অনেক শিশুই (child) স্কুলে যেতে চায় না। স্কুলে যাওয়ার নাম শুনলেই কেঁদে ফেলে। প্রাথমিক কিছু দিন এটাই স্বাভাবিক। চেনা পরিবেশ, চেনা মানুষ ছেড়ে কয়েক ঘণ্টার জন্য অচেনা পরিবেশ ও মানুষদের মধ্যে থাকাটা কোথাও শিশুদের মধ্যে একটা ইনসিকিওরিটি তৈরি করে। তৈরি করে অজানা ভয়। কিন্তু মা হিসেবে সন্তানকে সেই পরিস্থিতি থেকে বের করে নিয়ে আসা আপনার দায়িত্ব। কীভাবে সন্তানের স্কুল ভীতি (school phobia) কাটাবেন? আমরা কিছু সাজেশন দেওয়ার চেষ্টা করলাম। আপনার কাজে লাগতেও পারে।
১) সন্তানের সঙ্গে কথা বলুন
স্কুলে যেতে অনেক শিশুই ভয় পায়। অনীহা থাকে। প্রথমেই তার সঙ্গে কথা বলে স্কুলে যেতে না চাওয়ার কারণ বোঝার চেষ্টা করুন। শিশুকে বিশ্বাস করুন। স্কুলে না যেতে চাওয়ার পিছনে অনেক রকম কারণ থাকতে পারে। সেগুলো খোঁজার চেষ্টা করুন। কথা বলেই একমাত্র তার মনের ভাব বুঝতে পারবেন। অযথা শিশুকে অবিশ্বাস করে স্কুলে জোর করে পাঠানোর মতো ভুল করবেন না।
২) পড়াশোনা বোঝার অসুবিধে
অনেক সময় স্কুলে অনেক শিশুর সঙ্গে আলাদা করে কোনও একটি শিশুর প্রতি বিশেষ যত্ন নেওয়া শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পক্ষে সম্ভব হয় না। ফলে পড়াশোনা বোঝার ক্ষেত্রে খামতি থেকে যায়। সেক্ষেত্রে পরে পড়া ধরলে আপনার শিশু নাও পারতে পারে। বাকি বন্ধুদের সামনে সেটাই হয়তো তার লজ্জার কারণ। তাই পড়াশোনা বোঝার ক্ষেত্রে কোনও অসুবিধে হচ্ছে কিনা সেটা বুঝতে চেষ্টা করুন। আপনি বাড়িতে পড়াতে বসলেই অনেকটা পরিষ্কার হয়ে যাবে। সেটা সমস্যা হলে অবিলম্বে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকার সঙ্গে কথা বলুন।
৩) স্কুলে ভরসার মানুষ
বাড়িতে হয়তো আপনার সন্তানের সবচেয়ে ভরসার জায়গা আপনি। স্কুলেও এমন কাউকে ভরসার জায়গা হয়ে উঠতে হবে। সেটা কোনও শিক্ষক বা শিক্ষিকার পক্ষেই সবথেকে ভাল সম্ভব। যাতে স্কুলে থাকাকালীন যে-কোনও সমস্যা সেই ভরসার মানুষকে গিয়ে কোনওরকম সঙ্কোচ ছাড়াই আপনার সন্তান জানাতে পারে। স্কুলে সেই ভরসার মানুষকে খুঁজে পেতে সন্তানকে সাহায্য করুন।
৪) বন্ধু তৈরি করতে শেখান
স্কুলের ভয় কাটিয়ে তোলার সবচেয়ে ভাল উপায় হল, যা কিছু ভাল লাগে তার কারণ স্কুলে তৈরি করা । তার মধ্যে অন্যতম হল বন্ধুত্ব। সহপাঠীদের সঙ্গে যাতে আপনার সন্তান সহজে মিশে যেতে পারে, তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব তৈরি করতে পারে, সেদিকে খেয়াল রাখুন। টিফিন শেয়ার করতে শেখান। সম্ভব হলে স্কুলের পরেও কিছু সহপাঠীর সঙ্গে খেলার সুযোগ করে দিন। এতে আলাদা বন্ডিং তৈরি হবে। ধীরে-ধীরে কেটে যাবে স্কুলে যাওয়ার ভয়।
