ADVERTISEMENT
home / রিলেশনশিপ
হিংসুটে সহকর্মী সামলাবেন কী করে?(how to deal with a jealous co-worker)

হিংসুটে সহকর্মী সামলাবেন কী করে?(how to deal with a jealous co-worker)

অনেকদিন সহ্য করার পর শেষে চাকরিটা ছেড়েই দিল অঞ্জনা। কাঁহাতক আর লড়াই করা যায় এমন একজনের সঙ্গে যে হিংসে করে অঞ্জনার জনপ্রিয়তা, অঞ্জনার উন্নতি। হ্যাঁ, হিংসে। আমাদের ষষ্ঠ রিপু অর্থাৎ মাৎসর্য। আমরা স্বীকার করি আর নাই করি, আমাদের সবার মধ্যেই একটু আধটু এই ষষ্ঠ রিপুর প্রভাব আছে। কিন্তু জানেন কি এই যে হিংসে যার ইংরিজি শব্দ জেলাসি (jealousy) , তার আরও একটি সুন্দর শব্দ আছে। আর সেটাকে বলে এনভি। আপনি কারও ফ্যাশন সেন্স এনভি করলেন, তারপর নিজের লুকই আমূল পাল্টে দিলেন সেটা পজিটিভ। অফিসে (office) কোনও পরিশ্রমী সহকর্মীকে (co-worker) দেখে এনভি করলেন আর বাড়িয়ে দিলেন নিজের প্রোডাক্টিভিটি সেটাও পজিটিভ। কিন্তু আপনি কিছুই করলেন না শুধু অন্যের উন্নতি দেখে হিংসেয় জ্বলেপুড়ে মরলেন। সেটা অসম্ভব রকমের নেগেটিভ (negative)। আর তার ওপর আপনি যদি হিংসের বশে কাউকে বিরক্ত করা বা কুকথা বলা শুরু করেন তাহলে তো স্টেপ নিতেই হয়। অঞ্জনা না হয় চাকরি(job) ছেড়ে রেহাই পেল। কিন্তু অন্য অফিসেও যে এরকম হিংসুটে সহকর্মী (jealous co-worker) থাকবে না, তার কি মানে? তার চেয়ে বরং জেনে নিন এরকম পরিস্থিতিতে আপনার ঠিক কী করা উচিৎ।

মুখের উপর ‘হিংসুটে’ শব্দ উচ্চারণ করবেন না

never

আপনার হিংসুটে সহকর্মীর গাত্রদাহের মূল কারণ হল আপনার জনপ্রিয়তা। আপনি খামোখা সেটা নষ্ট করতে যাবেন কেন? সুতরাং সেই সহকর্মীর মুখের উপর তাকে হিংসুটে বলে শুধু শুধু অফিসে নিজের জায়গা হারাবেন না। তাছাড়া এই স্বভাব যাদের থাকে, তাদেরকে বলে শোধরানো যায় না।

নিজের ভাবমূর্তি নষ্ট হতে দেবেন না

okay

ADVERTISEMENT

আপনার হিংসুটে সহকর্মী চাইবেন আপনার অন্য সহকর্মীদের কাছে আপনার নামে মিথ্যে গুজব রটানো। তাদেরকে তিনি এটাই বোঝাবেন আপনি খুব খারাপ মানুষ। এই বিষয় বেশিদূর এগোনোর আগেই আপনি দু কদম এগিয়ে থাকুন। সব সময় হাসিমুখে থাকুন। অফিসে সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখুন। সবার বিপদে পাশে দাঁড়ান। কোনও স্পেশ্যাল খাবার আনলে সেটা সবার সঙ্গে ভাগ করে নিন। সর্বোপরি নিজের কাজটা মন দিয়ে করুন। অর্থাৎ মুখে কিছু না বলে আপনার কাজে বুঝিয়ে দিন যে আপনার সম্পর্কে কেউ কিছু বলে থাকলে সেটা মিথ্যে।

বিশ্বস্ত বন্ধুকে সব বলে রাখুন

what r u saying

অফিসে আপনার বিরুদ্ধে কেউ থাকলে আপনার পাশেও নিশ্চয়ই কেউ না কেউ আছে। সুতরাং আপনি যদি নিশ্চিত থাকেন আপনার হিংসুটে সহকর্মী আপনাকে কীভাবে বিরক্ত করছে তাহলে সেই বশয়ে আপনার সহকর্মী বন্ধুকে সব বলে রাখুন। যদি খুব রেয়ার কেসে ঘটনাটি হায়ার ম্যানেজমেন্টে জানাতে হয় তাহলে আপনি বলতে পারবেন যে আপনি আগেই এই বিষয়ে একজনকে বলেছেন।

নিজেকে সেই হিংসুটে সহকর্মীর জায়গায় বসান

i dont know

ADVERTISEMENT

কিছু মানুষ থাকেন যারা কাউকেই পছন্দ করেন না, তারা সবাইকে হিংসে করেন। তাদের কথা বাদ দিলাম। কিন্তু যদি এমন হয় যে সহকর্মী আপনাকে হিংসে করছে বলে আপনার ধারণা, তিনি অন্যদের সঙ্গে এমন আচরণ করছেন না। কেন? নিজেকে সেই সহকর্মীর জায়গায় বসান। আপনার জনপ্রিয়তা আর সাফল্য নিয়ে আপনি কি বেশি অহঙ্কার দেখাচ্ছেন? নিজেকে নিয়ে আপনি কি একটু বেশিই মশগুল থাকেন? কখনও কোনও সময় আপনার অজান্তেই আপনি কি কখনও তাকে ব্যথা দিয়েছেন? এগুলো ভাবুন। হয়তো সমস্যার সমাধান এখানেই হয়ে যাবে।

বজায় রাখুন রসবোধ

smiling

আপনার হিংসুটে সহকর্মী আপনাকে নিয়ে কোনও বাঁকা মন্তব্য করলে সেটার পাল্টা জবাব না দেওয়াই ভালো। এতে সমস্যা আরও জটিল হবে। আর জসি উত্তর দিতেই হয় তাহলে মজা করে, হিউমার দিয়ে বলুন। যাতেআপনার প্রতিপক্ষ হেসে ফেলেন। বারবার এরকম করলে তিনি আর বেশি আপনাকে জ্বালাবেন না। বাকি সহকর্মীরাও বুঝবেন আপনি হাসিখুশি স্বভাবের মানুষ। এসব ছোটখাট বিষয় আপনি আমল দেন না। আর তাছাড়া আপ ভালা তো জগত ভালা। হতে পারে হাসি ঠাট্টায় হিংসের বিষ দূর হয়ে গেল? কী তাই তো?     

POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!

ADVERTISEMENT
25 Jan 2019

Read More

read more articles like this
good points

Read More

read more articles like this
ADVERTISEMENT