সারা পৃথিবী যেন থমকে গেছে, সবাই বলতে গেলে গৃহবন্দি হয়ে পড়েছেন, সোশ্যাল মিডিয়া এবং খবরের চ্যানেল এখন উত্তাল হয়ে আছে করোনা ভাইরাসের (coronavirus) খবরে! এক এক জন এক এক রকমের চমকপ্রদ তথ্য নিয়ে হাজির হচ্ছেন প্রতিদিন। দিনে দিনে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। একে অন্যকে সচেতন করার কথা বারবার বলা হচ্ছে। অন্যদিকে আবার করোনা ভাইরাস এড়ানোর মাস্ক এবং জীবাণুনাশকারী হ্যান্ড স্যানিটাইজারের আকাল পড়ে গেছে বাজারে। খুব কম অঞ্চলে পাওয়া গেলেও দাম হয়েছে আকাশছোঁয়া।
গোটা দেশে জারি হয়েছে লকডাউন (lockdown)। লকডাউনের অর্থ হল সারা দিন আপনাকে বাড়িতে থাকতে হবে। আপনি বাড়িতে বসে বসে যা খুশি করুন, কেউ কিচ্ছুটি বলবে না; তবে বাড়ির বাইরে পা রাখা নিষেধ। আপনারা যারা ‘বিগ বস’ দেখেছেন, এখন বলা যায় সবার বাড়ির পরিস্থিতিই সেরকম। বাড়ি বসে বসে সোশ্যাল মিডিয়ায় সঠিক-বেঠিক নানা তথ্য পাচ্ছেন আর এদিকে লাফিয়ে লাফিয়ে আপনার টেনশন, অ্যাংজাইটি আর ব্লাড প্রেশার বাড়ছে। এ তো উল্টো বিপদ! একে করোনায় (coronavirus) রক্ষা নাই, অ্যাংজাইটি হয়ে দাঁড়িয়েছে আরেক শত্রু। কিন্তু এ অবস্থায় কীভাবে ‘করোনা অ্যাংজাইটি’ (anxiety) থেকে মুক্তি পাবেন, কীভাবেই বা নিজেকে মানসিকভাবে সুস্থ রাখবেন, তা নিয়েই কিছু টিপস দেব আজ।
করোনা ভাইরাসের অ্যাংজাইটি থেকে কীভাবে নিজেকে রক্ষা করবেন – মেনে চলুন এই টিপসগুলি
করোনা আতঙ্কের শিকার হবেন না (ছবি – শাটারস্টক)
১। সারাদিন বাড়িতে রয়েছেন এবং অতি অল্প মূল্যে ইন্টারনেট পরিষেবা পেয়ে যাচ্ছেন বলে সারদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুলভাল খবর পড়ার কোনও প্রয়োজন নেই। না আমি একবারও বলছি না করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত কোনও খবর রাখবেন না, কিন্তু ভুয়ো খবরে কান না দিয়ে অথেন্টিক সূত্রের খবরে মন দিন।
২। আপনি ঠিক কী কারণে অ্যাংজাইটিতে ভুগছেন সে ব্যাপারে সচেতন হন। করোনা ভাইরাস প্যানডেমিকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে সেই ভয়ে আপনার রাতের ঘুম উড়ে যাচ্ছে নাকি বাকি সবাই ভয় পাচ্ছে বলে আপনিও ভয় পাচ্ছেন – সে বিষয়টি একবার মাথা ঠান্ডা করে ভাবুন।
৩। আপনি এবং আপনার পরিবারের লোকজন যদি সঠিকভাবে প্রতিটি নিয়ম মেনে চলেন অর্থাৎ বার বার করে সাবান দিয়ে হাত ধোওয়া, স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ও বাড়ির অন্যান্য জিনিসপত্র জীবাণুমুক্ত করা, বাইরে না বেরনো ইত্যাদি – সেক্ষেত্রে তো আপনার ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই।
৪। আপনাকে যদি একান্তই বাইরে বেরতে হয়, সেক্ষেত্রে মাস্ক পরে তবেই বাইরে বেরন। বাইরের কাউকে এ মুহূর্তে নিজের বাড়িতে অ্যালাও করবেন না অথবা আপনি নিজেও অন্য কারও বাড়ি গিয়ে আড্ডা দেওয়ার কথা ভাববেন না।
৫। বাড়িতে থাকার অভ্যেস অনেকেরই নেই, কিন্তু করোনা ভাইরাসের প্রকোপ আটকাতে গেলে এখন কিছুদিন গৃহবন্দি দশা কাটাতে হবে। কিচ্ছু করার নেই! খুব বেশি অ্যাংজাইটি হলে বন্ধুদের সঙ্গে বা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে (যদি আপনি পরিবারের থেকে দূরে থাকেন) ভিডিও কলে কথা বলে নিন।
মোটকথা, এখন যাই হয়ে যাক বাইরে বেরবেন না, ব্যস!
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
২০২০ শুরু করুন আমাদের দারুণ দারুণ প্ল্যানার আর স্টেটমেন্ট সোয়েটশার্ট দিয়ে। এগুলো সবকটাই আপনারই মতো একশ শতাংশ মজার এবং অসাধারণ! ওহ হ্যাঁ, শুধুমাত্র আপনার জন্য রয়েছে ২০ শতাংশ ছাড়ের ব্যবস্থাও। দেরি কিসের আর, এখনই POPxo.com/shop থেকে কেনাকাটা সেরে ফেলুন আর নিজেকে আরেকটু পপ আপ করে ফেলুন!