তু বলা হচ্ছে না। কিন্তু এই ধরনের আচরণ যদি আপনাদের স্বাভাবিক সম্পর্কের বিপরীত হয়, তাহলে একবার ভেবে দেখতে পারেন।
৩) যদি সত্যিই আপনার স্বামী বা পার্টনার কোনও পরকীয়া সম্পর্কে থাকেন, তাহলে লকডাউনের পরিস্থিতিতে সেই তৃতীয় ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ফোন। না! আলাদা করে আপনার পার্টনারের মেসেজ বা হোয়াটস্অ্যাপ, চেক করুন এই পরামর্শ আমরা আপনাকে দেব না। কিন্তু স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটা বেশি সময় ফোনে কাটালে এবং আপনাকে সব বিষয়ে অ্যাভয়ে়ড করার পরিস্থিতি তৈরি হলে, তৃতীয় সম্পর্কের সম্ভবনার কথা ভাবতে পারেন।
দেখুন, কিছু সম্ভবনার কথা আমরা তুলে ধরলাম। এর সঙ্গে আপনার বাস্তবের কোনও মিল নাও থাকতে পারে। যাই হয়ে যাক, এই কঠিন পরিস্থিতিতে কাছের মানুষদের নিয়ে ভাল থাকার চেষ্টা করাটাই একমাত্র লক্ষ্য হোক।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!