কোথায় আর কখন যে কার মন মজবে, তা সত্যিই আগে থেকে বোঝা দায়। ধরুন, আপনি চাকরিতে নতুন জয়েন করলেন। এক সিনিয়কে ভাল লেগে গেল হঠাৎই। অথবা চাকরি জীবনের বেশ কয়েকটা বছর পেরিয়ে আসার পর সদ্য জয়েন করা এক জুনিয়রের প্রতি ক্রাশ তৈরি হল। কীভাবে সামলাবেন সেই পরিস্থিতি? রইল কিছু পরামর্শ। (how to deal with crush at work)
আপনি কি সিঙ্গল?
আপনি যেটা ভাবছেন বা আপনার পুরুষ সহকর্মীর প্রতি যে ইমোশন তৈরি হয়েছে, তা সেই সহকর্মীর ক্ষেত্রেও একই রকম কিনা, সেটা জেনে নিন।
বন্ধুত্ব বা সহকর্মীর সম্পর্ক থেকে বেশি কিছু ভাবতে চাইলে অর্থাৎ ভবিষ্যৎ রিলেশনশিপের দিকে এগোতে চাইলে চট করে সিদ্ধান্ত নেবেন না। বরং পারিবারিক, আর্থ-সামাজিক দিকের মতো বেশ কিছু বিষয় খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নিন।
আপনাদের অফিসে কাজ করেন না, এমন কোনও তৃতীয় ব্যক্তির সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন। বাইরে থেকে দেখলে, সেই তৃতীয় ব্যক্তি এমন অনেক কিছু বলতে পারবেন, যা অফিসে থেকে আপনি হয়তো বুঝতে পারছেন না। (how to deal with crush at work)
যে সহকর্মীর প্রতি আপনার ক্রাশ তৈরি হয়েছে, তার সঙ্গে অফিসের বাইরে কথা বলুন। দেখা করুন। সময় কাটান। এমনকি নন-ওয়ার্ক সোশ্যাল ইভেন্টে একসঙ্গে যাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে নিজেদের পছন্দ-অপছন্দ সম্পর্কে আরও স্পষ্ট ধারণা তৈরি হবে।
স্বচ্ছ্বভাবে সম্পর্কের ভাল-মন্দ দিকগুলো ভেবে দেখুন। কাজের ক্ষেত্রে কোনও নির্ভরতা থেকে ভাললাগা তৈরি হচ্ছে কিনা, বিচার করুন। কারণ সেই নির্ভরতা কেটে গেলে হয়তো আপনার ওই মানুষটিকে আর ভাল নাও লাগতে পারে।
ক্রাশ তৈরি হলেও সম্পর্ক থেকে অবাস্তব কিছু আশা করবেন না। এতে তিক্ততা বাড়বে। ভবিষ্যৎ সম্পর্ক তো দূরের কথা, সাধারণ বন্ধুত্ব বা সহকর্মীর সম্পর্কও নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
অন্য রকম ইমোশন তৈরি হলে সেটা সহকর্মীকে জানান। তার মতামতটাও স্পষ্ট করে জেনে নিন। এতে সুবিধে দু’জনেরই। (how to deal with crush at work)
প্রফেশন আর পার্সোনাল লাইফ আলাদা করতে শেখাটাও জরুরি। কোনও সম্পর্কের ক্ষেত্রেই সেটা ভুলে যাওয়া উচিত নয়।
যদি আপনি অলরেডি কোনও সম্পর্কে থাকেন
জীবনসঙ্গীর সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখুন। পরিবারের মানুষটির সঙ্গে সম্পর্ক যত সহজ হবে, তত অন্য বন্ধুত্ব নিয়ে সরাসরি কথা বলতে পারবেন।
আপনার পরিজন সম্পর্কে আপনার নতুন বন্ধুকে জানান। দরকারে আপনাদের বন্ধুত্বের কথাও আগাম জানান বাড়িতে।
খোলাখুলি কথা বলুন, নিজের মু্গ্ধতার জায়গাটা কী এবং কোথায় তার সীমানা সেটা নিজে বুঝুন ও বুঝিয়ে দিন আগের সম্পর্কে থাকা মানুষটিকেও। (how to deal with crush at work)
যদি পুরনো সম্পর্কে থেকে না বেরিয়েই নতুন ক্রাশকে ওয়েলকাম করতে চান, তাহলে আপনার পার্টনারের জায়গাটা যে অনন্য, সেটাও নতুন ক্রাশকে বুঝিয়ে দিতে হবে।
অফিসে এই ধরনের সম্পর্কে প্রত্যাশার লাগামটা যেন আপনার হাতেই থাকে। না হলে পরিণতি ভাল নাও হতে পারে।
কোনও সম্পর্কই প্রতিযোগিতা নয়। তাই কার গুরুত্ব বেশি, কার কম এ সব ভাববেন না। বরং নতুন বন্ধুত্বে নিজের সীমানা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকুন।
ভবিষ্য়তে বাড়িতে হোক বা বাড়ির বাইরে অনেক রকম পরিস্থিতির জন্য আগাম প্রস্তুত থাকা শ্রেয়।
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!