পড়াশোনা এবং অন্যান্য স্কিলের (skills) দিক থেকে পিছিয়ে না থাকলেও বেশ কিছু নিয়ম না মেনে চলার কারণে যতটা সফলতার স্বাদ পাওয়া উচিত একজন মহিলার, ততটা পাচ্ছেন না অনেকেই (how to be a successful woman in the work place)। আর ঠিক এই কারণেই এই প্রবন্ধটি লেখার সিদ্ধান্ত নেওয়া।
প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদের করা বেশ কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে গত কয়েক বছরে কর্মক্ষেত্রে (job) মহিলাদের উন্নতি ঘটেছে ঠিকই, কিন্তু তেমন একটা উচ্চতায় পৌঁছাতে পারেননি মহিলা প্রফেশনালরা। কিন্তু কেন?
আসলে বেশিরভাগ মহিলাই কর্মক্ষেত্রে এমন কিছু ভুল করে ফেলছেন, যে কারণে আজও প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই প্রথম সারিতে পুরুষদের আধিপত্যে একটুও কমেনি। তাই তো বলি, নিজেকে একজন পেশাদার কর্মচারী হিসেবে যদি আরও উপরের দিকে নিয়ে যেতে হয়, তাহলে যে যে বিষয়গুলি (skills needed to be successful in work life) মাথায় রাখা একান্ত প্রয়োজন, সেগুলি হল…
১. বেতন নিয়ে দর কষাকষি করতে ভুলো না:
বেশিরভাগ মহিলাই মনের মতো চাকরি (profession) পাওয়া মাত্র এতটাই খুশি হয়ে যান যে মাইনে বা অন্যান্য সুযোগ সুবিধে নিয়ে আলোচনা করতেই ভুলেই যান। ফলে কর্মজীবনের শুরুতেই মাইনের দিক থেকে যে তারা অনেকটাই পিছিয়ে পরেন, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আর এমন ঘটনা যে বাস্তবিকই ঘটছে, তার প্রমাণ মেলে একটি সমীক্ষার দিকে নজর ফেরালেই। বেশ কয়েকজন অর্থনীতিবিদের করা এই স্টাডিতে দেখা গেছে যেখানে প্রায় ৫৭ শতাংশ পুরুষ নতুন চাকরি পাওয়ার পর প্রথমেই মাইনে নিয়ে আলোচনা করেন, সেখানে মাত্র ৭-১০ শতাংশ মহিলা এমনটা করে থাকেন। যার অর্থ মহিলাদের থেকে প্রায় ৭.৬ শতাংশ বেশি মাইনে নিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন বেশিরভাগ পুরুষ কর্মচারী। তাই মনের মতো চাকরি পাওয়া মাত্র স্বপ্নের দুনিয়ায় হারিয়ে না গিয়ে বরং একটু রিসার্চ করে দেখুন আপনার মতো একজন দক্ষ কর্মচারীর কত মাইনে পাওয়া উচিত। আর সেই মতো দর কষাকষি করার চেষ্টা করুন। এমনটা করলে দেখবেন চরম অর্থনৈতিক উন্নতির স্বাদ পেতে বেশি দিন আর অপেক্ষা করতে হবে না (job skill)।
২. মনের কথা স্পষ্ট করে বলার অভ্যাস করাটা জরুরি:
হার্ভার্ড কেনেডি স্কুলের গবেষকদের করা এক স্টাডিতে দেখা গেছে পুরুষ কর্মচারীরা যেখানে নিজের দক্ষতা এবং আরও নানাবিধ বিষয় নিয়ে বসের সঙ্গে খোলাখুলি কথা বলতে পছন্দ করেন, সেখানে মেয়েরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কোন তথ্য, তা সে নিজেকে নিয়ে হোক, কি অন্য কিছু নিয়ে, ঠিক মতো বসের কান পর্যন্ত পৌঁছে দিতে পারেন না। ফলে ভুল বোঝাবুঝির কারণে কর্মজীবেনর ক্ষতি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা যায় বেড়ে। তাই এবার থেকে কথা বলার সময় আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে নিজের কথা অন্যজন পর্যন্ত পৌঁছে দিতে হবে। সেই সঙ্গে খেয়াল রাখতে হবে, আপনি যা বলছেন, তা সঠিক অর্থে যেন সামনের মানুষটি গ্রহণ করেন। ভুল বোঝাবুঝি যেন ভুলেও না হয়! এমনটা হলে দেখবেন প্রমোশন মিলতে সময় লাগবে না (skills)। কারণ বিশেষজ্ঞদের মতে “ক্লিয়ার কমিউনিকেশন ইজ দা কি টু সাকসেস।”
৩. ড্রেসের দিকে নজর ফেরাতে হবে:
উন্নতির সিড়িতে তরতরিয়ে উঠতে গেলে নিজের স্পিকিং এবিলিটি বা কথা বলার ক্ষমতা যেমন বাড়াতে হবে, তেমনি আপনি যে একজন আত্মবিশ্বাসী মহিলা তা প্রমাণ করতে নিজের অফিস ড্রেসের দিকেও নজর ফেরানোর প্রয়োজন রয়েছে (job skill)। তবে নিজেকে কীভাবে স্মার্ট এবং দর্শনীয় করে তুলতে হবে, তা নিজেকেই বুঝে নিতে হবে। সেই সঙ্গে খেয়াল রাখবেন, আপনি যদি নিজেকে একজন দক্ষ এবং স্মার্ট কর্মচারী হিসেবে না ভাবতে পারেন, তা হলে কিন্তু বাকিরাও ভাববে না। তাই নিজের ভাবনাতেও বদল আনার প্রয়োজন রয়েছে। তার পাশাপাশি প্রতিনিয়ত কাজের মাধ্যমে, কথার মাধ্যমে এবং অবশ্যই ড্রেস কোডের মাধ্যমে নিজের সেরাটা তুলে ধরার চেষ্টা করুন। হয়ে উঠুন একজন স্মার্ট ইনডিভিজুয়াল। দেখবেন ফল মিলবে একেবারে হাতে-নাতে!
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!