জেল্লাদার, দাগছোপহীন ত্বক চাইলে বাড়িতে নিজেই করে ফেলুন ক্লিন আপ, রইল স্টেপ বাই স্টেপ গাইড
যতই নিয়মিত মুখ নানা ধরনের ক্লেনজার দিয়ে পরিষ্কার করুন না কেন, আজকাল পরিবেশ দূষণের মাত্রা যেরকম সীমা ছাড়িয়েছে, তাতে ত্বকের বাড়তি যত্ন নিতে নিয়মিত সাধারণভাবে ক্লেনজিং ছাড়াও দরকার পড়ে একটু বেশি দেখভালের। আর তখনই আমাদের শরণাপন্ন হতে হয় বিউটিশিয়ানের। তিনি সালোঁতে যত্ন করে একটি ব্যাপার করেন, যার পোশাকি নাম হল ফেসিয়াল ক্লিন আপ। এই ক্লিন আপের মানে হল, সাধারণ পদ্ধতি ছাড়াও বাড়তি কিছু ধাপ যোগ করে ত্বকে জমে থাকা সব ধুলোবালি, ময়লা এবং ন্যাচারাল ইমপিওরিটিজ টেনে বের করে দেওয়া। এর ফলে ত্বকের মলিনতা ঘুচে গিয়ে তা হয়ে উঠবে কোমল ও উজ্জ্বল। কিন্তু ত্বক এভাবে কোমল রাখার খরচও খুব একটা কম নয়। তা ছাড়া এই ক্লিন আপ যদি মাসে অন্তত বারদুয়েক না করা যায়, তা হলে মোটেও কোনও লাভ নেই। তাই আমরা নিয়ে এসেছি ক্লিন আপ গাইড যেখানে আমরা শিখিয়ে দিচ্ছি ধাপে-ধাপে কীভাবে বাড়িতেই ক্লিন আপ করবেন।
বাড়িতে ক্লিন আপ করতে যা-যা লাগবে
বাড়িতে ক্লিন আপ করতে আপনার চাই…
- অয়েল ক্লেনজার
- ওয়াটার বেসড ক্লেনজার অথবা ক্লেনজিং মিল্ক, আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী
- ফেস স্ক্রাব
- স্টিমার ও পরিষ্কার করে কাচা তোয়ালে
- ময়শ্চারাইজার
- ব্ল্যাকহেড রিমুভাল স্ট্রিপস
- ফেস টাওয়েল
- তুলোর প্যাড অথবা বল
- আপনার ত্বকের উপযোগী ফেস প্যাক
- ফেসিয়াল টোনার
ক্লিন আপের স্টেপ বাই স্টেপ পদ্ধতি
১) অয়েল ক্লেনজিং: ত্বকের গভীরে জমে থাকা ধুলোবালি ও ময়লা টেনে বের করার জন্য প্রয়োজন অয়েল ক্লেনজিংয়ের। আঙুলের ডগায় একটু অয়েল ক্লেনজার নিয়ে সার্কুলার মোশনে সেটি সারা মুখে ভাল করে মালিশ করে মিলিয়ে দিন। এবার অল্প গরম জলে একবার হাত ভিজিয়ে নিয়ে সেই হাতে আবার সারা মুখে সার্কুলার মোশনে মালিশ করুন। তারপর মুখ জলের ঝাপটা দিয়ে ভাল করে ধুয়ে নিন।
২) এবার পালা এক্সফোলিয়েশনের। নিজের পছন্দের ফেস স্ক্রাবটি দিয়ে সারা মুখে কিছুক্ষণ আলতো হাতে মালিশ করুন। তারপর ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বকের উপরে জমে থাকা মরা কোষের স্তর সরে গিয়ে ত্বক হয়ে উঠবে নরম, কোমল ও উজ্জ্বল।
৩) ফেস স্টিমার যদি বাড়িতে থাকে, তা হলে সেটি ব্যবহার করবেন। অথবা নিজেই বাড়িতে স্টিমার তৈরি করে ফেলুন। একটি ডেকচিতে জল ফুটতে বসান। হাতের কাছে একটি ফেস টাওয়েল রাখুন। জল ফুটতে শুরু করলে গ্যাস থেকে নামিয়ে তার উপর মুখটা নিয়ে আসুন যেন ভেপারটা পুরো আপনার মুখে ঢোকে। এই সময় ফেস টাওয়েল দিয়ে মুখটি ঢেকে রাখবেন। এভাবে অন্তত মিনিটপনেরো স্টিম নিতে পারলে ত্বকের বন্ধ রোমকূপগুলির মুখ খুলে যাবে।
৪) স্টিম নেওয়া হয়ে গেলে তোয়ালে দিয়ে চেপে-চেপে মুখটা মুছে নিন। তারপর ফেস প্যাক লাগান। প্যাকের গায়ে লেখা নির্দেশাবলী পড়ে প্যাকটি যতক্ষণ রাখা দরকার, রাখুন, তারপর ধুয়ে ফেলুন। ফেস প্যাক ত্বককে ঠান্ডা করে ও ভিতর থেকে পুষ্টি জোগায়।
৫) এর পর ফেসিয়াল টোনার একটি কটন প্যাডে নিয়ে সারা মুখে লাগিয়ে নিন। স্টিম নেওয়ার সময় ত্বকের যে ছিদ্রগুলি খুলে গিয়েছিল, টোনার সেগুলিকে আবার বন্ধ করে দেয়। ফলে ত্বক থেকে তেল নিঃসরণের মাত্রা কমে যায়।
৬) এরপর ময়শ্চারাইজার লাগানোর পালা। এটি হল ফাইনাল স্টেপ। এই ভাবে ত্বকের যত্ন নিতে পারলে তার ঔজ্জ্বল্য নিয়ে আরও কোনও চিন্তা করতে হবে না।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
এসে গেল #POPxoEverydayBeauty – POPxo Shop-এর স্কিন, বাথ, বডি এবং হেয়ার প্রোডাক্টস নিয়ে, যা ব্যবহার করা ১০০% সহজ, ব্যবহার করতে মজাও লাগবে আবার উপকারও পাবেন! এই নতুন লঞ্চ সেলিব্রেট করতে প্রি অর্ডারের উপর এখন পাবেন ২৫% ছাড়ও। সুতরাং দেরি না করে শিগগিরই ক্লিক করুন POPxo.com/beautyshop-এ এবার আপনার রোজকার বিউটি রুটিন POP আপ করুন এক ধাক্কায়…