আপনি না হয় ফিট! কিন্তু বাকিদের হাল কী? স্বামী নিশ্চয় নোয়াপাতি ভুঁড়ি বাগিয়েছেন, সঙ্গে এদিক-সেদিকের খাবার খাওয়ার চক্করে গ্যাস-অম্বলের সমস্যাও লেজুড় হয়েছে। এদিকে শ্বশুর-শাশুড়িরও তো হাজার সমস্যা।
তাই তো এখন থেকেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে, না হলে দুর্গা পুজোর সময় সপরিবারে ঠাকুর দেখার প্ল্যান করবেন কীভাবে! কিন্তু হাতে তো মাত্র মাস খানেক বাকি, এর মধ্যে কিছু করে ওঠা সম্ভব নাকি? (how to boost family health immunity before durga puja)
আলবাত সম্ভব! তবে অকল্পনীয় ফল পাবেন, এমনটা ভাবলে ভুল করবেন। তবে একটা কথা দিতে পারি, এই নিয়মগুলি মানলে পরিবারের সবার শরীরই যে মোটের উপর সুস্থ থাকবে, সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেন। তাই আর সময় নষ্ট না করে কী-কী টিপস মেনে চলতে হবে, সে সম্পর্কে ঝটপট জেনে ফেলুন।
স্বামীকে সুস্থ রাখার জন্য
কাজের চাপে ব্রেকফাস্ট-লাঞ্চ ঠিক মতো না হওয়ার চক্করেই যে স্বামীর ওজন বাড়ছে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। উপরন্তু এদিক-সেদিকের রোল-বিরিয়ানি তো মাঝে মধ্যেই চলে। তাই বুঝতেই পারছেন, গ্য়াস-অম্বল আর বদহজমের পিছনে কারণটা কি? তা হলে কী করণীয়? আগামী কয়েকদিন বাইরের খাবার খাওয়া এক্কেবারে চলবে না। এড়িয়ে চলতে হবে ভাজাভুজি এবং মিষ্টিও। প্রয়োজনে লাঞ্চে বাড়িতে তৈরি খাবারই দিয়ে দেবেন। তাতে বাইরের খাবার খাওয়ার ঝোঁক কমবে। ফলে পেটের রোগের প্রকোপ কমতে দেখবেন সময় লাগবে না। আরেকটা জিনিস মাথায় রাখবেন, ব্রেকফাস্ট-লাঞ্চ থেকে ডিনার, প্রতিটি মিলেই যেন ফাইবার, কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার থাকে। তাতে ওজন বাড়ার আশঙ্কা থাকবে না। আর যদি তাঁকে একটু জোর করে হাঁটহাঁটি করাতে পারেন, তা হলে তো কথাই নেই! মর্নিং ওয়াক না হোক, অফিস থেকে ফেরার পরে মিনিটকুড়ি হাঁটলেও চলবে। এমনটা করলে ওজন কমতে সময় লাগবে না। সঙ্গে ক্লান্তিও দূর হবে। (how to boost family health immunity before durga puja)
বাড়ির বয়স্কদের সুস্থ রাখার জন্য
বয়স বাড়ার সঙ্গে-সঙ্গে এমনিতেই শরীরের জোর কমে যায়। তার উপর সারাদিন শুয়ে-বসে থাকার কারণে আরও জড়তা মাথায় চেপে বসে। সঙ্গে ডায়াবেটিস-ব্লাড প্রেসারের মতো রোগ তো রয়েছেই। তাই প্রথমেই তাঁদের ডায়েটের দিকে নজর রাখতে হবে। তাঁরা যেন নিয়ম করে ব্রেকফাস্ট খান, তা সুনিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে অফিস বেরনোর আগেই তাঁদের খাইয়ে দেবেন। আর বলে যাবেন দুপুরের খাবার যেন একটার মধ্যে সেরে ফেলেন। রাতের খাবার খেতে হবে সাতটার মধ্যে। এই নিয়মগুলি মানলে হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটবে। তবে শরীরের জোর বাড়াতে মাছ, মাংস, ডিমের মতো খাবার নিয়ম করে তাঁদের খাওয়াবেন। সঙ্গে অল্পবিস্তর হাঁটহাটি মাস্ট! এই নিয়মগুলি মানলে দেখবেন পুজোর আগেই শ্বশুর-শাশুড়ি ফিট হয়ে উঠবেন। তবে যাঁরা নানা রোগে ভুগছেন, তাঁদের ডায়েট প্ল্যানে কোনও পরিবর্তন আনার আগে একবার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিতে ভুলবেন না যেন! (how to boost family health immunity before durga puja)
খুদে সদস্যটিই বা বাদ যাবে কেন
কলকাতার অবস্থা দেখেছেন! এই বৃষ্টি তো এই গরম। এমন পরিস্থিতিতে জ্বর জ্বালার খপ্পরে পড়ার আশঙ্কা তো থাকেই। তার উপরে করোনার ভয়াল ছায়া কিন্তু এখনও সরেনি। আর বাচ্চাদের প্রতিষেধক এখনও বাজারে আসেনি। তাই পুজোর সময় সর্দি-কাশির মতো সমস্যাকে দূরে রাখতে বাচ্চাদের নিয়ম করে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল এবং সবজি খাওয়াতে হবে। তাতে দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা এতটাই শক্তিশালী হয়ে উঠবে যে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারবে না। ঠিক-ঠিক নিয়ম মেনে খাবার খাওয়ানোর পাশাপাশি ছেলেমেয়েদের বিকেলে একটু খেলাধুলোর অভ্যাস করাবেন, ততে শরীরের জোর বাড়বে বই কী! প্রয়োজনে মজা করে যোগ ব্যায়ামও করাতে পারেন।
আরও যা যা মেনে চললে ভাল
১। পরিবারে সকলের যদি করোনা প্রতিষেধক না নেওয়া হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, প্রতিষেধক নেওয়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
২। পরিবারের সবাইকে দিনে দু’বাটি করে সবজি এবং ফল খাওয়াতে হবে।
৩। দিনে তিন থেকে চার লিটার জল খাওয়া মাস্ট! (how to boost family health immunity before durga puja)
৪। তিনবারের জায়গায় অল্প অল্প করে ছয়বার খাবার খেতে হবে। তাতে ওজন কমার সম্ভাবনা বাড়বে।
৫। দিনে কম করে মিনিট কুড়ি এক্সারসাইজ করতেই হবে। যোগাসনও করা যেতে পারে।
৬। লিফ্টের পরিবর্তে সিঁড়ি ব্যবহার করার পরামর্শ দিন। তাতে দ্রুত ক্যালরি বার্ন হবে
৭। প্রোটিন এবং ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার একটু বেশি করে পরিবেশন করবেন। আর ভুলেও কাউকে ব্রেকফাস্ট স্কিপ করতে দেবেন না যেন!
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!