দিন কয়েক আগেই আবার একটা সম্পর্ক ভেঙেছে (break ups) রণিতার। এই নিয়ে চার নম্বর। ওকে নিয়ে চিন্তার শেষ নেই ওর মা-সীমাদেবীর। উনি ভাবেন, কী যে করবে মেয়েটা! যা মতিগতি! বরাবরই পড়াশোনায় ভাল, এমনকি এক বছর হয়েছে উচ্চপদে চাকরি জীবনও শুরু করেছে। তো সীমাদেবী ভেবেছিলেন, এ বার মেয়ের বিয়ে দেবেন। রণিতার কাউকে পছন্দ কি না, জিজ্ঞাসা করে জানতে পারেন, ও একটা সম্পর্কে (relationship) রয়েছে। শুনে সীমাদেবী ভেবেছিলেন, ছেলেটির সঙ্গে কথা বলবেন। কিন্তু তার দিন দুয়েক পরে মেয়ে এসে জানায়, ওর ব্রেকআপ (break ups) হয়ে গিয়েছে। তার পর থেকে লক্ষ্য করেছেন, মেয়ে কেমন যেন চুপচাপ! তাই এক উইকেন্ডে মেয়ের সঙ্গে বেশ সময় নিয়ে কথা বলতে গিয়েই জানতে পারলেন মেয়ের এই সম্পর্ক ভাঙার (break ups) কথা। রণিতার কোনও সম্পর্কই (relationship) নাকি এক বছরের বেশি টেঁকে না! অথচ সম্পর্ক (relationship) নিয়ে বরাবরই সিরিয়াস। তা সত্ত্বেও এ রকম! তাই রণিতা আর বিয়েই করতে চায় না।
যদিও এই সমস্যা শুধু রণিতারই নয়। বহু মেয়েই এই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন। একের পর এক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। আর সেই সম্পর্কগুলো কোনও না কোনও ভাবে ভেঙে (break ups) যাচ্ছে। হয় বয়ফ্রেন্ড অন্য মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ছেন, না হলে ক্রমাগত মিথ্যে বলছে। অথবা সম্পর্ক নিয়ে অতিরিক্ত পোসেসিভ। সন্দেহের বশে গার্লফ্রেন্ডকে মারধর করে। আর বারবার সম্পর্ক ভেঙে (break ups) যাওয়া বা ব্রেক আপের ফলে যেটা হয়, সেটা হল কমিটমেন্টে ফোবিয়া। মানে পরে আর সম্পর্ক (relationship) গড়তেও যেন একটা ভয় কাজ করে। তাই এই সময়টা কিছু কিছু জিনিস মাথায় রাখতে হবে।
নিজেকে সময় দিন
সবার আগে নিজেকে সময় দিতে হবে। পছন্দের মানুষের কথা সব সময় ভাবা বন্ধ করে দিন। আর প্রেমের সম্পর্ক ভাঙা নিয়ে বেশি সময় নষ্ট করবেন না। সবার আগে নিজেকে গুরুত্ব দিন আর নিজের জন্য সময় বার করুন। আর সব থেকে বড় কথা, এই সময়টায় আপনার সব চেয়ে কাছে থাকবে আপনার পরিবার। পরিবারের মানুষগুলোকে সময় দিন। আর বাড়িতে পোষ্য থাকলে তো কথাই নেই! তাদের সঙ্গেও সময় কাটান।
নিজেকে সেলিব্রেট করুন
সবার আগে নিজের পছন্দ-অপছন্দকে গুরুত্ব দিন। আর জীবনে কেউ নেই বলে কি কোনও আনন্দ থাকবে না? বন্ধুরা সব বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে ডেটে যাচ্ছে, এ সব দেখে খুব নিঃসঙ্গ (loneliness) লাগে? চাপ কীসের! নিজেকে স্পেশ্যাল ফিল করান। গিফট দিন। একাই মুভি দেখে আসুন। অথবা রেস্তরাঁয় চলে যান ভাল খাবারদাবার খেতে। একা লাগলে চলে যান কোনও গঙ্গার ঘাটে। একান্তে কিছুটা সময় কাটান। হাতে তো দামি মোবাইল! তো ক্যামেরাটাকে সদ্ব্যবহার করুন! ভাল ভাল ছবি তুললে দেখবেন মনটা অনেকটা ফ্রেশ লাগছে।
ভাল লাগার কাজ
যে কাজগুলো করতে ভাল লাগে, সেই কাজগুলো করুন। যেমন ধরুন, বই পড়তে ভালবাসেন অথবা আঁকতে। তা হলে সেগুলোই করুন। আপনি যদি রান্না করতে ভালবাসেন, তা হলে তো কোনও কথাই নেই। মাঝেমধ্যে রান্না করুন। নতুন নতুন এক্সপেরিমেন্ট করুন। দেখবেন, মনটা ভাল লাগছে! আর একাকীত্বও (loneliness) তাড়া করে বেড়াচ্ছে না।
সম্পর্ক নিয়ে
যদি নতুন সম্পর্ক (relationship) শুরু করতে চান, তা হলে সেটা নিয়ে নিজেকে প্রশ্ন করুন। দুমদাম করে সম্পর্কে না জড়ানোই ভাল। আগে বুঝে নিতে হবে, আপনি ওই সম্পর্কের জন্য তৈরি কি না। যদি তৈরি না থাকেন, তা হলে সম্পর্কটা নিয়ে আর এগোনো যাবে না। তাই সম্পর্ক নিয়ে সবার আগে নিজেকে তৈরি করুন। না হলে আবার সেই সম্পর্ক ভাঙার (break ups) যন্ত্রণা!
ছবি সৌজন্যে: ইউটিউব
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি এবং বাংলাতেও!