আরও পড়ুন: গুড টাচ এবং ব্যাড টাচের পার্থক্য সহজ করে শিশুকে বোঝাবেন কীভাবে? রইল কয়েকটি সাজেশন
৫) অন্যান্য অ্যাক্টিভিটি
পড়াশোনা ছাড়াও আপনার সন্তান স্কুলে গিয়ে নাচ, গান, আঁকা, আবৃত্তি, ক্যারাটের মতো বিভিন্ন কাজে অংশ নিতে পারে সেদিকে নজর দিন। হতেই পারে, বাঁধাধরা পড়াশোনা ওর তেমন ভাল লাগছে না। অন্য অ্যাক্টিভিটিতে আপনার সন্তান অনেক বেশি পারদর্শী। সেই কাজটা স্কুলে গিয়ে করার আগ্রহ থাকলে, স্কুলে যেতে না চাওয়ার ভয় কেটে যাবে দ্রুত।
৬) পুরস্কার দিন
পরীক্ষায় একজনই প্রথম হবে। সকলে ফার্স্ট হয় না। এই বোধটা ছোট থেকেই সন্তানের মধ্যে তৈরি করুন। স্কুলে হয়তো প্রথম ছাত্র বা ছাত্রীকে পুরস্কৃত করা হয়। কিন্তু আপনার সন্তান হয়তো সেই তালিকায় পড়ে না। আপনি সন্তানকে পুরস্কার দিন। শুধুমাত্র পরীক্ষায় ভাল ফল করলেই নয়, যে-কোনও ছোট কাজে পুরস্কার দিয়ে ওকে উৎসাহিত করুন। যেমন কোনও একটা মাসে একদিনও স্কুল কামাই না করলে, ওর পছন্দের একটা বই বা খেলনা বা খাবার কিনে দিন। এতেও ধীরে-ধীরে দূর হবে স্কুলের ভীতি।
৭) কোনও অবাঞ্ছিত ঘটনা ঘটছে কি?
এই বিষয়টা মা বা বাবা হিসেবে আপনার মনে রাখা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। এমন কোনও অবাঞ্ছিত হেনস্থার মুখে আপনার শিশু পড়ছে না তো, যাতে ওর স্কুলে যাওয়াটাই আতঙ্কের হয়ে উঠছে? কোনও শিক্ষক, শিক্ষিকা, কোনও বন্ধু, কোনও অশিক্ষক কর্মচারী ওর সঙ্গে এমন কোনও আচরণ করছে না তো, যেটা কাউকে ও বুঝিয়ে বলতে পারছে না? সেটা ভাল করে নজরে রাখুন। আর যে-কোনও পরিস্থিতিতে যে কোনও কথা শিশু যাতে অন্তত আপনাকে সরাসরি বলতে পারে, সেই রাস্তাটা খোলা রাখুন। সন্তানের অভিভাবক পরে, আগে বন্ধু হয়ে উঠুন।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আমাদের এক্কেবারে নতুন POPxo Zodiac Collection মিস করবেন না যেন! এতে আছে নতুন সব নোটবুক, ফোন কভার এবং কফি মাগ, যেগুলো দারুণ ঝকঝকে তো বটেই, আর একেবারে আপনার কথা ভেবেই তৈরি করা হয়েছে। হুমম…আরও একটা এক্সাইটিং ব্যাপার হল, এখন আপনি পাবেন ২০% বাড়তি ছাড়ও। দেরি কীসের, এখনই POPxo.com/shopzodiac-এ যান আর আপনার এই বছরটা POPup করে ফেলুন!