আপনি সারাদিনে কী কী করেন? এখন ভাবছেন আপনাকে হঠাৎ এই প্রশ্ন কেন করছি। কারণ, আপনি নিশ্চয়ই সারাদিনে অফিসের কাজ করেন। তারপর বাড়ির কাজ থাকলে। আপনি শিক্ষার্থী হলে পড়াশোনা করেন। এরপর মোবাইল নিয়ে বা অন্য় কোনও কাজে সময় কেটে যায়। ছুটির দিনে রান্না করতে ইচ্ছে করে না, তবে বাইরে খাওয়া চলতেই থাকে। এর মাঝখান থেকে ব্যায়াম করাই হয় না আমাদের। ফলে নানা লাইফস্টাইল অসুখ-এর কবলে আমাদের পড়তে হয়। ভোগান্তি হয় আমাদের হার্ট-এর। কোলেস্টেরল, ব্লাড প্রেসার যাতীয় সমস্য়ার কারণে হৃদরোগের আশঙ্কা বাড়ে। তখন জীবনের ঝুঁকি হয়ে যায়। এই সময়ে আমাদের প্রয়োজন জীবনশৈলীতে পরিবর্তন । হার্টের ক্ষমতা বাড়ানো-(heart healthy)এর বা হার্ট ভাল রাখার উপায় কী কী
সুস্থ থাকতে শরীরের অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গের মতো হার্টের খেয়াল (heart healthy) রাখাও জরুরি। ভুলে গেলে চলবে না যে হার্টের ক্ষমতা কমতে থাকলে সারা শরীরে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তের প্রবাহ ঠিক মতো হবে না, তাতে করে রোগভোগের আশঙ্কা বাড়বে বই কী!
শরীরের অন্যান্য পেশীর মতো হার্টও এক ধরনের পেশী। পেশীর ক্ষমতা বাড়াতে এক্সারসাইজের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। এখন প্রশ্ন হল, কী ধরনের শরীরচর্চা করলে উপকার মিলবে? এক্ষেত্রে প্রথমেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করে জেনে নিতে হবে আপনার হার্ট রেট ঠিক আছে কিনা। যদি ঠিক না থাকে, তাহলে কীভাবে ঠিক করা যায়, সে পরামর্শ ডাক্তারই দেবেন। সেই সঙ্গে হার্টের ক্ষমতা ধরে রাখতে কেমন ধরনের এক্সারসাইজ করলে উপকার মিলতে পারে, সে বিষয়েও একবার চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করে নিতে পারেন। এক্ষেত্রে সাধারণত মিনিটকুড়ি হাঁটলে বা জগিং করলে বেশ উপকার মেলে। আর যদি পুরো দমে জিমে গিয়ে ঘাম ঝরাতে পারেন, তাহলে তো কোনও কথাই নেই।
কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে ওজন বাড়তে শুরু করলে হার্ট বিট স্বাভাবিত থাকে না। যে কারণে হঠাৎ করে স্ট্রোক, হার্ট ফেলিওর সহ নানাবিধ হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। তাছাড়া ওবেসিটির কারণে সুগার-প্রেসারের মতো রোগেও আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও থাকে। এই সব রোগের কারণেও হার্টের মারাত্মক ক্ষতি হয়। এমনকী, শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গিয়ে হার্টকে দুর্বল করে দেয়। তাই হার্টকে যদি চাঙ্গা রাখতেই হয়, তাহলে মেদ ঝরানো ছাড়া আর কোনও উপায় নেই।
হঠাৎ হঠাৎ খুব বেশি পরিমাণে খাওয়া দাওয়া করাও উচিত নয়। কারণ, মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে খাবার খাওয়া মাত্র ডাইজেস্টিভ সিস্টেমের দিকে রক্তের প্রবাহ বেড়ে যায়, যে কারণে হার্টে চাপ (heart healthy) পড়ে। এর ফলে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই খাবার খাওয়ার সময় পরিমাণের দিকে নজর রাখুন। স্বাস্থ্যকর খাবার খান।
হার্টকে বাঁচাতে হলে স্ট্রেস-অ্যাংজাইটির খপ্পর থেকে বেরিয়ে আসতেই হবে। কারণ, স্ট্রেস মানেই রক্তচাপ বাড়বে। সঙ্গে হার্ট রেটের ওঠা-নামাও চলবে। ফলে হার্টের উপর চাপ (heart healthy) বাড়বে। আর এমনটা দিনের পর দিন ঘটতে থাকলে হার্টের ক্ষতি তো হবেই, যে কারণে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কাও বাড়বে। তাছাড়া স্ট্রেস লেভেল মাত্র ছাড়ালে আমাদের শরীরে বিশেষ কিছু হরমোনের ক্ষরণও বেড়ে যায়, যা হার্টের পক্ষে একেবারেই ভাল নয়। তাহলে কী করণীয়? প্রথমেই দুশ্চিন্তার কারণ খুঁজে বের করুন। তারপর সেই মতো ব্যবস্থা নিতে ভুলবেন না যেন! সেই সঙ্গে নিয়ম করে প্রাণায়াম করা জুরুরি। তাতে মন শান্ত থাকবে। স্ট্রেস লেভেলও কমবে। ফলে হার্টের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটার আশঙ্কা আর থাকবে না।
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!