ভালোবাসার সম্পর্ক (relationship) তখনই গভীরতা পায়, যখন শারীরিক মিলনের (sex) মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রী একে অপরকে চিনতে শুরু করেন। আর তখনই তো তাদের মধ্যে আকর্ষণ আরও বাড়ে। তবে সম্পর্কের শুরুর দিকে শারীরিক মিলনের সময় যে অনুভূতি হয়, তা কিন্তু ধীরে ধীরে বদলে যেতে শুরু করে। যদিও তাই বলে এমনটা ভেবে নেওয়ার কোনও কারণ নেই যে সম্পর্ক পুরানো হলে ভালাবাসা কমে যায়। বরং ভালোবাসা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও বাড়তে থাকে। তবে শারীরিক মিলনের ইচ্ছা কিছুটা হলেও কমে! বদলে যায় সেক্সের অনুভূতিও (How Sex Changes As Your Relationship Progresses)।
সম্পর্কের শুরুর দিকে একে অপরের প্রতি অকর্ষণ একেবারে চরম সীমায় গিয়ে পৌঁছায়। কারণ সেই সময় স্বামী-স্ত্রী এক অপরকে চিনতে শুরু করেন। তাই তো ভালোবাসার তীব্রতা হয় বাঁধ ভাঙা। সেই সঙ্গে অল্প অল্প চেনা একটা মানুষের সঙ্গে শারীরিক মিলনে লিপ্ত হওয়া অনুভূতি যে একেবারে অন্য রকমের, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। বরং বলা যেতে পারে সেই অনুভূতি নেশার মতো, যে নেশাকে উপেক্ষা করা কারও পক্ষেই সম্ভব হয় না।
সিংহ একবার রক্তের স্বাদ পেলে যেমন বারে বারে শিকার করে। তেমনি একবার শারীরিক মিলনের পর সেই অনুভূতি এমন চরম পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছায় যে প্রতিদিন, বারে বারে সেক্স করতে মন চায়। তাই তো শারীরিক মিলনের দ্বিতীয় অধ্যায়কে অনেকেই দাবানলের সঙ্গে তুলনা করে থাকেন। দাবানলকে নিয়ন্ত্রণ করা যেমন সহজ কাজ হয় না, তেমনি সেক্সের মাদকতাকে প্রথম দিকে উপেক্ষা করাও বেশ কিন্তু বেশ কঠিন হয় বৈকি!
সম্পর্কের তৃতীয় অধ্যায়ে ভালোবাসা চরমে গিয়ে পৌঁছায়। কিন্তু প্রথম এবং দ্বিতীয় অধ্যায়ের মতো শারীরিক মিলনকে কেন্দ্র করে তেমন একটা মাদকতা থাকে না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সেক্স করার ইচ্ছা কিছুটা হলেও কমে। তবে ভালোবাসার এই ধাপেই কিন্তু সম্পর্কের ভিত সবথেকে মজবুত হয়ে ওঠে। অর্থাৎ শারীরিক মিলনের পাশাপাশি আরও ছোট ছোট বিষয় এই সময় গুরুত্ব পেতে শুরু করে। ফলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার ভালোবাসা গভীরতা এক চরম পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছায়।
বিয়ের এক বছর কেটে যাওয়ার পর থেকে স্বামী-স্ত্রী মধ্যে আরও কোনও পর্দা থাকে না (how relationships change after a year)। তখন তারা এক আত্মা, এক প্রাণ হয়ে যান। ফলে এই পর্যায়ে মনের কথা খুলে বলতে আর কোনও সমস্যাই হয় না। আর দুজন মানুষ যখন একে অপরকে থুব ভালো ভাবে চিনতে শুরু করেন, তখনই ভালোবাসা বহু গুণে বৃদ্ধি পায়। তবে সম্পর্কের এই অধ্যায়ে শারীরিক মিলনের অনুভূতি একটু হলেও বদলে যায়। এই সময় প্ল্য়ান করে শারীরিক মিলনের প্রয়োজন পড়ে না। বরং একে অপরকে একে অপরকে ভালোবাসতে বাসতে শারীরিক মিলন হয়ে যায়। এর জন্য আলাগা করে উদ্যোগ নেওয়ার প্রয়োজন হয় না। সহজ কথায় বলতে গেলে এই সময় শারীরিক মিলনের থেকেও এক অপরের সঙ্গ পাওয়াটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়।
মানুষের যত বয়স বাড়তে থাকে, তত যেমন সে ম্যাচিওর হয়ে ওঠে, তেমনি সম্পর্কের বয়স বাড়লেও একই ঘটনা ঘটে। দুজন মানুষ একে অপরের হাত ধরে যখন কয়েক বছর কাটিয়ে দেন তখন সেক্স পেছনের সারিতে চলে যায়। আর সামনের আসন নেয় কর্তব্য এবং ভালোবাসা (changes and stages of a relationship)। অর্থাৎ এই সময় ভালোবাসার মানুষটির সঙ্গে সময় কাটাতে বেশি ভালোলাগে। খেয়াল করুন সম্পর্কের প্রথম দিকে শারীরিক মিলনই ছিল সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যার জায়গা এক সময় নিয়ে নেয় ভালোবাসা এবং পারিবারিক কর্তব্য। এইভাবেই তো বদলে যায় ভালোবাসার রং, তাই না!
যে আগুন এক সময় দাবানল হয়ে ওঠে, তাকে একদিন না একদিন তো বুজে যেতেই হয়। সেক্সের ক্ষেত্রেও কিন্তু একই ঘটনা ঘটে। এক সময়ে গিয়ে শারীরের সেই আগুণ যা এক সময় প্রগাঢ় রূপ নিয়েছিল, তা একেবারে কমে যায়। এই সময় কতকটা অভ্যাসের কারণেই শারীরিক মিলনে লিপ্ত হন অনেকে। সেক্সের সেই মাদকতা বা আকর্ষণ আর থাকে না বললেই চলে। আর এইভাবেই একদিন আগুন একেবারে নিভে যায়। আর সেই জায়গা নেয় বিশাল এক শূন্যতা। এই শূন্যতা কে কতটা সুন্দরভাবে পূরণ করছে, তার উপরই কিন্তু নির্ভর করে সম্পর্কের ভবিষ্যত।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
এগুলোও আপনি পড়তে পারেন
Lip Kiss শরীর ও স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী
Boyfriend কে ভালোবেসে এই Nickname এ ডাকুন
রোমান্টিক ডায়লগ শুধুমাত্র ভালোবাসার মানুষটির জন্য