সারা দেশ থেমে গিয়েছে। আজ এক মাসেরও বেশি সময় হয়ে গেল দেশ জুড়ে লকডাউন (lockdown)! সত্যি কথা বলতে কী, অসুবিধে হচ্ছে। শুধুমাত্র কাজকর্ম বা অর্থকরি দিক থেকে নয়, এই লকডাউনের জেরে আমাদের সম্পর্কের (relationship) সমীকরণগুলোও কেমন যেন বদলে গিয়েছে। বুঝতে পারলেন না? আচ্ছা, বুঝিয়ে বলছি। যেহেতু সারাদিন ঘরে বন্দি, কাজেই বাড়ির কাজের সঙ্গে সঙ্গে অফিসের কাজ এবং একই গতে বাধা রুটিনে চলতে চলতে সামান্য অবসাদ আসা খুব স্বাভাবিক। অনেক সময়ই এমন হচ্ছে হয়ত যে আপনার স্বামী হয়তো ভাল কথা বললেন, কিন্তু তার ঠিক আগেই অফিসে বসের কাছে আপনি বকা খেয়েছেন; সব রাগটা গিয়ে পড়ল স্বামীর উপরে বা সন্তানের উপরে! তবে স্বামী-সন্তানকে না হয় আপনি রাগ দেখালেন আর তারা হয়তো আপনাকে উল্টে কিছু বলল না; কিন্তু ভাবুন তো, সবচেয়ে বেশি সমস্যা তো অন্য কারও সঙ্গে হচ্ছে! শাশুড়ি (mother in law)! কিন্তু লকডাউনে গৃহবন্দি অবস্থায়ও শাশুড়ির সঙ্গে সম্পর্ক ঠিক রাখার টোটকা আমাদের কাছে আছে। আপনিও জেনে ট্রাই করুন।
লকডাউন চলাকালীন শাশুড়ির সঙ্গে সম্পর্ক কীভাবে ঠিক রাখবেন
১। আপনি যদি কর্মরতা হন, সেক্ষেত্রে লকডাউন হওয়ার আগে পর্যন্ত আপনার জীবনযাত্রা ছিল সম্পূর্ণ আলাদা; ফলে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বেশ অনেকটা সময় কাটানোর সুযোগ ছিল না। তবে এখন পরিবারের সকলের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ রয়েছে এবং একইসঙ্গে ঝগড়া বা মনোমালিন্যের আশঙ্কাও কিন্তু রয়েছে। এক কাজ করুন, লকডাউন চলছে বলে আপনার অফিসের কাজ যে বিন্দুমাত্র কমেছে তা তো নয়, কাজেই আপনি আগের রুটিনই মেনে চলুন। যেমন সকালে ঘুম থেকে উঠতেন তেমনই উঠুন। স্নান সেরে তৈরি হয়ে কাজে বসুন।
২। যেহেতু আপনি বাড়িতে রয়েছেন, হতে পারে হয়ত আপনার শাশুড়ি এক্সপেক্ট করতে পারেন যে আপনি তাঁকে বাড়ির কাজেও সাহায্য করবেন। সেক্ষেত্রে আপনার পক্ষে যদি অফিসের কাজ সামলে নিয়ে বাড়ির বাদবাকি কাজে তাঁকে সাহায্য করা সম্ভব হয় তাহলে অবশ্যই করুন। যদি সেটা সম্ভব না হয়, সেক্ষেত্রে কিছু কাজ আপনারা পরিবারের সব সদস্যরাই ভাগ করে নিন। আপনার শাশুড়িরও বয়স হচ্ছে একথা মনে রাখবেন।
৩। সপ্তাহের প্রতিটি দিন সম্ভব না হলেও সপ্তাহান্তে শাশুড়ির পছন্দমতো কিছু রান্না করুন। তাঁকে বাড়ির কাজে সাহায্য করুন। ঘর পরিষ্কার করা থেকে শুরু করে সন্তানের বায়নার ঝক্কি সামলানো – মোটামুটি সব কাজই আপনি করতে পারবেন এই এক্সপেকটেশনটা কিন্তু শ্বশুরবাড়ির লোকজন রাখবেন, একথা মনে রাখুন। কিন্তু আপনার পক্ষে যতটা সম্ভব ততটা করুন। কিন্তু মুখে মুখে তর্ক করা বা বিশ্রীভাবে কথা বলা – এগুলো করবেন না। এতে আপনার নিজেরই মানসিক অশান্তি বাড়বে।
৪। যদি আপনার শাশুড়ি আপনার সঙ্গে খারাপভাবে কথা বলেন অথবা ঝগড়ার পর্যায়ে নিয়ে যান কোনও ছোট বিষয়, সেক্ষেত্রে আপনি যদি উত্তর না দেন, তাহলে ব্যাপারটা সেখানেই মিটে যাবে। কাজেই আপনি সিদ্ধান্ত নিন যে আপনি ব্যাপারটা নিয়ে জলঘোলা করবেন নাকি নিজের কাজে মন দেবেন!
৫। পরিশেষে একটা কথা, মিষ্টি করে কথা বলে অনেক বড় বড় সমস্যা সমাধান করা যায়; সেক্ষেত্রে লকডাউনে শাশুড়ির সঙ্গে সম্পর্ক ঠিক রাখা তো তুচ্ছ ব্যাপার!
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!