যাঁরা পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোম-এ আক্রান্ত, তাঁদের মধ্যে অনেকেই তাঁদের এই শারীরিক অবস্থার কথা জানেন না। আমাদের জীবনশৈলী ও খাদ্যাভ্যাস আমাদের মধ্যে এই সমস্য়াকে অনেকাংশেই বাড়িয়ে দিয়েছে। হরমোনের ভারসাম্যহীনতার জন্য মহিলারা পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোমে আক্রান্ত হন। বিশেষত, ১৫ থেক ৪৪ বছর বয়সী মহিলাদের মধ্যে এই সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি। পিসিওএস-এর জন্য় শরীরে পুরুষ হরমোন অন্ড্রোজেনের পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে ওভারিতে একাধিক সিস্ট তৈরি হয়। যার জন্য মেনস্ট্রুয়াল সাইকেলও এর প্রভাব পড়ে, এমনকী গর্ভ ধারণেও সমস্য়া হয়। দেরিতে পিরিয়ড হওয়া, ওজন বেড়ে যাওয়া, মুড সুইং, শরীরে লোমের পরিমাণ অতিরিক্ত, অ্যাকনের মতো সমস্যা হয়। এই ধরনের উপসর্গ সামাজিক অ্যাংজাইটিও (pcos affects mental health) তৈরি করতে পারে। সাম্প্রতিক কয়েকটি গবেষণায় উঠে এসেছে অন্য তথ্যও। পিসিওএস মানসিক স্বাস্থ্য়ে প্রভাব ফেলে। অবসাদের কারণ পিসিওএস হতে পারে।
এমনকী যে মহিলাদের পিসিওএস আছে তাঁদের গর্ভপাত হতে পারে এবং টাইপ ২ ডায়াবিটিসেও আক্রান্ত হতে পারেন। যদিও বেশিরভাগ চিকিৎসকরাই বলেন, পিসিওএস কিন্তু নিয়মিত ব্যায়াম এবং ওষুধের দ্বারাই কমিয়ে ফেলা সম্ভব।
পিসিওস-এর একটি খারাপ দিক গেল। কিন্তু সাম্প্রতিক কয়েকটি গবেষণায় উঠে এসেছে অন্য তথ্যও। পিসিওএস কিন্তু মানসিক স্বাস্থ্য়েও যথেষ্ট প্রভাব ফেলে।
পিসিওএস-এর কারণে শুধুই হরমোনার পরিবর্তন হয় তা নয়, এমনকী বেশিরভাগ মহিলার ক্ষেত্রেই মানসিক সমস্যাও তৈরি করে। শুধুমাত্রই সন্তান ধারণ এবং ফেসিয়াল হেয়ারেই সমস্যা সীমাবদ্ধ থাকে না; হরমোনের এই পরিবর্তন মানসিক অবসাদ এবং অ্য়াংজাইটির মতো সমস্যা তৈরি করে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মানসিক অবসাদ এবং অ্যাংজাইটির মতো সমস্যা তৈরি হয়। তবে অন্যান্য ক্ষেত্রে বাইপোলার ডিসঅর্ডার(pcos and mental health), ইটিং ডিসঅর্ডারও তৈরি হতে পারে।
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!