ADVERTISEMENT
home / ডি আই ওয়াই লাইফ হ্যাকস
রান্নাঘর সহজে পরিষ্কার রাখার এক ডজন কায়দা, হেঁশেল পরিষ্কার থাকলে তবেই সকলে সুস্থ থাকবে

রান্নাঘর সহজে পরিষ্কার রাখার এক ডজন কায়দা, হেঁশেল পরিষ্কার থাকলে তবেই সকলে সুস্থ থাকবে

শুনতে অবাক লাগলেও, রান্নাঘর পরিষ্কার রাখা কিন্তু কম ঝক্কির কাজ নয়! আপনি যদি গৃহবধূ হন, তা হলে সারা দিন দেখবেন কিছুতেই সময় করে উঠতে পারবেন না যে, হাতাখুন্তি ঠেলে হেঁশেলের দিকেও মন দেবেন! আপনি যদি চাকুরিরতা হন, তা হলে তো রান্নাঘরের সঙ্গে আপনার দেখা সেই সন্ধেবেলা, পরের দিনের টিফিনের প্রস্তুতিতে! আর আপনি যদি কলেজপড়ুয়া হন, তা হলে রান্নাঘরের সঙ্গে আপনার মোটামুটি যোগাযোগ হল, চায়ের কাপ বেসিনে নামিয়ে দিয়ে আসা কিংবা খাবারের এঁটো বাসন সিঙ্কে রাখা অবধি! তাই রান্নায় যতটা যত্ন, রান্নাঘরের দিকে আমাদের ততটা লক্ষ থাকে না। ফলে আমাদের তাকে ধুলো জমে, কৌটোর গায়ে মশলার দাগ পড়ে, ড্রেন পাইপ থেকে কুচি আরশোলা উঁকি মারে আর চিমনির গা থেকে তেল গড়ায়! অথচ, রান্নাঘরে (Kitchen) কাজ করতে-করতেই যদি একটুআধটু রোজ পরিষ্কার (cleaning) করে ফেলা যায়, তা হলে কোনও সমস্যাই থাকে না। তাই আমরা আপনাদের কাজ একটু সহজ করে দিচ্ছি। নীচে দেওয়া ১২টি কায়দা (tips) যদি ফলো করতে পারেন, তা হলে আপনার রান্নাঘরও এক্কেবারে টিভিতে দেখানো ঝকঝকে রান্নাঘরের মতো হয়ে যাবে…

  • রান্না করতে-করতেই প্রাথমিক সাফাই অভিযান শুরু করে দিন। গ্যাসে রান্না চাপিয়ে টুকটাক বাসনপত্র ধুয়ে ফেলুন। তরকারির খোসা ডাস্টবিনে পেলে দিন।
  • প্রতিদিন একটা করে তাক কিংবা ক্যাবিনেট পরিষ্কার করুন। সপ্তাহে একবার পুরো রান্নাঘরের তাক পরিষ্কার হয়ে যাবে তা হলে।
  • তরকারি কাটার সময়েই ডাস্টবিন ক্যাবিনেটের ভিতর থেকে বের করে বাইরে, হাতের কাছে এনে রাখুন। খোসাগুলো একেবারে ওর ভিতরে ফেলতে থাকুন।
  • সিঙ্কের ড্রেন পাইপের মুখে সিঙ্ক ওয়াশার দিয়ে রাখুন। বাড়তি ময়লা ওখানে জমবে। রোজ রান্না হয়ে গেলে ওটা তুলে একবার পরিষ্কার করে নিন। 
  • রান্না শেষ হলে, গ্যাস ওভেনের সামনেটা, গ্যাস ওভেন একবার শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন। খুব নোংরা হলে কলিন কিংবা ইজি অফ ব্যাং দিয়েও পরিষ্কার করতে পারেন। তবে সাবান-জলে করবেন না। এতে কাজ বাড়ে, সময়ও বেশি নষ্ট হয়।
  • মাইক্রোওয়েভ সপ্তাহে অন্তত একবার ভাল করে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিন। ভিতরে একটি বোওলে হাফ জলে এক টুকরো লেবু ফেলে কিছুক্ষণ ঘুরিয়ে নিন। ভিতরের গন্ধ বেরিয়ে যাবে।
  • কিচেনে পোকামাকড়ের উপদ্রব হয়ই। আর তা মূলত হয় নোংরা থেকে। মাসে অন্তত একবার ক্যাবিনেট থেকে সবকিছু বের করে পরিষ্কার করুন। 
  • রোজ রান্না করার সময়ই একটা কলিনে ভেজানো ওয়াইপ দিয়ে মশলার কৌটো পরিষ্কার করে নিন। কৌটো খালি হয়ে গেলে মাজতে বের করে দিন।
  • গ্যাস, কিচেন প্ল্যাটফর্ম, ভেজা বাসন ও হাত মোছার জন্য আলাদা-আলাদা কাপড় রাখুন। আর সপ্তাহে অন্তত একবার সেগুলো কেচে পরিষ্কার করে নিন।
  • মাসে একবার এগজস্ট ফ্যান কিংবা চিমনি পরিষ্কার করাটাও বাধ্যতামূলক। নইলে এগুলোর শক্তি কমে যাবে এবং আগের মতো পুরো মাত্রায় ধুলোবালিও টানতে পারবে না। ফলে রান্নাঘরেও জমবে তেলকালি।
  • মাসে একবার পরিষ্কার করুন ফ্রিজও। সেখানেও কিন্তু বাড়তি খাবারদাবার, এক কোণে জমে থাকা কাটা আলু, শুকিয়ে যাওয়া ধনে পাতা, এক্সপায়ারি ডেট পেরিয়ে যাওয়া সস ইত্যাদি জমা থাকেই!
  • মাসে একদিন রাতে শুতে যাওয়ার আগে সিঙ্কের পাইপে ড্রেনেক্স দিয়ে রাখুন। চায়ের পাতা থেকে শুরু করে টুকরোটাকরা খাবার, কিছু আটকে থাকলে বেরিয়ে যাবে। আর পাইপও আটকে যাবে না!

POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!

আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!

29 Jul 2019
good points

Read More

read more articles like this
ADVERTISEMENT